সুচিত্রা সেনের জামাই ভরত দেব বর্মা আর নেই। ১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকাই মৃত্যু হয় মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মার। সেসময় অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না মুনমুন ও তা🎃ঁর মেয়ে রাইমা, দুজনেই বিশেষ কাজে দিল্লিতে ছিলেন বলে জানা যায়। তবে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়েই তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরে আসেন মুনমুন।
এদিন মুনমুনের সঙ্গে ছিলেন বড় মেয়ে রাইমাও। একইসঙ্গে এদিন বালিগঞ্জের বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায় রাইমা ও মুনমুনকে। সেসময় মুনমুন সেনের পরনে ছিল অফ হোয়াইট রঙের কো-অর্ড ড্রেস, গলায় ওড়না। কালো চশমায় এদিন চোখ ঢেকে রেখেছিলেন সুচিত্রা কন্যা। স্বভাবতই এদিন তাঁর বালিগঞ্জের বাড়িতে ছিল সাংবাদিকদের ভিড়। তবে মন ভালো ছিল না। তাই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও হট্টগোলে কিছুটা বিরক্ত হয়ে যান, কথা না বলেই ফিরে যান তিনি। সেই মুহূর্তটিꦰ উঠে এসেছে টলিউড অনলাইনের ক্যামেরায়।
সো♏শ্যাল মিডিয়ায় উঠে আ📖সা এই ভিডিয়ো ঘিরে নেটিজেনদের নানান মন্তব্য উঠে এসেছে। সেখানে একজন লিখেছেন, ‘উনি কথা বলতে এলেনই বা কেন এই রকম মনের অবস্থায়। এই সময় মানুষকে একা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’ কারোর মন্তব্য, ‘বিষয়টি খুবই অসংবেদনশীল হয়ে গিয়েছে…’। এমন নানান মন্তব্য উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, এদিন শেষ সময়ে মুনমুন স্বামীর পাশে না থাকতে পারলেও সেসময় বালিগঞ্জের বাড়িতেই ছিলেন ছোটমেয়ে রিয়া সেন। ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুনমুন সেনের সঙ্গে বি✨য়ে হয়েছিল ত্রিপুরার রাজপরিবারের ছেলে ভরত দেব বর্মার। দীর্ঘ ৪৫ বছরের সুখী দাম্পত্য তাঁদের। ভরত-মুনমুনের দুই মেয়ে রাইমা সেন এবং রিয়া সেন। সুখী দাম্পত্যের গোপন রহস্য হিসাবে সুচিত্রা কন্যা জানিয়েছিলেন, সবার আগে স্বামীকে সবথেকে ভা𒐪লো বন্ধু ভাবতে হবে।
এদিন মুনমুন সেন কলকাতায়༺ না থাকলেও ভরতের দেব বর্মার মৃত্যুর খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘মুনমুন দিল্লিতে, রাইমাও দিল্লিতে। এখানে রিয়া আছে। ওদের বন্ধুরাও আছে। আমার স🌠ঙ্গে মুনমুনের কথা হয়েছে। ও বেচারা জানতো না। হয়ত প্রেসের মাধ্যমেই খবরটা পেয়েছে। ভরত আমাকে খুব ভালোবাসতো। এটা বিরাট ক্ষতি, হঠাৎ করেই মারা গিয়েছে। নিজের একজন শুভাকাঙ্খী, একজন আত্মীয়কে হারালাম।’