পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আর পিয়া চক্রবর্তীর বিয়ে নিয়ে ২৭ নভেম্বর উত্তাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। তারপর থেকে এখনও অবধি সেই রেশ রয়ে গিয়েছে। আসলে গায়ক অনুপম রাꩵয়ের স্ত্রী ছিলেন পিয়া। তবে বছরদুই আগেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে অনুপম-পিয়ার। ২০২৩ ꧂সালের শেষে এসে গাঁটছড়া বাঁধলেন ‘পরমপিয়া’। যদিও বিয়েটা হয়েছে সইসাবুদ করেই।
অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী-কে বিয়ে করায় ‘বউ চোর’ তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছে পরমব্রতর গায়ে। অভিনেতা ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন। প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, এসব ট্রোল ত🌄াঁর উপর ছাপ ফেলে না। মুখ খুলেছেন পিয়াও। এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অমুকের বউ তমুককে বিয়ে করলেন, এই লাইনটার মধ্য়ে ভয়ঙ্কর মিসোজিনি রয়েছে। আমি যে দুই পুরুষের সঙ্গে লিঙ্কড, তাঁরা বিখ্যাত। তার মানে এই নয়, আমার পরিচিতি হবে🌸 আমি কারুর এক্স। আর যে দু’জন পুরুষের কথা আসছে, তাঁরাও কিন্তু কারুর প্রাক্তন’।
এবার পরমব্রত আর পিয়ার পাশে দাঁড়ালেন অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চায় থাকেন তিনিও। তাঁর আর শোভনের সম্পর্ক নিয়ে অনলাইনে সমালোচনা-꧑ট্রোল চলতেই থাকে। তবে সেসব গায়ে মাখা ছেড়ে দিয়েছেন বৈশাখী অনেকদিন আগেই। কিন্তু পরমব্রত আর পিয়ার বিয়ে নিয়ে যেভাবে ট্রোল চলছে তা ভাঁজ ফেলেছে তাঁর কপালে।
বৈশাখী আনন্🅘দবাজারকে বললেন, ‘দুজন মানুষের বি﷽য়ে কোনও কারণে টেকেনি। তারপর সেই বিয়ে থেকে বেরিয়ে এসে অন্য সম্পর্কে গিয়েছে। দু বছর পরেও যেতে পারে, দুদিন পরেও যেতে পারে। দেখছি অনুপমের গাওয়া সব বিরহের গানই জুড়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিগত যন্ত্রণার সঙ্গে। দু বছর আগে কিন্তু বলা হচ্ছিল দোষ দু' পক্ষের আছে, কিন্তু যেই না একটা মানুষ আলাদা সম্পর্কে গিয়েছে, আরেকটা বৈশাখীকে পেয়ে গেল নেটপাড়া।’
এরপর মস্করা করে বৈশাখীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে যেমন বলꦫা হত, বর চুরি করে নিয়েছে। এখ💛ন আরেকটা শুনছি, বউ চোর।’
পরমব্রত জোর দিয়ে জানিয়েছেন, পিয়া-অনুপমেরꦑ ডিভোর্সের সময় তাঁরা শুধুই বন্ধুত্ব ছিলেন। কিছু লোকের ‘ফলস ন্যারেটিভ’ তাঁদের বিয়ের সিদ্ধান্তে সত্যি প্রমাণ হলেও, কিছু যায় আসে না তাঁর। সঙ্গে অভিনেতা꧃ নিজেদের সম্পর্কের গোপন কথা ফাঁস করে জানান, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে দুজনে সুইডেন এবং ডেনমার্ক ট্রিপে যান। সেইসময়ই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ৪২ বছরের পরমব্রত চেয়েছিলেন জীবনে থিতু হতে। আর তাই বিয়ে আর সংসার করার সিদ্ধান্ত।