২০১৮ স♈ালের ২৪ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান শ্রীদেবী। তবে তাঁর মৃত্যুর এত বছর পরেও তাঁকে নিয়ে রয়ে গিয়েছে একাধিক বিতর্ক। এক তো দুবাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে জল ডুবে মৃত্যু হয়েছিল শ্রীদেবীর। সেই সময় অনেকেই আঙুল তুলেছিলেন বনির দিকে। এ মৃত্যু দুর্ঘটনা, নাকি খুন, তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। এছাড়াও অনেকেই দাবি করেন, জাহ্নবীকে নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার কারণেই নাকি সাত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে হয়েছিল বনি আর শ্রীদেবীকে। সত্যিই কি তাই?
বনি সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন এই নিয়ে। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আমার দ্বিতীয় বিয়ে, শ্রীদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শিরডির মন্দিরে। আমরা সেখানে ২ জুন (১৯৯৬) বিয়ে করি। বিয়ের পর ১ রাত আমরা মন্দিরে ছিলামও। জানুয়ারি মাসে শ্রীদেবীর প্রেগন্যান্সি স্পষ্ট হয়। তখন আর সামাজিক বিয়ে করা ছা🍬ড়া আমাদের কাছে কোনও উপায় ছিল না। আমরা জানুয়ারি মাসে (১৯৯৭) সামাজিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। অনেকেই মনে করে থাকে যে জাহ্নবী এসেছে (জন্ম ৬ মার্চ, ১৯৯৭) আমাদের বিয়ের আগেই, তবে তা ভুল একেবারেই।’
শ্রীদেবীর আধ্যাত্মিকতার প্রতি টান নিয়েও কথা বলেন বনি। শুধু তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নয়, তাঁর বড় মেয়ে থেকে শুরু করে ভাই সকলের ঠাকুর ভক্তি উঠে আসে বনির কথায়। তিনি বলেন, ‘শ্রী (শ্রীদেবী) হোক বা সুনিতা (ভাই অনিল কাপুরের স্ত্রী), আমি বা অনিল কিংবা আমার মেয়ে জাহ্নবী, আমরা স🌺কলেই ইশ্বর বিশ্বাসী। আমার স্ত্রী শ্রীদেবী তাঁর প্রতিটি জন্মদিনে তিরুপথি মন্দিরে হেঁটে পুজো দিতে যেতেন। আমি যখনই সমস্যায় পড়তাম, তিনি জুহু থেকে সিদ্ধি বিনায়ক পর্যন্ত খালি পায়ে হেঁটে যেতেন।’
জাহ্নবীকেও একাধিকবার দেখা যায় তিরুপতি দর্শনে। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর থেকেই প্রতি বছর মায়ের জন্মদিনে তিরুপতি গিয়ে পুজো দেন তিনি। সপ্তাহখানেক আগেই চর্চিত প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়াকে নিয়ে গিয়েছিল সেখানে পুজো দিতে। অভিনেত্রীর আঙুলে বড় হিরের আংটি দেখে সেই সময় রটে যায় চুপিচুপি বুঝি বা বাগদান সেরে ফেলেছেন তাঁরা। পরে অবশ্য জানা যায়, চলতি বছরে মায়ের জন্মদিনে (১৩ অগস্ট) শ্যুটিংয়ে ভোপালে থাকায় যেতে পারেননি। তাই সেখান থেকে ফিরে শিখরকে নিয়েই চলে যান অন্ধ্রপ্রদেশে। আর মায়ের পোশাক থেকে গয়না, এদিন ღশ্রীদেবীর জিনিসেই সেজেছিলেন তিনি বরাবরের মতো।