আলপিন থেকে এলিফ্যান্ট, সব বিষয় নিয়েই সমাজ মাধ্যমে নিজের মতামত রাখেন অরিত্র দত্ত বণিক। যে খুদেকে এꦐকটা সময় জি বাংলা ডান্স বাংলা ডান্সের মিষ্টি সঞ্চালক কিংবা দেবের ছবির শিশুশিল্পী হিসাবে দর্শক দেখেছে, এখন সে বদলে গিয়েছে পুরোদস্তুর।
মিডিয়া কনসালট্যান্ট হিসাবে কাজ করে, পাশাপাশি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গেও যুক্তও। তবে ক্যামেরার সামনে নয়, ক্যামেরার পিছনেই এখন বিচরণ ২৩ বছরের অরিত্রর। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, অরিত্রর মাস কয়ের আগের এক সাক🌃্ষাৎকার। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের সামাজিক ও আর্থিক পরিস্থিতিকে নিজের দৃষ্টিবঙ্গি দিয়ে বিশ্লেষণ করেছে সে।&nb💝sp;
অরিত্রর দৃষ্টিভঙ্গিকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন নেটপাড়া। সস্তায় আইটি কর্মী পাওয়া যায়, পশ্চিমবঙ্গে। আফসোসের সুরে জানালেন অরিত্র। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে বিঁধে HOW নামের এক ইউটিউব চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘ওড়িশা সেলফ হেলপ গ্রুপের কনসেপ্টটা সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছে।….এই সরকার (মমতা সরকার) প্রোডাকশনের গল্পে গেলোই না। শুধু কনজামশন লেভেল বাড়াতে 🀅হবে। তাহলে ইনসেনটিভ দাও, ব্যাস হয়ে গেল। তারপর ফিসকল ডেফিসিট দেখো, লোন দেখো….মার্কেটের হিসাবে গ্রোথ বাড়ছে কিনা, সেটা দেখল না। এটা বললেই গোঁসা হয়ে যাবে, বলবে আপনি বেশি বলেন’।
অরিত্রর নিশানা থেকে বাদ পড়লেন না বিজপি সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ🉐 গঙ্গোপাধ্যায়ও। অরিত্রর কথায়, এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বহু﷽ সিপিআইএমের আইনজীবী দিনের পর দিন বিনা পয়সায় লড়েছেন হাইকোর্টে। তাই বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতির ময়দানে আসায় আসলে বঞ্চিত হয়েছেন এই আইনজীবীরা। অরিত্র বলেন, ‘ওদের লড়াইয়ের আউটকাম হিসাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাগুলো রুজু হয়েছে। PIL (জনস্বার্থ মামলা) হয়েছে, তারপর তিনি রায় দিয়েছে, তারপর আমরা এগুলো জানতে পেরেছি। তাই কেউ বঞ্চিত হলে এই আইনজীবীরা হয়েছেন। সেটা না হলে কেউ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিনত না। ’
যে কোন দলে যাবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে প্রাক্তন বিচারপতি যেভাবে নি🐽জের দলের সহকর্মীদের ডিফেন্ড করছেন, তা হতাশাজনক বলেন অরিত্র। তাঁর কথায়, ‘উনি একজন প্রাক্তন বিচারপতি! তার থেকে আমার অন্যরকম আশা ছিল। উনি যাচ্ছেতাই লোক নন, সে জায়ꦆগায় উনি যেভাবে নিজের দলকে ডিফেন্ড করছেন তা আমার খারাপ লেগেছে।’
অরিত্রর এই ভাবনাকে সাবুধাদ জানিয়েছে, একজন লেখেন-'খুবই বাস্তব কথা একদম জাস্টিফাই। কিন্তু মুশকিল টা কোথায় বলতো ব্যাপারটা হচ্ছে তুমি আমি হয়তো এই কথাটা বুঝতে পারছি ক🦩িন্তু আমাদের রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষই ওই হাজার বারোশো টাকা লক্ষীর ভান্ডারে সব ভুলে যাবে।' আরেকজন লেখেন-'কথা গুলি যুক্ত সংত বলেছে, যাহারা নেগেটিভ মন্তব্য করছেন। তাহাদের শিক্ষার অভাব আছে।' অপর নেটিজেন বলেন, ‘ছেলেটা সত্যি মন দিয়ে পড়াশোনা করেছে’।
আরজি কর ইস্যুতেও সোশ্য়াল মিডিয়ায় সরব থেকেছেন অরিত্র। জুনিয়র চিকিৎসকদের হয়ে সোচ্চার হয়েছেন। দু-দিন আগে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দেবকেও একহাত নেন অরিত্র। একটা সময় তাঁকে ‘ইঁচড়ে পাকা’ কটাক্ষ শুনতে হলেও বর্তমানে তাঁর পরিণত বিশ্লেষণের ফꦗ্যান꧋ নেটপাড়ার একটা বড় অংশ।