গত ৮ সেপ্টেম্বর সুশান্তের দুই বিবাহিত দিদি মিতু সিং ও প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের বিরুদ্ধে বান্দ্রা পুলিশ থানায় এফআইআর দায়ের❀ করেন রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে এনসিবির হাতে গ্রেফতারির কয়েক ঘন্টা আগে পালটা অভিযোগ আনেন রিয়া। সুশান্তের প্রেমিকা দুই দিদির বিরুদ্🐼ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এই মামলাও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় মুম্বই পুলিশ। সেই এফআইআর রদ করার জন্য বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিতু ও প্রিয়াঙ্কা, অবশেষে সেই মামলার শুনানি শেষ হল।
এই মামলায় স⛎ুশান্তের দুই দিদির হয়ে আদালতে সওয়াল ক꧂রেন আইনজীবী বিকাশ সিং। আজ মামলার শুনানি সম্পন্ন হলেও রায় সংরক্ষিত রাখল আদালত। বম্বে হাইকোর্ট এদিন এই মামলার সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
হলফনামায় রিয়া বলেছেন ৮ জুন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা সিং প্রেসক্রিপশন পাঠিয়েছিল সুশান্তকে। যেখানে নেক্স🐬িটো (৫ মিলিগ্রাম), লিব্রিয়াম (১০ মিলিগ্রাম) এবং লোনাজেপ (০.৫ মিলিগ্রাম) সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি সাইকোট্রপিক ড্রাগ সমন্বিত ওষুধ এবং এনডিপিএস আইন, ১৯৮৫-এর আওতাধীন। এই প্রেসক্রিপশন হাতে পাওয়ার দিন কয়েকের মধ্যে𝄹ই মৃত্যু হয় সুশান্তের।
সুশান্তের দিদিদের পালটা দাবি, তাঁদের কোনওরকম অপরাধমূলক কাজের জন্য দায়ী করা যেতে পারে না কারণ সেই অভিযোগের ভিত꧅্তি একমাত্র একটি প্রেসক্রিবশন যা এক চিকিত্সকের দেওয়া এবং এই ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ জাজমেন্ট মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
রিয়ার এফআইআর সম্পর্কে গত অক্টোবরে বম্বে হাইকোর্টকে সিবিআই জানায়, এটি 'জলঘোলা করার চেষ্টা মাত্র ও সেটি আইনানুগ নয়’। রিয়ার এফআইআরের বিরোধিতা করে বম্বে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিল 𓃲কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।