বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি নেতাদের নিয়ে আলোচনা সভা করার জেরে তুমুল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। আজ, শুক্রবারꩲ শান্তিনিকেতনের লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বিশ্বভারতী এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ধ্রুপদী ভাষা নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেই সভায় বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি ঘিরে চূড়ান্ত উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী চত্বর। বিজেপি নেতা তথা শ্যামাপ্রসাদ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান 💃অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। তখনই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে।
এদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কেন রাজনৈতিক নেতারা থাকবেন? এই অভিযোগ তুলে আলোচনা সভা চলাকালীন বিক্ষোভ ফেটে পড়ে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিক্ষুদ্ধদের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে বিজেপিকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’ দীর্ঘ অপেক্ষার পর সাতটি ভাষা সম্প্রতি ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। এই ভাষার স্বীকৃতি উদযাপন করতেই শ্যামাপ্রসাদ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতী বিশ্😼ববিদ্যালয়ে অ💙নুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই দাবি করা হয় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: আলু রফতানি আপাতত বন্ধ, টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত গৃহীত, দাম কি কমবে?
অন্যদিকে এই উদযাপন করার মধ্যে দিয়ে বিজেপ রাজনীতি করতে চাইছে বলে অভিযোগ এসএফআইয়ের। তাই আজ বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের তখনই ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিজেপি বিশ্বভারতীকে আরএসএস শিবিরের আঁতুড়ঘর বানাতে চাইছে। বিশ্বভারতীকে ঘি♔রে রাজনীতি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যদিও এই গোটা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ෴চেষ্টা করতেই ছাত্রদের সঙ্গে তুমুল হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
এছাড়া বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর জমানাতেও তুমুল বিক্ষোভ–আন্দোলন দেখা গিয়েছিল। তখনও বারবার বিজেপি এবং আরএসএসের নেতাদের নিয়ে এসে আলোচনা সভা করার জেরে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ার পর এমন ধরনের বিক্ষোভ সাধারণত আর দেখা যায়নি। শুক্রবার আবার একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। পড়ুয়াদের কথায়, ‘আমরা চেয়েছিলাম ভাষার স্বীকৃতি উদযাপন বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে আয়োজন করা হবে। কিন্তু সেটা না করে শ্যামাপ্রসাদ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতীতে অജনুষ্ঠ෴ানের আয়োজন করা হয়। আমরা চাই না রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতীতে বিজেপির কোনও যোগ তৈরি হোক। তাই আমরা প্রতিবাদ করেছি।’