বাংলা ছবিকে তিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্বে💖র দরবারে। তবে কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের সঙ্গে অঞ্জন দত্তের সম্পর্ক একদম অ🌄ন্যরকম। গুরু-শিষ্যের সেই লাভ-হেট সম্পর্কের অজানা আখ্যানকে ফ্রেমবন্দি করেছেন অঞ্জন দত্ত। ২০২৩ সাল ছিল মৃণাল সেনের জন্ম শতবর্ষ। সেই উপলক্ষ্যেই নিজের গুরুকে ট্রিবিউট দিয়েছেন অঞ্জন, ছবির নাম ‘চালচিত্র এখন’। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ভূয়সী প্রশংসা কুড়ানো এই ছবি এবার মুক্তি পেতে চলেছে।
একইসঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং নির্বাচিত সিনেমাহলে মুক্তি পাবে ‘চালচিত্র এখন’। বৃহস্পতিবার, ২রা মে প্রকাশ্যে এল ‘চালচিত্র এখন’-এর ট্র𓂃েলার। কাকতালীয়ভাবে এদিন অপর বিশ্ববরেণ্য বাঙালি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মবার্ষিকী।
ট্রেলারের শুরুতে দেখা মিলল ‘চালচিত্র’-এর শ্যুটিংয়ের ঝলক। ক্ল্যাপস্টিকের শব্দের পরেই মৃণাল সেন রূপী কুণাল সেন বলে উঠলেন, ‘স্টার্ট সাউন্ড, ক্যামেরা…অ্যাকশন’। নিজের ছবিতে (বাস্তবে খারিজ) অভিনয়ের জন্য তিনি আচমকা খুঁজে পেলেন বছর ২৬-এর উঠতি যুবক। উচ্ছৃ🌠ঙ্খল, তার্কিক, বেপরোয়া রঞ্জন (বাস্তবে অঞ্জন দত্ত)-এর চরিত্রে শ♉াওন চক্রবর্তী।
সিনেমায় পাঠ করতে রাজি হওয়ার পর মহাফ্যাঁসাদে পড়েছিলেন রঞ্জন! অভিন♈য় করতে গিয়ে পছন্দের চুলের বলিদান দিতে হয়েছিল। রেগে গিয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত। গুরুর উপর মুখ ভার, বলেই দেন- ‘আই হেট দিস ম্যান’। কিন্তু ধীরে ধীরে বদলায় মনের রঙ। সে চলচ্চিত্রকে ভালোবাসতে শেখে এমন এক মানুষকে দেখে যাঁর কাছে জীবন মানেই সিনেমা। অজান্তেই ভালোবাসে ফেলেন কুণাল সেনকে। অসময়বয়সী সেই বন্ধুত্বের আখ্যান রয়েছে গোটা ট্রেলার জুড়ে।
ট্রেলার লঞ্চের আসরে অঞ্জন দত্ত বলেন, ‘চালচিত্র এখন ছবিটির মাধ্যমে কেরিয়ারের একটা নতুন দিক উন্মোচন করলাম। ব্যক্ত♔িগত জীবনেও একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। ম্য়াস্ট্রো মৃণাল সেনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই এই ছবিটি তৈরি করেছেন। এই ছবির মধ্যে দিয়ে আটের দশকে কলকাতার বুকে আমাদের বন্ধুত্ব, ক্রিয়েটিভিটিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
এই ছবিতে মৃণাল সেন ঘরণী গীতা সেনের চরিত্রে রয়েছেন বিদীপ্তা চক্রবর্তী। গত বছর বেশ কিছু উৎসব ঘোরার পর হলে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। আগামী ১০ই মে হইচই প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিমিং শুরু হবে চালচিত্র এখনের। এর পাশাপাশি কেবলমাত্র নন্দন ও রাধা সিনেমায় মু💮ক্তি পাবে এই ছবি। গত বছর কিফে ‘স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন অন ইনোভেশন ইন মুভিং ইমেজেস’ বিভাগে পুরস্কৃত হয় এই ছবি। সমালোচকদের মতে, অঞ্জন দত্তর কেরিয়ারের সেরা ছবি এটি। পুত্র নীল দত্তের সঙ্গে এই ছবি প্রযোজনাও করেছেন অঞ্জন। ছবির সঙ্গীতের দায়িত্বে নীল দত্ত।