ফের অশান্ত মণিপুর। একজন প্রতিবাদকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।🌊
সোমবার অসমের বরাক নদী থেকে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার 𓆏করা হয়েছে, গত সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ছয়জনে দাঁড়িয়েছে, উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলে꧂ছে যে এই মৃত্যুর সাথে প্রতিবেশী মণিপুরের হিংসার যোগসূত্র থাকতে পারে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
দুপুর ১টা নাগাদ অসমের লখিপুরের সিঙ্গারব্যান্ড পার্ট-৪-এর নুঙ্গাই এলাকা থেক𒉰ে ২৫ বছরের লᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚাইশরাম হেইতোম্বি দেবীর দেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা প্রথমে দেহটি দেখতে পান, যা পরে লখিপুর থানার একটি দল উদ্ধার করে। এর আগের দিন একই নদ💃ীতে পৃথক ঘটন🦋ায় এক নারী ও এক শিশুসহ আরও দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়।
গত ১১ নভেম্বর মণিপুরের জিরিবামে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা যে ছয়জন নারী ও শিশুকে অপহরণ করেছিল, তাদের দেহগুলো থাকতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। তবে সোমবার উদ্ধার হওয়া দেহগুলো সহ তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পা🍬রেনি কর্তৃপক্ষ।
অন্য একটি ঘটনায় রবিবার রাতে জিরিবামে মণিপুর পুলিশের গুলিতে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, জিরিবাম শহরে একটি বিক্ষোভ চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে, 🌼যেখানে লোকেরা ছয়জনের মৃত্যুর নিন্দা করছিলেন। মণিপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার (কমব্যাট)🍒 সঞ্জেমবাম নেকতার এবং তার দল বিক্ষোভে হস্তক্ষেপ করে এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলে জানা গেছে।
পরে বিক্ষোভকারীরা পূর্ত দফতরের গেস্ট হাউসে ঢুকে এসএসপি অমৃতের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গেস্ট হাউসে মোতায়েন নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কয়েক রাউন্ড 🍸গুলি চালিয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের সময় একজন গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অপর একজন গুলিবিদ্ধ হন।
নিহতের নাম খুন্দ্রাকপাম আথৌবꦐা (২০) এবং আহত ব্যক্তির নাম কে বিষাণ (২৬)। বিষাণকে প্রথমে জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এব🌞ং পরে অসমের শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মণ💞িপুরে নতুন করে জাতিগত হিংসা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে সোমবার মণিপুরে অতিরিক্ত ৫০ কোম্পানি সিআরপিএফ ও বিএসএফ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
৩৫টি ইউনিট 🅠থাকবে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ), বাকিটা থাকবে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।
মণিপুরের জিরিবাম জেলায় সাম্প্রতিক হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর এটি দ্বিতীয🅠় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মো𝓀তায়েন।
১২ নভেম্বর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (এমএইচএ) আরও ২০টি সিএপিএফ ইউনিট - ১৫টি সিআরপিএফ এবং পাঁচটি বিএসএফ ইউনিট - মণিপুরে পাঠিয়েছ🎶ে। গত সপ্তাহের মোতায়েন সহ ২১৮টি সিএপিএফ কোম্পানি এখন গোলযোগপূর্ণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে হিংসার মাত্রা এবং গতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর ভিত্🔯তি করে এই ৫০টি নতুন ইউনিট মোতায়েনের পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার দিল্লিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন এবং মণিপুরের 🌞নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছে💧ন।
২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে মহারাষ্ট্রে🥃 জনসভা করে মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লি ফে🍒রেন অমিত শাহ।
২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ম♛ণিপুরে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚত উত্তেজনা চলছে। সংঘর্ষের কারণে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
(পিটিআই ইনপুট সহ)
একাধিক জেলায় কারফিউ লাগু করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট সাত জেলায়। বুধবার পর্যন্ত নেট বন্ধ থাকবে। ইম্ফলের একাধিক সরকারি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় মৈতেয়ীদের সংগঠন। এমনকী মুখ্য নির্বা🐻চনী আধিকারিকের অফিসে গিয়ে তালা ঝোলানোর চেষ্টা করেন তারা।