বলিউডের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ গায়ক তিনি। আট থেকে আশি, তাঁর সুরের জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ সকলে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী জুড়ে তাঁকে ভালোবাসার মানুষ অগুণতি। তবে লাইমলাইট থেকে হামেশই দূরে থাকতে পছন্দ করেন অরিজিৎ সিং। শিকড়ের টানে ফিরে এসেছন নিজের দেশের মাটিতে। মুর্শিবাদের জিয়াগঞ্জই স্থায়ী ঠিকানা অরিজিৎ সিং-এর। আরও পড়ুন-মাকে হারিয়েছেন আগেই, ফের কাছের মানুষকে 🧸হারিয়ে শোকস্তব্ধ অরিজিৎ সিং
মাঝে বেশ কয়েক বছর মুম্বইয়ে স্ট্রাগল করেছেন অরিজিৎ, জিয়ꦰাগঞ্জের আদরের সোমু। সাফল্যের শিখরে পৌঁছে শিকড়কে ভোলেননি অরিজিৎ, তার প্রমাণ সবসময়ই দিয়ে থাকেন ‘তুম হি হো’ গায়ক। নিজের ছেলেদের স্কুলের বাইরে আর পাঁচ-জন সাধারণ অভিভাবকের মতো অপেক্ষা করেন, স্কুটি চেপে ঘুরে বেড়ান, পাড়ার চপের দোকানে লাইন দেন, বাজার করেন। তিনি যতই বাংলার সর্বোচ্চ করদাতাদের অন্যতম হোন না কেন, নিজের পাড়ায় একেবারে সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির অরিজিৎ সিং৷ সেখানে না থাকে কোনও চাকচিক্য না মিথ্যা গ্ল্যামারের চশমা থাকে তাঁর চোখে৷
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অরিজিতের একটি ভিডিয়ো। সেখানে এক পাড়াতুতো জেঠিমার সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হওয়ায় রাস্তাতেই গল্প জুড়েছেন অরিজিৎ। ওই বয়স্ক মহিলা সোমু (অরিজিৎ সিং)-র কাছে তাঁর খোঁজখবর নেন। অরিজিতকে দেখে তিনিও যেন বেশ নির্বিকার! পাশ থেকে আরও এক মহিলা অরিজিৎ-কে জানান, এটি তাঁর ছেলে। সে এখন অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে। ওই প্রৌঢ়াকে অরিজিৎ বাড়ি আসার কথা বলেন। খুব আস্তে গলায় সব প্রশ্নের উত্ত🐲র দিতে দেখা যায় অরিজিৎ-কে। পাশের বাড়ির ভিতর থেকে গায়কের এই মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করেছেন তাঁরই কোনও অনুরাগী।
ভিডিয়োতে স্কুটিতে বসেই গল্প করতে দেখা গেল অরিজিৎ-কে। পরনে কালো রঙা পুলওভার, হালকা নীল প্যান্ট। জিয়াগঞ্জের অলিগলিতে স্কুটি নিয়ে হামেশাই 🌜ঘুরে বেড়াতꦗে দেখা যায় অরিজিৎকে। রাস্তায় তাঁর কোনও পরিচিতর সঙ্গে দেখা হলে এইভাবেই গল্প জোড়েন।
অরিজিৎ যে কতটা মাটির মানুষ, সেই প্রমাণ আগে অসংখ্যবার মিলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেরকম একাধিক ভিডিয়ো। যে মানুষটা আজ ভারতের সংগীত জগতের সম্ভবত বেতাজ বাদশা, সবার ভিড়ে তিনি এভাবে🦹 মিশে যেতে পারেন তা নিজের🎶 চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাটা বেশ মুশকিল।
প্রসঙ্গত, রবিবারই কাছের ম🥂ানুষকে হারিয়েছেন অরিজিৎ। রবিবার দুপুরে জিয়াগঞ্জেই মৃত্যু হয় অরিজিতের দিদিমা ভারতী দেবীর। অরিজিতের পরিবারের ওই সদস্য জানান, বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছꦑিলেন ভারতী দেবী।