টেনশন মনে হয় একেই বলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবার বঙ্গসফরে এসে বাংলার বিজেপিকে একটা টাস্ক দিয়েছিলেন। সেটা হল সদস্যপদ সংগ্রহের টার্গেট পূরণ করতেඣ হবে। গত ২৮শে অক্টোবর স🐟েই টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপিকে নভেম্বরের মধ্যে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করতে হবে।
এরপর কার্যত আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। বিয়ে বাড়ি, চা চক্র, ঘরোয়া আড্ডা সর্বত্র বিজেপির এখন একটাই লক্ষ্য সদস্যপদ সংগ্রহ করা। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দ🥃িলীপ ঘোষ, বাহুল সিনহা, শমীক ভট্টাচার্য, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল একেবারে দরজায় দরজায় ঘুরছেন বিজেপির সদস্যপদ সংগ্রহের জন্য। কারণ এটা একেবারেই প্রেস্টিজের ব্যাপার।
সূত্রের খবর, নভেম্বরের মাঝামাঝি বিজেপি মাত্র ১৯.৫ লাখ সদস্যপদ সংগ্রহ করতে পেরেছে। তার মধ্য়ে অর্ধেক আবার পুনর্নবীকরণ হওয়া সদস্য। এদিকে হাতেও আর বিশেষ সময় নেই। সেকারণে কার্যত রাতের🐷 ঘুম উধাও হওয়ার জোগাড়।&ꦏnbsp;
কারণ অনেকের মতে, তৃণমূলের এই দাপটের মধ্য়ে এক 𝄹কোটি সদস্য বাংলা থেকে সংগ্রহ করা কি মুখের𒀰 কথা! তবে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না বঙ্গ বিজেপি। এমনকী বিয়ে বাড়িতে গিয়েও সদস্যপদ খুঁজছে বিজেপি।
এদিকে ২০ নভেম্বর দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় পর্যায়ের মিটিং রয়েছে। সেখানে বাংলার প্রতিনিধিরা থাকবেন। এতদিন নানা বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকা নিয়ে আড়ালে প্রশ্ন তুলতেন বঙ্গ বিজেপির একাং🍸শ। আর এবার সদস্যপদ নিয়ে বঙ্গ বিজেপিকে পালটা চেপে ধরতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত ব꧃াংলার বিজেপি নেতৃত্ব কী জবাবদিহি করেন সেটাই দেখার। তবে তার আগে অন্তত একটা সম্মানজনক সংখ্য়া নিয়ে দিল্লি যেতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। যাতে অন্তত মুখ রক্ষা হয়। কিন্তু এখনও তো অর্ধেক সদস্যও জোগাড় হয়নি।
সম্ভবত শমীক ভট্টাচার্য ও সুকান্ত মজুমদার এই মিটিংয়ে উপস্থিত থাকবেন। সেখানে অন্তত টার্গেটের অর্ধেকও যাতে দেখানো যায় তার চেষ্টা চলছে। তবে সেটা আদৌ কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে কিছুটা সংশꦐয় থেকেই গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত মোটামুটি এক চতুর্থাংশ সদস্যপদ সংগ♔্রহ করতে পেরেছে বাংলার বিজেপি। তার মধ্য়ে নতুন সদস্য প্রায় ৯ লাখ। ২০১৮-১৯ সালে বিজেপি বাংলা থেকে ৮৮ লাখ সদস্য সংগ্রহ করেছিল। তবে এবার আচমকা সেই জায়গা পর্যন্ত পৌঁছনটাই বিজেপির কাছে 𒅌বেশ কষ্টকর হয়ে গিয়েছে।