মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা ধরে রাখতে বিজেপি যে কতটা মরিয়া, সেটা তাদের গত কয়েক দিনের ভোট প্রচারেই স্পষ্ট। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে এসেছে, ততই প্রচারে ঝাঁঝ বাড়িয়েছে পꦅদ্ম শিবির। কেমন ছিল তাদের সেই ভোট প্রচার পর্ব?
মহারাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির প্রবীণ ও প্রথম সারির নেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। তাঁরা মানুষের কাছে দলের জনকল্যাণমূলক নীতিগুলি তুলে ধরেছেন। একইসঙ্গে, বিজেপির মতাদর্শগত বিশ্বাসের উপ𒆙রেও জোর দিয়েছেন এবং ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি ঘুরে বৈঠক করেছেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সেইসব ঘরোয়া বৈঠকে বিরোধী জোটের 'ফা🐎ꩵঁক' তুলে ধরেছেন বিজেপির প্রবীণ নেতারা।
এরইসঙ্গে, পাল্লা দিয়ে আয়োজন করা হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় সমাবেশ। কিন্তু, প্র🦩বীণ নেতারা আগাগোড়া হেঁটে প্রচারের উপর জোর দিয়েছেন। প্রসঙ🤪্গত, এভাবে জনসংযোগ মূলত আরএসএস কার্যকর্তারা করেন। বিজেপির প্রবীণ ব্রিগেডও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
অন্যদিকে, এবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই একেবারে সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি এক ডজনেরও বেশি সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রচারে ঝড় তুলেছেন দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি-সহ অন্য মন্ত্রীরা। সব মিলিয়ে এব🥂ারের মহারাষ্ট্র নির্বাচনে বিজেপির প্রচার ছিল, এককথায় 'হাই ভোল্টেজ'! বিজেপির এক স্থানীয় নেতাই একথা বলেছেন।
ওই নেতা আরও জানিয়েছেন, এবারেꦫর প্রচার পর্ব চলাকালীন তাঁদের দলের প্রত্যেক সদস্য বিরোধী জোটের দুর্বলতাগুলি তুলে ধরে আক্রমণ তীব্রতর করেছেন। তাঁরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন - মহাযুতি এবং মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)-এর মধ্যে অন্তর্নিহিত পার্থক্য রয়েছে।
বিজেপি নেতা-কর্মীরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, এমভিএ-র কোনও রাজনৈতি✤ক স্থিরতা নেই। কিন্তু, মহাযুতি (এনডিএ)-এর স্বাভাবিক জোট বাঁধার ক্ষমতাই এই গোষ্ঠীকে বিপক্ষের তুলনায় শক্তিশালী করে তুলেছে।
এই প্রচার পর্বে বিজেপি ও সঙ্ঘ ক্যাডারদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যাতে তাঁরা গ্রামীণ এলাকায় যান এবং মানুষকে বꦬোঝান - বিজেপিশাসিত রাজ্য এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে কতটা ফারাক রয়েছে এবং সেই তুলনামূলক বিচারে বিজেপি কতটা এগিয়ে রয়েছে।
বিজে🐟পির ওই নেতার দাবি, মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করেছে। কারণ, বিজেপি সর্বদা তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করেছে এবং🦩 মহারাষ্ট্রের মানুষও সেটা দেখেছে।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে আসনবণ্টন ও প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে মহারাষ্ট্রে অনেক টানাপোড়েন দেখা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিজেপি নেতার দাবি, তাঁদের শীর্ষ নেতৃত্বের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিদ্রোহীদের নিরস্ত্র করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু, এমভিএ-র কাছে এই দলীয় বিদ্রোহই বড় 𒈔চ্যালেঞ্জ হবে বলে দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা।