শুধু নামের দিক থেকেই নয়, মনের দিক থেকেও তিনি ‘বাদশা’। ‘ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট’এর মঞ্চে তিনি তা প্রমাণ করলেন♌। শো'তে এসেছিলেন রাজস্থানের একদল লোকগীতির দল। নাম ‘ইসমাইল লাঙ্ঘা’। লোকগীতি গান পরিবেশন করে মঞ্চে মাতিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ কিরণ খের, শিল্পা শেট্টি কুন্দ্রার, বাদশা এবং মনোজ মুন্তাশিরের মতো বিচারকরা।
শো'তে আসা প্রতিযোগীদের মধ্যে একজনের পাগড়ি না পরার কারণ জানতে পেরে, বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বিচারকরা। অর্থাভাবে যেন মেয়ের বিয়ে না আটকায়, তাই মোটা অঙ্কের টাকা ধার নিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। একে করোনার জন্য বিনোদন দুনিয়ায় ভাটা। উপার্জন নেই, কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা! ঋণ মেটাতে না পেরে নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, যতদিন পর্যন্ত ধার-দেনা মেটাতে পারছেন 🍬না, মাথায় পাগড়ি তুলবেন না তিনি। প্রসঙ্গত, পাগড়ি রাজস্থানের সংস্কৃতির বাহক।
প্রতিযোগীর কথা মন ছোঁয় ব়্যাপার বাদশার। আসন ছে🉐ড়ে সোজা মঞ্চে চলে যান তিনি। ‘ইসমাইল লাঙ্ঘা’ দ🌳লের ওই সদস্যের মাথায় সযত্নে পাগড়ি বেঁধে দেন বাদশা। বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে সুযোগ দেন, তাহলে আপনার মেয়ের বিয়ের সব ধার-দেনা শোধ করে দিতে পারি আমি।’ বাদশার আচরণে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ওই দুঃস্থ শিল্পী। ধন্যবাদ জানান বাদশাকে। তাঁর এহেন মানবিক উদ্যোগে মুগ্ধ হয়েছেন শোয়ের অন্য বিচারকরা।
‘ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট’এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাদশাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘বাদশা যা করলেন, সেটা অ🍨প্রত্যাশিত ছিল আমার কাছে। কীভাবে ওঁনাকে ধন্যবাদ জানাব জানি না। আজ পর্যন্ত ১৭টি দেশে পারফর্ম করেছি। কিন্তু ‘ইন্ডিয়াজ গট ট্যালেন্ট’-এর মঞ্চে গান গাওয়া সত্যিই আমার কাছে আশীর্বাদের মতো।🧜’