একসময় যেই এআর রহমান ভারতে অস্কার এনে দিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিল, বর্ত🤪মানে সেই সুরকারই রয়েছেন দেশবাসীর বড় একটা অংশের নিন্দায়। যার কারণ হল, বিদ্রোহী কবি কাজ𓂃ী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গান কারার ওই লৌহ কপাট-এর পুননির্মাণ। যা রীতিমতো বিরক্ত করেছে বাঙালিকে। শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশ থেকেও ক্রমাগত আসছে কটাক্ষ। গত কয়েকদিন ধরে এক্সে (আগের টুইটার) রীতিমতো ট্রেন্ড করছেন তিনি।
তবে রহমানকে ছোট্ট একটা ‘শিক্ষা’ দিয়েই দিলেন ওপার বাংলার হিরো আলম। নিয়েও নিলেন ‘প্রত♑িশোধ’। অন্তত নেটপাড়ার তো সেটাই মত। রহমানের অস্কারজয়ী ‘জয় হো’ গানটিকে বিকৃত করে গাইতে দেখা গেলা তাঁকে। কিছু কথা আর সুর বদলে ফেলেছেন তিনি। স্পষ্টতই খুব একটা শ্রুতিমধুর নয় সেই গান। তবে নেটিজেনদের পূর্ণ সমর্থন এবার হিরো আলমের দিকেই।
একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘উচিত শিক্ষা হয়েছে। রহমানে🅷র সব গানের সঙ্গেই এমন করা উচিত।’ আরেকজন লিখলেন, ‘এই প্রথম হিরো আলমকে ভালো লাগল আমার। সঠিক প𝐆্রতিবাদ। দেখ এবার। আর কোনওদিন নজরুলের গানকে নষ্ট করবি?’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘দেশের সবচেয়ে অযোগ্য সংগীত পরিচালক। ওঁকে বয়কট করা উচিত।’
পরিচালক রাজাকৃষ্ণ মেননের ছবি ‘পিপ্পা’য় ব্যবহার করা হয়েছে নজরুলের লেখা ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটি। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি ছবিতে ব্যবহার করা হলেও, গানটির সুর বদলে ফেলেছেন একেবারে। আর যা বাঙালির ভাবাবেগে করেছে আঘাত। মুখ খুলেছেন ইতিমধ্যেই সমাজের বিশিষ্ট জনেরা। প্রতিবাদ করেছে কাজীর পরিবারও। নাতি অনির্বাণ কাজ🐼ি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ছবির ক্রেডিট থেকে তাঁদের পরিবারের নাম সরিয়ে দেওয়া হোক। আর দেশবাসী তো ছবি থেকে গানটিই মুছে দেওয়া হোক তা চাইছেন।
এদিকে ‘পিপ্প💃া’র টিম জানিয়েছে, নজরুল পরিবারের থেকে সব রকম অনুমতি নিয়েই ‘কারার ওই লৌহ কপাট’কে ‘রিক্রেট’ করা হয়েছে। আর যা দিয়েছিলেন নজরুলের পরিবারের দুই সদস্য কল্যাণী কাজী এবং কাজী অনির্বাণ।
যদিও অনির্বাণ জানান, ‘মা গানটা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন সুর এবং কথা না বদলে রিক্রিয়েট করার জন্য। ✤কিন্তু, সেই সময় ওদের তরফে বলা হয়েছিল, গানটা ওরা নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে চায়। মা ওদের বলেছিল, গানটা তৈরি হয়ে গেলে একবার শোনাতেও। ꦡ২০২১ সালে মা অনুমতি দেন। কিন্তু ওরা কিছুই শোনায়নি। এরপর মা-ও মারা যান।’
কাজীর নাতির দাবি, তাঁরা ভেবেছিলেন দেশটি জাতীয় স্🍃তরে ব্যবহার করা হলে তা গোটা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছবে। তাই সরল বিশ্বাসে অনুমতি দিয়ে দেন। এরকম পরিণতির কথা কেউই ভাবতে পারেননি।