২০২৪ সালের অগস্ট মাসে চন্দ্রবিন্দুর অন্যতম লিড ভোকালিস্ট তথা পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে তাঁরা বিচ্ছেদে﷽র পথে হাঁটছেন। দাম্পত্য জীবনে ইতি টানছেন। তবে ডিভো🧸র্স হলেও তাঁরা জুজুর বাবা মা হয়ে থেকে যাবেন আজীবন। অর্থাৎ একসঙ্গে ছেলেকে মানুষ করবেন। আর সেটার প্রমাণ দেখা গেল দোলের দিন। এবারের দোলে প্রাক্তন স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে রং খেললেন অনিন্দ্য।
আরও পড়ুন: পꦬ্রেমিকের পদবীর সঙ্গে জুড়লেন নিজের নাম! দোলের দিন কোন চমক দিলেন ঋতাভরী?
অনিন্দ্য মধুজার দোল
এদিন একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেন অনিন্দ্য তাঁদের দোল উদযাপনের। সেখানেও কোথাও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে একক ভাবে দেখা যাচ্ছে, তো কোথাও আবার গায়ককে। বাদ যায়নি মা 🐼সন্তানের খুনসুটির মুহূর্ত থেকে বাবা ছেলের জরুরি আলোচনার মুহূর্ত। বাড়ির ছাদেই আবিꦚর খেলেন তাঁরা। রঙিন ছবিগুলো পোস্ট করে এদিন গায়ক লেখেন, 'রং দে বসন্ত।'
অনেকেই এদিন অনিন্দ্য এ𝓡বং মধুজাকে হোলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'অকিঞ্চিৎ নয় আমাদের পরিবারের তরফ ⛄থেকে তোমাদের অনেক শুভেচ্ছা।' আরেকজন লেখেন, 'বাহ্ খুব ভালো লাগল। ভালো থাকো সবাই।' তৃতীয় জন লেখেন, ‘শুভ দোল যাত্রার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।’
আরও পড়ুন: শিশুদের সঙ্গে রং খেললেন রচনা, বাড়িতে পোষ্♈যদের সঙ্গেই হইচই মিমির! দোলে কী করলেন মানালি?
অনিন্দ্য এবং মধুজার বিচ্ছেদ
ডিভোর্স খবর ঘোষণা করে মধুজা বন্দ্ℱযোপাধ্যায় লিখেছিলেন, 'অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ সালে জুজুকে নিয়ে মুম্বই চলে এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন🍃্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা, লেখালেখি। ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম- বিয়ে মানে ফুল, আলো , যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য।' তিনি আরও লেখেন, 'জানি অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। আমিও পেয়েছি । আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভরও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। আর কী আশ্চর্য- প্রায় ভাঙ্গার বেলায় আজ রোববারের-পাতায় ওর লেখা আর আমার আঁকা বের হলো। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে- বন্ধুত্বের হয়তো না। তাই এক শিল্পী আজ অন্য শিল্পীকে জায়গা দিয়েছেন- আমি সম্মানিত।'