নয়া দিল্লিতে নবনির্মিত নতুন সংসদ ভবন পরিদর্শন করেছেন র্যাপ𝄹ার, গায়ক এবং গীতিকার বাদশা। গায়ক-র্যাপার প্রথম সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব যাকে ভারত সরকার বিশেষভাবে স্থাপত্যের মাস্টারপিস দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
নবনির্মিত নতুন সংসদ ভবন পরিদর্শন করে বাদশা বলেছেন, ‘নতুন সংসদ ভবন পরিদর্শনের সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ ও সম্মানিত। এটি ভারতের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক টেপেস্ট্রি এবং ঐতিহ্যের উদযাপন এবং আমাদের জনগণ এবং আমাদের গণতন্ত্রের চেতনাও ♋প্রতিফলিত করে। এটি দেখবার মতো হয়েছে কারণ এটি আমাদের দেশের কারিগর এবং উজ্জ্বল কারুশিল্পকেও প্রদর্শন করে। এই তো নতুন ভারত! জয় হিন্দ।’ সফরে বাদশা সঙ্গীত গ্যালারির একটি বিশদ সফর করেছেন। ভারতের নাচ, গান এবং সঙ্গীত ঐতিহ্য উদযাপন ಌহয় এখানে।
আরও পড়ুন: শাহরুখের পর এবার সুহানা, বলিউড তারকা হওয়ার আগে🦩ই লাক্সের মুখ বাদশা-কন্যা, ছড়ালেন গ্ল্যামার
বাদশার আগে আয়ুষ্মান খুরানা , রাকুল প্রীত সিং, জ্যাকি ভগনানি, তামান্না ভাটিয়া, কঙ্গনা রানাওয়াত, ভূমি পেডনেকার, এশা গুপ্তা, দিব্যা দত্ত, ডলি সিং এবং শেনাজ গিল-এর𒀰 মতো তারকারাও নতুন সংসদ ভবন পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: ইডেনে 💯KKR ম্যাচ চলাকালীন ছেলে🧔র সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠলেন শাহরুখ, কী করলেন আব্রাম
আরও পড়ুন: Mumbai City FC-র জার্সি ঘুরিয়ে সেমিফাইনালে জয়ের সেল🤪িব্রেশন রণবীরের, ISL ফাইনাল ঘিরে তুমুল উত্তেজনা
২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। নয়া সংসদ ভবনের ভূমিপূজা এবং শিলান্যাস করেছিলেন প্রধান𒁏মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় আড়াই বছ🉐র ধরে চলেছিল ভবন নির্মাণের কাজ। এর পর ২০২৩ সালের ২৮ মে উদ্বোধন হয়েছিল নতুন সংসদ ভবনের। নতুন সংসদ ভবনের মোট ছ’টি প্রবেশদ্বার রয়েছে। আর সেই ছয় দরজায় পাহারায় রয়েছে ছয় ‘বিশেষ’ রক্ষী। কয়েকটি বাস্তবের এবং কয়েকটি পৌরাণিক কাহিনির প্রাণীর মূর্তি বসানো হয়েছে ছ’টি দরজায়। প্রত্যেকটি মূর্তি সংসদের বিভিন্ন দিক নির্দেশ করে।
এই ছ’টি প্রবেশদ্বার হল— গজ দ্বার, অশ্ব দ্বার, গরুড় দ্বার, মকর দ্বার, শার🐎্দুল দ্বার এবং হংস দ্বার। প্রতিটি দরজায় একটি করে প্রাণীর ভাস্কর্য রয়েছে। সেই অনুযায়ী দরজাগুলির নামকরণ করা হয়েছে। এই ছ’টি দ্বার ছাড়াও ঢেলে সাজানো হয়েছে সংসদ ভবনের অন্দরমহল। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উপকরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সংসদ ভবন। নাগপুরের সেগুনকাঠ থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে আনা কার্পেট, কী নেই সেখানে! নতুন সংসদ ভবন নির্মাণে দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাজ্যের নামীদামি শিল্পকর্মের ব্যবহার করা হয়েছে।
রাজস্থানের সরমথুরা থেকে লাল এবং সাদা বেলেপাথর এনে তৈরি হয়েছে সংসদ ভবনের একাংশ। ভবনটিতে ব্যবহৃত সেগুনকাঠ আনা হয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে। সংসদের গালিচাগুলি উত্তরপ্রদেশের ম🥀ির্জাপুর থেকে আনানো। নতুন সংসদ ভবন তৈরিতে ব্যবহৃত কেশরিয়া সবুজ মার্বেল পাথর উদয়পুর, লাল গ্রানাইট পাথর অজমেরের লাখা এবং সাদা মার্বেল পাথর রাজস্থানের আমবাজি থেকে আনা। ভবনের ভিতরে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র তৈরি হয়েছে বাণিজ্যনগরী মুম্বইতে। লোকসভা, রাজ্যসভার বিশাল দেওয়াল এবং সংসদ ভবনের বাইরে থাকা অশোকচক্র মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে তৈরি করা।
নতুন লোকসভা হলে মোট আসনের সংখ্যা ৮৮৮। নতুন সংসদের💧 নিম্নকক্ষের নকশা ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূরের থিমের উপর তৈরি করা হয়েছে। উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অন্দরের নকশা তৈরি হয়েছে জাতীয় ফুল পদ্মের থিমে। রাজ্যসভা হলের মোট আসন সংখ্যা ৩০০টি।