এক ছবিতেই তাঁর প্রেমে পড়েছিল আসমুদ্রহিমাচল। সুরজ বরজাতিয়ার 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া'র হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন বলিউডে। আর হাতেখড়িতেই বাজিমাত। কিন্তু উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি অগ্রাহ্য করেই হিমালয় দাসানির সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন ভাগ্যশ্রী। বিয়ের পর চলে যান অন্তরালে। ব্যস্ত হয়ে পড়েন সংসার নিয়ে।অনুরাগীদের একাংশ কাঠগড়ায় তোলে অভিনেত্রীর স্বামীকে। অনেকেই মনে করেন, তাঁর জারি করা 'ফতোয়া'র কারণেই এগোতে পারেননি ভাগ্যশ্রী। সত্যিই কি তাই? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া'র সুমন বলেন, 'আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ভালোবাসার জন্য যা করেছি, ঠিক করেছি।'অতীতের এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া করার পর আমি আর হিমালয় বিয়ে করি। মানুষ ওকে নিয়ে কিছুই জানত না। তবু ওকে দোষী বানিয়ে দিয়েছিল। কারণ বিয়ের পর আমি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম।'সম্প্রতি 'স্মার্ট জোড়ি' নামে এক রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করেছেন হিমালয় এবং ভাগ্যশ্রী। তাঁদের রসায়ন চাক্ষুষ করেছে দর্শক। ভাগ্যশ্রীর কথায়, 'মানুষ এখন আমাদের সম্পর্কটা বুঝতে পারছেন। আমাদের ভালোবাসছেন।'কেরিয়ার থেকে বিরতি নিয়ে পরিবারকে সময় দিয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। ছেড়েছিলেন অনেক লোভনীয় কাজের প্রস্তাব। কিন্তু আফসোস নেই তাঁর। তিনি বলেন, 'আমি আমার পরিবার এবং সন্তানদের সময় দিতে পেরেছি। সেটা আমার সৌভাগ্য। আমি যখন কাজে ফিরতে চেয়েছিলাম, ওরাও আমার পাশে ছিল।'