এবার ব🐈েঙ্গালুরুতে পাল্টে যেতে চলেছে অ্যামাজন হেডকোয়ার্টারের কর্পোরেট অফিস। বেঙ্গালুরুতে আগে এই অফিস ছিল, শহরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। সেই অফিস এবার জায়গা বদল করে চলে যাচ্ছে শহরের প্রান্তিক দিকে। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের কাছে এবার অ্যামাজন ইন্ডিয়ার কর্পোরেট অফিসের নতুন ঠিকানা হতে চলেছে। এই﷽ ঠিকানা বদলের নেপথ্যে রয়েছে খরচায় কাটছাঁট।
বেঙ𒅌্গালুরুর ব্রিগেড রোডে ১৮ টি তলা জুড়ে রয়েছে অ্যামাজন ইন্ডিয়ার হেডকোয়ার্টার। সেখানে ৫০০০,০০০ স্কোয়ারফুট জায়💙গা ছেড়ে দিচ্ছে অ্যামাজন। এই অফিসের মালিকানা ছিল ব্রিগেড এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের। এই খালি জায়গায় ব্রিগেড কর্তৃপক্ষ নতুন কাকে ভাড়া দেয় সেদিকেও নজর সকলের। এছাড়াও এই বিপুল এলাকা ছেড়ে অ্যামাজন চলে যেতেই আশপাশের বাড়ি, ফ্ল্যাটগুলিতেও তার প্রভাব পড়বে। বর্তমানে যে জায়গায় অ্যামাজনের অফিস হতে চলেছে, সেই জায়গার মালিকানা 'সত্তবা' সংস্থার। সংস্থাটি কলকাতা নির্ভর রিয়েল এস্টেট সংস্থা সালারপুরিয়া গ্রুপের।
আগামী বছর এপ্রিল অর্থাৎ ২০২৫ সালে শুরু হবে, আর ✃তা শেষ হবে ২০২৬ সালের এপ্রিল। অ্যামাজনের বর্তমান অফিসটি ৪০ একর কমপ্লেক্সে ১,২০০টিরও বেশি আবাসিক ফ্ল্যাট সহ একটি শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত। সেখানে রয়েছে একটি পাঁচ তারা হোটেল, একটি হাসপাতাল এবং একটি স্কুল, পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা যেমন একটি ক্লাব এবং একটি জগিং ট্র্যাকও রয়েছে সেখানে। নতুন যে অফিসটিতে অ্যামাজন ইন্ডিয়ার নতুন ঠিকানা হতে চলেছে সেটি বেঙ্গালুুরু বিমানবন্দর থেকে ১৫ মিনিটের রাস্তা (গাড়িতে)। তবে অ্যামাজনের ৫,০০০ জন কর্মীকে নতুন অফিসের কাছাকাছি থাকার জন্য ভাবতে হচ্ছে। বর্তমানে অ্যামাজনের যেখানে অফিস, সেখান থেকে নতু🥂ন অফিস ২০ কিলোমিটার দূরে। ফলে বর্তমান অফিস থেকে নতুন অফিসের দূরত্ব মিনিটের বিচারে ৮০। বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক পেরিয়ে এই বিরাট দূরত্ব অতিক্রম করা বহু কর্মীর জন্যই সমস্যাজনক হয়ে গিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের যে জায়গায় বর্তমানে অ্যামাজনের অফিস রয়েছে, সেখানের আশপাশে অনেক ফ্ল্যাট বাড়িঘর রয়েছে। সেখানে সংস্থার বহু কর্মী বসবাস করতেন এতদিন। ফলে তা অফিসের কাছেও হত। তবে বর্তমান জায়গা থেকে অফিস ৮০ মিনিট দূরে হওয়ায় তা অনেকের জন্যই উদ্বেগ তৈরি করেছে।
মিন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী সংস্থায় ৬ বছর ধরে কর্মরত এক কর্মী বলছেন,' এটি একটি আবাসস্থল ছিল - একটি নিরাপদ এবং শান্ত প্রতিবেশী, আমাদের শিশুদের জন্য স্কুল, একটি মল এবং খাবারের জায়গা সমেত এলাকা ছিল।' তিনি বলেন, এখন ' আমাদের অফিসের কাছাকাছি আরেকটি বাড়ি দেꦚখতে হবে, কারণ এখান থেকে গাড়ি চ𓄧ালিয়ে অত দূর যাওয়া খুবই চাপের বিষয়।'