জীববৈচিত্র্য-প্রকৃতি-পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ ভারতের। 🅠২০৩০ সালের মধ্যে, দেশের অন্তত ৩০ শতাংশ ভূমি, জল এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলিকে সুরক্ষিত করা হবে♎ জীববৈচিত্রের স্বার্থেই।
উল্লেখ্য, কলম্বিয়ায় রাষ্ট্রসংঘের জীববৈচিত্র্💃য সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়েছে নতুন ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান। কুনমিং-মন্ট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্কের (কেএম-জিবিএফ) সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই প্ল্যান প্রকৃতির রক্ষার্থে ২৩টি বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যের কথা বলে।
আরও পড়ুন: (C𝄹ardamom Health Benefits: রাতে ঘুমোনোর আগে এলাচ খান, ওজন তো কমবেই, আরও ৫টি 𓄧উপকার পাবেন)
কুনমিং-মন্ট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক (কেএম-জিবিএফ) এর একটি প্রধান লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্তত ৩০ শতাংশ ভূমি এবং সমুদ্র এলাকা রক্ষা করা। এর লক্ষ্য বন, জলাভূমি এবং নদীগুলির♏ মতো ক্ষতিগ্রস্ত বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। যাতে বিশুদ্ধ জল এবং দূষণমুক্ত বাতাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদে কোনও ঘাটতি না আসে।
আর সবথেকে বড় বিষয়, ভারতের জীৱবৈচিত্রের জুড়ি মেলা ভার। সর্বাধিক জীববৈচিত্র্য সহ ১৭টি দেশের মধ্যে একটি হল ভারত। পৃথিবীর পরিচিত প্রজাতির ৭-৮ শতাংশের আবাসস্থল ভারত, গ্রহের ২.৪ শতাংশ ভূমꦑি জুড়ে অবস্থান করছে দেশটি।
আর আপডেট করা ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি𝕴 স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান অনুসারে, ভারত ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের জন্য প্রায় ৩২,২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে৷𒅌 ২০২৯-২০৩০ সাল পর্যন্ত জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রতি বছরে প্রায় ৮১,৬৬৪.৮৮ কোটি টাকা খরচ হতে পারে৷
আরও পড়ুন: (Sleeping Tips: মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যায়? এর কারণ কী? কী করে এই সমস্যা থেকে বাঁচবে꧒🍨ন)
ভারত তিনটি প্রধান লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে
ভারতের প্রথম লক্ষ্য, জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হ্রাস করা। এর মধ্যে আবার আটটি অতিরিক্ত লক্ষ্য রয়েছে, প্রথম পাঁচটি প্রকৃত🔯ির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির উপর নজর দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ভূমি এবং সমুদ্রের ব্যবহারে পরিবর্তন, দূষণ, প্রজাতির অত্যধিক ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আক্রমণাত্মক প্রজাতি। অবশিষ্ট তিনটি লক্ষ্য হল বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, প্রজাতি এবং জিনগত বৈচিত্র্য বজায় রাখা এবং বন্য প্রজাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত কর꧃া।
ভারতের দ্বিতীয় লক্ষ্য, সঠিক উপায়ে জনগণের চাহিদা মেটানো। এই ক্ষেত্রেও আলাদা করে পাঁচটি লক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, কৃষক, পশুপালক, জেলে, উপজাতীয় মানুষ এবং বনবাসী সহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহের দিকে নজর দেওয়া। শহরে আরও সবুজ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তারই সঙ্গে দেশের জীববৈচিত্র্🅰যের সুবিধার ন্যায্য ভাগাভাগি, কোনও ক্ষতি না করে জীববৈচিত্র্যকে সংরক্ষণও করতে চায় ভারত।
ভারতের তৃতীয় লক্ষ্যই হল জীববৈচিত্র্য রক্🧜ষার্থে ৩০ শতাংশ এলাকা সুরক্ষিত করা। প্রকৃতিকে রক্ষায় স্থানীয় সম্পদকে ফুরিয়ে🐬 যাওয়ার হাত থেকে বাঁচানো।
প্রসঙ্গত, কৃষি, শিল্প, নগরায়ন এবং বিভিন্ন প্রজাতির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে অনেক বাস্তুতন্ত্রের অবনতি হয়েছে। এমন সময়ে, জীৱবৈচিত্রকে রক্ষা করা একান্ত জরুরি। ১৯৯২ সাল ꧂থেকেইবেই পরিকল্পনা করে আসছে কর্তৃপক্ষ। কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটি (CBD) দেশগুলিকে তাদের নিজস্ব জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও সঠিক ভাবে ব্যবহার♐ করার পরামর্শ দিয়েছে। এই খাতে, কতটা নিজেদের উন্নত করছে দেশগুলো, প্রতি চার বছর পরপর সেই রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছে।