সোমবার সক🔯ালে ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই চমক। আচমকা দেখে হয়ত অনেকেই সঞ্জয়লীলা বনশালির কোনও ছবির পোস্টার ভেবে ভুল করবেন…। কিন্তু নাহ, এটি আসলে রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত পরিয়ড ফিল্ম বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান-এর পোস্টার। যেখানে আজ পুরোদস্তুর বিনোদিনী দাসী হয়ে ধরা দিয়েছেন রুক্মিণী। যা দেখে সত্যিই চমকে যেতে হয়। তবে রুক্মিণীকে বিনেদিনী দাসী করে সাজিয়ে তোলা মোটেও সহজ ছিল না। কীভাবে তৈরি হয়েছে রুক্মিণীর এই বিনোদিনী লুক? খোলসা করেছেন পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় ও খ্যাতনামা কস্টিউড ডিজাইনার শুচিস্মিতা দাশগুপ্ত।
পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিনোদিনীর যুগকে প💜ুনর্নির্মাণ করা ভীষণই কঠিন একটা কাজ ছিল। তবে আমি আমার টিম, শুচিস্মিতা দাশগুপ্ত, বীথিকা এবং মৌসমীর কাছে ওঁদের গবেষণার জন্য কৃতজ্ঞ। যেহেতু বিনোদিনীর আসল ছবি সঠিকভাবে সংরক্ষিত নেই, তাই বিনোদিনীর শাড়ির উপাদান বা এমনকি ওঁর গহনার ডিজাইন বোঝা প্রায় অসম্ভব ছিল। আমার টিম সেই নকশা এবং ফ্যাব্রিক বের করতে প্রায় তিন সপ্তাহ কাজ করেছে।’
বিনোদিনীর কস্টিউম যিনি করেছে💜ন, সেই প্রখ্যাত ডিজাইনার শুচিস্মিতা দাশগুপ্ত বলেন, 'রাম কমল যখন ছবিটির জন্য আমার কাছে এসেছিলেন, আমি খুব উৎসাহিত হয়েছিলাম। বিনোদিনী দাসী একটি আইকনিক চরিত্র, এটি একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে ভালো লাগবে। রুক্মিণীর 'চৈতন্য' লুকটি ভাইরাল হয়েছিল। এটা যেভাবে তৈরি করা হয়েছিল, সেই কারণেই লুকটি ভাইরাল হয়। আমাকে কাপড় এবং সেলাইয়ের প্যাটার্ন নিয়ে গবেষণা করতে হয়েছে যা সেই সময়ের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। তবে আবার পরিচালক পুরো লুকটিতে উজ্জ্বলভাবে উপস্থান করতে চেয়েছিলেন, সেই কথাটাও আমায় মাথায় রাখতে হয়েছিল। এক্ষেত্রে আমরা বাংলার ঐতিহ্যবাহী মসলিন বেনারসি ব্যবহার করেছি সঙ্গে ব্যবহার করেছি সোনার অলঙ্কার। রেড ওয়াইন ভেলভেট পাইপড ব্লাউজটি কস্টিউম ডিজাইনারকে ওভাবেই তৈরি করতে বলা হয়েছিল, যাতে পুরো বিষয়টি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।' "যেহেতু আমাদের কাছে সময় কম ছিল বিষয়𓆏টা একট কঠিন তো ছিলই। তবে আমরা রুক্মিণীকে পুরোপুরি বিনোদিনী করতে চেয়েছি, এবার বাকিটা দর্শক বলবে।'
মেকআপ শিল্পী বীথিকা বেনিয়া কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। ত꧃াঁর কথায়, ‘যতবার আমি মেকআপ করছিলাম, সেটা ঠিক হচ্ছিল না। রুক্মিণী এবিষয়ে একটু খুঁতখুতে, ও একদম যথাযত, বিনোদিনীর লুকের সঙ্গে মানানসই একটা মেকআপ চাইছিল। শেষপর্যন্ত তৃতীয়বারের চেষ্টায় সেটা সফল হয়। লুকটি সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে মুখের মেকআপে একটা হালকা আভা তৈরির কথা বলা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত লন্ডন থেকে আন🥀া একটি বিশেষ ফেস টোনার প্রয়োগ করে লুকটি সঠিকভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়।
হেয়ার স্টাইলিস্ট মৌসুমী ছেত্রীর কথায়, ‘লম্বা চুল নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। রুক্মিণীর চুলটা লম্বায় বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল, কারণ ও লম্বা। আর সেজন্য তিরুপথি মন্দির থেকে চুল কাস্টমাইজ করে আনতে হয়েছে। চার ফুট লম্বা চুলটা কিন্তু পুরোটাই আসল, রুক্মিণীর চুলের টেক্সচারের সঙ্গে মেলে সেভাবেই তৈরি করাไ হয়েছে। সামনের চুলটি তৈরি করতে গিয়ে একটু বেগ পেতে হয়। আমরা জেল প্রয়োগ করেছি, ক🍸িন্তু তা কাজ হয়নি। তারপরে আমরা নারকেল তেল দিয়ে সেটা করার চেষ্টা করেছি, তাতেও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত জলের স্প্রে ব্যবহার করেছি।'