৪৫ বছরের সুখী দাম্পত্য ছিল তাঁদের। ১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার স্বামীকে হারিয়ে বিপর্যস্ত বর্ষীয়ান অভিনেত্র𓂃ী মুনমুন সেন। এদিন খবর পাওয়া মাত্রই ভরত দেব বর্মার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বেদান্ত আবাসনের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছജিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেসময় বাড়িতে ছিলেন না মুনমুন ও রিয়া। তবে পরে মুনমুন সেন ফেরার পর সন্ধ্যেয় আবারও সেখানে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর সঙ্গী ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
এদিন কালো কুর্তা ও সাদা পালাজো প্যান্টে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেপাশে দেখা যায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন আবেগে জড়িয়েও ধরেন ঋতুপর্ণা। আনন্দবাজারকে অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব কষ্ট হচ্ছে আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। খুবই দুঃখের খবর।’ এদিন শুধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তই নন, মুনমুন সেনের সঙ্গে দেখা করতেꦬ যান আবির চট্টোপাধ্যায়, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সহ টলিপাড়ার আরও অনেকেই।
এদিন স্বামীর মৃত্যুর পর শোকে বিপর্যস্ত ꦆমুনমুন সেন সাংবাদিকদের জানান, ‘খবর পেয়েই ছুটে এসেছি। আমাদের জীবনটা এবার বদলে যাবে। যে চালাত আমাদের জীবন সে চলে গেল।’ এদিন রাইমা সেন বলেন, ‘শেষ সময় পাশে থাকতে পারলাম না, বাবাকে খুব মিস করব।’
জানা যাচ্ছে এদিন🍌ই (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় কেওড়াতলা শশ্মানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ভরত দেব বর্মার। সেসময় স্ত্রী মুনমুন সেন ছাড়াও ছিলেন দুই মেয়ে রাইমা ও রিয়া।
প্রসঙ্গত ভরত দেব বর্মা ছিলেন ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ছেলে। ১৯৭৮ সালে প্রথম পরিচয় হয় মুনমুন ও ভরতের। সেসময় এক বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে মুনমুনকে নিজের গাড়িতে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি🍒লেন ভরত। ব্যাস, সেদিনই মুনমুন ঠিক করে ফেলেন ভরতকে বিয়ে করবেন। পরে ওই বছরই মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের একমাত্র কন্যা মুনমুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ভরত দেব বর্মার।
অভিনয় হোক কিংবা রাজনৈতিক কেরিয়ার, বরাবরই স্ত্রী মুনমুন সেনের পাশে থেকেছেন ভরত দেব বর্মা। কোনওদিনই সিনেমার কাজে মুনমুনকে বাধা দেননি তিনি। আবার ম♍ুনমুন সেন যখন রাজনীতিতে পা রাখেন, সেসময়ও স্ত্রীর পাশেই ছিলেন ভরত দেব বর্মা সুখী দাম্পত্য ছিল তাঁদের।