কোভিড পরবর্তী সময়ে বক্স অফিসে মোটেও ভালো ফল করেনি বলিউডের ছবিগুলি। ২০২২-এ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে বেশিরভ♊াগ হিন্দি ছবি। ২০২৩ নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল। তবে তারপরেও চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে ছবিগুলির বক্স অফিস রিপোর্ট হতাশাজনক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ছবিগুলি মূল খরচও তুলে আনতে পারে💯নি। ব্যতিক্রমী শুধুই শাহরুখের 'পাঠান'।
২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ‘পাঠান’ দেশীয় বাজারে ৫৪২ কোটি টাকা আয় করে।বিশ্বব্যাপী আয় ১০০০ কোটিও ছাড়িয়ে যায়। প্রথম দিনে ৫৭ কোটি টাকা আয় করে, 'পাঠান' যা ভারতে যেকোনো হিন্দি রিলিজের জন্য সবচেয়ে বড় ওপেনিং রেকর্ড বলা যেতে পারে। 🅰সপ্তাহান্তে আয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮০.৭৫ কোটি টাকায়। ১ম, ২য়, ৩য় ও চতর্থ সপ্তাহের শেষে ছবিটির আয় ছিল যথাক্রমে ৩৭৮.১৫ কোটি টাকা, ৪৫৮.৯০ কোটি টাকা, ৫০৫.৮৫ কোটি টাকা, ও ৫৪২.৭৫ কোট টাকা। ছবিটি দ্রুত ১০০ কোটিক গণ্ডি টপকানোর রেকর্ড গড়ে। শুধু দেশীয় বক্স অফিসেই নয় UK-তেও সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় ছবির রেকর্ড গড়ে পাঠান। যদিও ফিল্ম সমালোচকদের কথায়, 'পাঠান' সুপার হিট হলেও এতে ছবির বিষয়বস্তু, ভিএফএক্স কোনওটাই দারুণ কিছু ছিল না, ছিল শুধুই ‘শাহরুখ আবেগ’। শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা, বয়কট শাহরুখ প্রচার, সবকিছুরই বদলা নিয়েছেন শাহরুখ অনুরাগীরা।
এদিকে বক্স অফিসে ব্যর্থ ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে একাধিক ছবি। যার মধ্যে কার্তিক আরিয়ানের 'শেহজাদা' ১৪০ কোটি টাকা খরচে তৈরি হলেও আয় করেছে মাত্র ৩২ কোটি, ১৭৫ কোটি খরচে তৈরি অক্ষয় কুমারের 'সেলফি' আয় করেছে ১৬.৮৫ ক♒োটি, যা অক্ষয়ের জীবনে প্রথম। বিশাল ভরদ্বাজের 'কুত্তে' বানাতে খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা, আয় হয়ে💖ছে মাত্র ৪,৬৫ কোটি টাকা। এছড়াও 'জুইগাটো', ‘ভিড়’, 'অলমোস্ট প্যায়ার উইথ ডিজে মহব্বত', ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’ সহ বেশিরভাগ ছবিই ব্যর্থ। একেরপর এক ব্যর্থতার জেরে বহু নির্মাতাই এখন সিনেমা হলের বদলে OTT-তে ছবি মুক্তির কথা ভাবছেন।
তবে এত খারাপের মাঝেও আশার আলো দেখাচ্ছে রানি মুখোপাধ্যায়ের ' মিসেস চ্যাটার্জ👍ি ভার্সেস নরওয়ে', ৩০ কোটি খরচে তৈরি এই ছবি মুক্তির ১৭ দিন পর আয় করেছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। দেশের বাইরেও ছবিটি খারাপ ফল করছে না। রণবীর কাপুর ও শ্রদ্ধা কাপুরের 'তু ঝুটি ম্যায় মক্কার', যেটি কিনা ৭০ কোটি টাকা খরচে তৈরি। এখনও পর্যন্ত এই ছবির আয় দেশিয় বাজারে ১৩৯ কোটি টাকা।