২০২৪-এর শুরু থেকে শেষ, একের পর এক খারাপ খবরে বারবার মন খারাপ হয়েছে বিনোদন দুনিয়ার। ১৮ নভেম্বর, সোমবার 'পথের পাঁচালী'র দুর্গা উমা দাশগুপ্তের মৃত্যুর পর ২৪ ঘণ্ট💯াও কাটল না, ফের একটা খারাপ খবর। অসুস্থ ছিলেনই, তবে মঙ্গলবার আচমকাই আসে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জামাই ভরত দেব বর্মার মৃত্যুর খবর। এদিন তাঁরꩵ মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
বহু ছবিতে চিরঞ্জিতের নায়িকা ছিলেন মুনমুন সেন। সেসময় স্ত্রীর সঙ্গে শ্যুটিং সেটে যেতেন তাঁর স্বাম♏ী ভরত দেব বর্মা। সেই সুবাদেই চিরঞ্জিতের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ভরতের। যদ💦িও বর্তমানে তাঁদের মধ্যে বহুদিন দেখা সাক্ষাৎ হয়নি বলেই Hindustan Times Bangla-কে জানালেন চিরঞ্জিৎ। ফোন করতেই বললেন, ‘ওঁর সঙ্গে যদিও বহুদিন দেখা হয়নি। আগে যখন মুনমুন আর আমি একসঙ্গে ছবি করতাম, তখন মাঝে মধ্যেই ভরতের সঙ্গে শ্যুটিং ফ্লোরে দেখা হত। ওঁর বাড়িও গিয়েছে বেশ কয়েকবার তখন দেখা হয়েছে। ভরত খুবই মিষ্টি স্বভাবের মানুষ ছিলেন। তবে স্বাধীনচেতা ছিলেন, মুনমুনকে কোনওদিনই সিনেমা করতে বাধা দেননি।’
চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গেও ভরত ভালো☂ই মিশতেন। উনি যদিও মিতভাষী মানুষ ছিলেন। খুবই অল্প কথা বলতেন, তবে বড্ড রসিক ছিলেন। মাঝে মধ্যেই রসিকতা করতেন। এবিষয়ে একটা কথা আজ মনে পড়ছে। সেটা ঘটেছিল অমরকণ্টক ছবির শ্যুটিংয়ের সময়, একটি দৃশ্যের শ্যুটিং করতে গিয়ে মুনমুন সত্যি সত্যিই ই আমার হাতে কামড়ে দিল। সেটা দেখে ভরত চুপিচুপি রসিকতা করে বলেছিল, ‘ইনঞ্জেকশন নিয়ে নিও কিন্তু, 🎀অ্যান্টি র্যাবিট কিছু নিয়ে নাও, ভীষণ বিষাক্ত…। আমি শুনে হেসে ফেলেছিলাম।’
শেষবার ভরত দেব বর্মার সঙ্গে কবে দেখা হয়েছিল? এপ্রশ্নে চিরঞ্জিৎ চক্রবর𝔉্তী বলেন, ‘ভরতের সঙ্গে বহুদিন দেখা হয়নি। তবে বেশকছুদিন আগে পরমব্রত (চট্টোপাধ্যায়) একটা পার্টি দিয়েছিল, তখন মুনমুনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তখন মুনমুন বলছিল। আমি এখন বিশেষ বের হই না। বাড়িতেই থাকি, ভরত অসুস্থ♊ ওর দেখাশোনা করতে হয়। এই শেষ কথা হয়েছিল মুনমুনের সঙ্গে ভরতকে নিয়ে…।’