সুখের সংসার এখন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। মেয়ে মহুলকে নিয়েই শোভনের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তিনি। ভালোবেসে শোভনকে দুষ্টু বলেꦏ ডাকে মহুল। উলটোদিক থেকেও আসে এই একই ডাক। যদিও মহুল বাবার ভালোবাসাই দ🅘েয় শোভনকে। আদরের ডাকটাই শুধু আলাদা!
দিনকয়েক আগে মহুলের জন্মদিনে বৈশাখী সোশ্যাল মিডিয়ায় করেছিলেন মন ছুঁয়ে যাওয়া একটা পোস্ট। ১ নভেম্বরꦍ মেয়েকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘যবে থেকে মহুল আমার জীবনে এসেছে তবে থেকে ওকে তোর মেয়ে বলে উল্লেখ করত মনোজিত। আর ওর এই একটা জিনিসই আমার শুনতে ভীষণ ভালো লাগত। মহুল আমার সন্তান। আমার জীবন। আমার বেঁচে থাকার কারণ। আমি শোভনের কাছে কৃতজ্ঞ ওকে এতটা ভালোবাসা দেওয়ার জন্য, ওর প্রতি একজন বাবার সমস্ত দায় দায়িত্ব পালন করꦦার জন্য।’
এর আগেও বৈশাখী অভিযোগ করেছিলেন মেয়ের কোনও দায়িত্বই নেননি কখনো মনোজিত। এমনকী, মেয়ে পরিচয় দেওয়ার আগে চাইত ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট। রায় বাহাদুরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৈশাখীকে একবার বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘একদিন মনোজিত আমায় প্রচণ্ড মেরেছে। মা বলে চিৎকার করে ওর আর মুখ বন্ধ হচ্ছে না। আমি ওকে জড়িয়ে ধরে ভাবছি, এভাবে বেঁচে থাকার কী দরকার। ওকেও মেরে ফেলব, নিজেও মরে যাব। হাতটা বাড়িয়েছিলাম মেয়ে মহুলের গলাটা টিপে ধরব বলে। তখন ওর সবে দু বছর, তুলতুলে গলা। আধো আধো স্বরে আমায় হাতজোর করে বলছে, আমায় মেরো না মা। ওই মহূর্তটায় মনে হল, ওকে পৃথিবীতে এনেছি কি এই দিনটা দেখাতে। স🎃ঙ্গে সঙ্গে ওকে বললাম, না মা তোকে বড় করব আমি!’
সেই সময় নাকি নিজেকে শান্ত করে ফের মনোজিতের কাছে যান বৈশাখী। অধ্যাপনা থেকেও সরে এসেছেন তখন। ফলে রোজগার নেই সেভাবে। মেয়েকে বড় করার মতো, মেয়ের পড়াশোনা করানোর♒ মতো অর্থও নেই। তাই প্রাক্তন স্বামীর কাছে গিয়ে তেমনটা বলেওছিলেন। আর উলটো দিক থেকে জবাব এসেছিল, ‘൲আগে ডিএন-এ টেস্ট করা। প্রমাণ হোক আমার মেয়ে। তারপর আমার পা চাটবি। তারপর টাকা দেব।’
বৈশাখীর কথায়, সেদিনই মনোজিতকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন কোনও অর্থের প্রয়োজন নেই তাঁর। নিজের পরিচয়ে বড় করবেন মহুলকে। একাই করবেন সেটা। এখন যদিও মা-মেয়েকে আগলে রেখেছেন শোভন। নিজের সন্তানের মতোই কলকাতার প্রাক্তন মেয়🌜র ভালোবাসেন ‘সহবাস সঙ্গী’-র মেয়েকে। এমনকী মহুলকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছেও তাঁর রয়েছে।