সমালোচনা, ট্রোলিং, কটাক্ষ এখন শোবিজ জগতের অঙ্গ। কিন্তু ট্রোলিং হজম করতে পারেন না অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। বরং ট্রোলারদের নিয়ে বরাবরই ‘রণং দেহি’ মনোভাবের তাঁর। কিন্তু সম্প্রতি ফেলুদা ও সন্দীপ রায়কে নিয়ে ট্রোলারদের অসংবেদনশীল মন্তব্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজেই খেই হারালেন ইন্দ্রনীল। আরও পড়ুন-মেয়ের সঙ্গে ফেলুদার෴ পরিচয় নেই, বাড়ির বাথরুমে ব💧সে কে কী লিখছে তাতে আমি কান দিই না: ইন্দ্রনীল
কিছুদিন আগে মমতা শঙ্করের 'শাড়ির আঁচল' মন্তব্যে উত্তাল হয়েছিল নেটপাড়া। এবার ইন্দ্𝓰রনীলের ‘বাড়ির কাজের লোক’ নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিতর্কের ঢেউ আছড়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। নাম না করেই এবার ইন্দ্রনীলের মন্তব্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন টলিপাড়ার অন্যতম সিনিয়র অভিনেতা ভাস্ব𓆉র চট্টোপাধ্যায়। 'সন্দীপ রায়কে যারা আক্রমণ করে তারা ওঁর বাড়ির কাজের লোকের চেয়েও ক্লাসলেস', আডিশন নামের এক পোর্টালকে এমনটাই জানান ইন্দ্রনীল।
ইন্দ্রনীলের নাম না করেই ফেসবুকের দেওয়ালে ভাস্বর লেখেন, ‘বাড়ির কাজের লোকেদের মাটিতে ছাড়া বসতে দেওয়া হয় না অথচ তার বাড়িত𒐪ে আপনি গেলে সে অন্তত পাশের বাড়ি থেকে হলেও চেয়ার জোগাড় করে এনে আপনাকে বসাবে। তাহলে ক্লাসলেস কে? সে না আপনি?’ ইন্দ্রনীলের মন্তব্য শ্রেণি বিভাজনে উস্কানি দিয়েছেন, দাবি নেটপাড়ার বড় অংশের। ভাস্বরের পোস্টের মন্তব্য বাক্সে এক পরিচত লেখেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফেলুদা অভিনেতা কে তুই এ ভাবে হাইলাইট করে দিলি’। জবাবে অভিনেতা লেখেন, ‘না রে কথাটা খুব খারাপ লেগেছে’। ভাস্বরের পোস্টে পরিচালক মানসী সিনহা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে পরিচ𒆙ারকদের সঙ্গে মোটেই বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয় না। বরং এক টেবিলে বসে খাওয়া-দাওয়া, গল্প-গুজব সবটাই চলে।
সত্যজিৎ রায়ের পুত্র হওয়ার বোঝা আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়েছে সন্দীপ রায়কে, এখনও হচ্ছে। স্টারকিড হওয়ার দরুণ বহুবার সমালোচনার শিকার হতে হয় সন্দীপ রায়কে। সেই নিয়ে ক🔯খনও পালটা জবাব দেন না সন্দীপ রায়। তবে তাঁর হয়ে সওয়াল করতে গিয়েই নতুন ‘ফেলুদা’ ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত আলটপকা মন্তব্য করে বসেন। ইন্দ্রনীল বলেন, 'বাবুদার ততটা হয় তো খারাপ লাগে না, যতটা আমার খারাপ লাগে। আমার একটা প্রশ্ন আছে, যারা এই প্রকার মন্তব্য করেন, সুযোগ পেলে তারা কি দারুণ কাজ করতেন?' খানিক ব্যঙ্গের সুরেই সংযোজন, 'দেখছি তো কত ভালো কাজ করছেন তারা!' তিܫনি আরও বলেন, 'বাবুদার বাড়িতে যারা কাজের লোক আছেন, তারাও এই সব আক্রমণকারীদের থেকে ভদ্রতা এবং ক্লাসের দিক থেকে এগিয়ে।'
ট্রোলিং নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে ইন্দ্রনীল বলেন,'আমি একটা কথা বুঝি না, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমাদের সব আলোচনায় সোশ্যাল মিডিয়া কেন ঢুকে পড়ে? তাহলে তো বাকি মাধ্যমগুলোর অস্তিত্বের কোনও মানা হয় না। প্রিন্ট মিডিয়া, ডিজিট্যাল মিডিয়া, টেলিভিশন মিডিয়া-সবকিছুর উচিত নিজেদের দোকানপাঠ বন্ধ করে দেওয়া। কারণཧ তারা তো নিজেদের অস্তিত্বের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর করছে, সেটা যদিও প্রযোজ্য হয় তাহলেই এই প্রশ্নের মানে দাঁড়ায় নতুবা নয়। দ্বিতীয়ত, সোশ্যাল মিডিয়ায় কী হচ্ছে সেটা জীবনে সব কাজ করার ক্রাইটেরিয়া হতে পারে। দর্শকদের একটা জিনিস ভালো লাগতে পা🌸রে কিংবা নাও লাগতে পারে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে সব বিষয়কে টেকনিক্যালি অ্যানালাইজ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে ওই মানুষটার ক্রেডিবিলিটি কী? সে কে? বিষয়টা নিয়ে তাঁর সমালোচনার করার মতো যোগ্য়তা রয়েছে তো?'