বলিউডের মাদককাণ্ডে শুরু থেকেই এনসিবির কড়া নজরদারিতে রয়েছেন অভিনেতা অর্জুন রামপাল ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। সোমবার কেন্দ্রীয় মাদকসংস্থার জেরার মুখে অর্জুন রামপালের বোন কোমল রামপাল। এদিন বেলা গড়াতেই মুম্বইয়ে অবস্থিত এসিবির সদর দফতর, ব্যালাড এসস্টেটে হাজির হন কোমল। মাদককাণ্ডে ইতিমধ্যেই দু-বার এনসিবির জেরার মুখে পড়েছেন অভিনেতা অর্জুন রামপাল। এর আগেও এনসিবির তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছে কোমলকে, তবে অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে হাজির হননি অর্জুনের বোন। সোমবার ফের তাঁকে তলব করেন তদন্তকারী অফিসাররা। কী কারণে কোমলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে? এনসিবি সূত্রের খবর গত বছর নভেম্বরে অর্জুন রামপালের বাড়িতে হানা দিয়ে যে নিষিদ্ধ ওষুধের হদিশ মিলেছিল অর্জুন নিজে জেরার সময় দাবি করেছেন সেগুলি আদতে তাঁর বোনের চিকিত্সার জন্য। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় এনসিবি। গত ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফতার জেরায় ৬ ঘন্টা ধরে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন অভিনেতা অর্জুন রামপাল। নভেম্বর মাসে অর্জুনের বাড়িতে হানা দিয়ে বেশ কিছু নিষিদ্ধ ওষুধ (সাইকোট্রপিক ড্রাগস) বাজেয়াপ্ত করেছিল এনসিবি। এনসিবির জোনাল ডিরেক্টের সমীর ওয়াংখেড়ে গত মাসেই জানিয়েছিলেন- সংস্থায় অর্জুনের জমা দেওয়া প্রেসক্রিপশন এবং অভিনেতার বয়ানে কিছু গড়মিল রয়েছে।ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে তাঁকে। নভেম্বরে অর্জুনের বান্দ্রার বাড়িতে হানা দিয়ে ১১টি ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং নিষিদ্ধ ওষুধ বাজেয়াপ্ত করে এনসিবি। এনডিপিএস আইনের আওতায় ওই সকল ওষুধ ভারতে নিষিদ্ধ। এই বিষয়ে গত ১৩ নভেম্বর প্রায় সাত ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়েছিল অর্জুন রামপালকে। অর্জুনের সঙ্গীনি তথা সন্তানের মা গ্যাব্রিয়েলা ডেমেট্রিয়াডেসকে এই মামলায় দু-বার জেরা করেছে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মাদককাণ্ডে অক্টোবর মাসে এনসিবির হাতে গ্রেফতার হয় গ্যাব্রিয়েলার ভাই অ্যাগিসিলাওসকে।