দিনকয়েক আগেই কবিগুরুর বেশে দেখা দিয়েছিলেন অনুপম খের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশে অনুপমকে দেখে বেশ চমকেই যায় নেটপাড়া। একই হাল হয়েছিল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়েরও হয়তো। টুইট করে বসেন, ‘কারও রবি ঠাকুরের চরিত্রে অভিন💮যℱ় করা উচিত না। ওই মানুষটিকে একা ছেড়ে দিন।’
স্বস্তিকার সঙ্গে কিন্তু একমত হন বাংলার মানুষেরা। অনেকেই স্বস্তিকার টুইটের তলায় লেখেন, ‘সহমত’। আরেকজন লেখেন, ‘ভুলভাল কিছু একটা বানিয়ে রাখবে। না করলে আর শুনছে কে!’ যদিও একাংশের ধারণা, ‘গোটা বাংলার মানুষ চেনে রবীন্দ্রনাথকে। কিন্𓆉তু সারা ভারতে সবাই চেনে কি? তাহলে তো আরও সিনেমা হওয়া দরকার, ♍যাতে মানুষ জানতে পারে।’
তবে অনলাইনে আসা এসব সমালোচনা বা নিন্দে কোনওটাটেই কান দিতে রাজি নন অনুপম। বরং প্রশংসাতেই বেশি মন দিতে চান তিনি। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘কিছু লোকের𒉰 কথা শুনে খুব মজা পেলাম, বলছে রবিঠাকুরকে ‘একলা ছেড়ে দিন’। একটা দিনে ৮৬.৪০০ সেকে🥃ন্ড আছে। তাতে যদি কেউ ১০ সেকেন্ডের জন্য এসব কথা বলে, আমি অন্তত সেসব ভেবে আমার সেকেন্ড নষ্ট করব না।’ অনুপম জুড়ে দেন, ‘এই লোকগুলো নিজেদের যেন ঠাকুরের মুখপাত্র মনে করে।’
কাশ্মীর ফাইলস অভিনেতা আরও জানান, ‘এরপর কেউ হয়তো বলবে গান্ধির উপরে সিনেমা বানিয়ে না। বোকা বোকা কথা। তাহলে রবি ঠাকুরকে একা ছেড়ে দাও এর মানে কি? এরকম হতে থাকলে তো লোক শিন্ডলার'স লিস্ট (১৯৯৩) এবং ওপেনহেইমার-এর মতো প্রোজেক্ট বানানো বন্ধ🌺 করে দেবে। এই ধরনের কথার আমার কাছে অন্তত কোনও গুরুত্ব নেই। আর দুনিয়ার কেউ সমালোচনার হাত থেকে বাঁচতে পারে না। আমিও🍨 সমালোচনা নিয়ে বাঁচতে শিখে গিয়েছি।’
সঙ্গে নাম না করে স্বস্তি⛦কাকে ঠুঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আমার অনেক এনার্জি। তবে তার মানে এই নয় যে সেগুলোকে যে কারও ক্ষেত্রে নষ্ট করব। হাতে কাজ নেই, লোকের সমালোচনা করে বিতর্ক তৈরি করে খবরে আসার চেষ্টা। লোককে সমালোচনা করে যদি আপনাকে সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়, তাতে কী লাভ!’
অবশ্য ন🤪িজের করা টুইটের বক্তব্যকে বিশ্লেষণ করে দিয়েছেন স্বস্তিকা আগেই। টিভি নাইনকে বলতে শোনা যায়, ‘অনুপম খের অত্যন্ত গুণী অভিনেতা। শুধু অনুপম খের কেন, যে🧜 কেউই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করতেF পারেন। তবে আমি বলতে চেয়েছিলাম, এখন তো প্রচুর প্রপাগ্যান্ডা ছবি হচ্ছে। সেই প্রপাগ্যান্ডা থেকে রবি ঠাকুরকে দূরে রাখাই ভালো।’