৮০ বছর বয়সে চলে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তিনি এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। তাঁর সাধের এই দুই কামরা ফ্ল্যাটেই ছিলেন শেষ দিন পর্যন্ত। এদিন তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন টলিউ💎ডের এ𒆙কাধিক ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত বাংলাদেশ, তার মꦅধ্যেই সোমবার থেকে বেপাত্তা ফেরদৌস! অবশেষে খোঁজ মিলল কী?
বুদ্ধদেবের স্মৃতি হাতড়ে টলিউডের কে কী লিখলেন?
এদিন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের একটি ছবি পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি লেখেন, 'একজন সত্যিকারের ভালো গুনী মানুষ চলে গেলেন ...ভালো থাকবেন .. বুদ্ধ বাবুর পরিবারের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবে🉐দনা।'
বাদ গেলেন না রূপম ইসলাম পত্নীও। রূপসা দাশগুপ্ত তাঁর ফেসবুকের পাতায়ꦯ এদিন লেখেন, 'ওঁর জীবনটাই সব থেকে বড় উদাহরণ ছিল সাধারণ ভাবে বেঁচে বড় ভাবনা চিন্তা করার।'
সৌরভ পালোধি, যিনি নিজেও একজন কমিউনিস্ট এবং সিপিএম সমর্থক তিনি ভীষণ গভীর ভাবে শোকাহত হয়েছেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্♔ত্রীর প্রয়াণে। তিনি এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের একটি ছবি শেয়ার করেꦍ লেখেন, 'আমরা সবাই আপনাকে হারিয়ে দিলাম।'
গায়ক তথা মিউজিক কম্পোজার রণজয় ভট্টাচার্যও এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি শেয়ার করে লেখেন, 'বাংলার রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব যিনি সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চল🍬ে গেলেন। চারিদিকের অন্ধকার আরও গভীর হল। ভালো থাকবেন যেখানেই থাকবেন।'
আরও পড়ুন: এসকে মুভির প্রযোজনায় আসছে ১৮টি ছব🉐ি! OTT-র বদলে বড় পর্দায় মুক্তি পাবে পরম-সায়ন্তন সহ কাদের ছবি?
আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমা সারতে কোস্টারিকায় অনন্ত-রাধিকা, আলিশান ভিলার এক রাতের ভাড়া কত জ♎ানেন?
অরিত্র দত্ত বণিক স্মৃতিচারণ করে একটি লম্বা পোস্ট করেন এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে। তিনি লেখেন, 'অন্যান্য দিনের মতো স্কুল-অফিস টাইমে বাড়িতে গতি নেই, বয়োজ্যেষ্ঠরা সকলে তাদের মতো কাজকর্ম করলেও প্রায় গতি🐈হীন, চুপচাপ, থমথমে। প্রথমে ঘাবড়ে গেলাম, তারপর চোখ পড়লো টিভিতে, হেডলাইন যাচ্ছে- "প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ", আমি বেশ খানিকক্ষণ সবাইকে অবজারভ করলাম এঁরা সবাই তো বামপন্থী নয়, কেউ কংগ্রেসী, কেউ বামপন্থী কেউ আবার একনিষ্ঠ তৃণমূল সমর্থক। কিছুক্ষণ পর উপলব্ধি করলাম, চোখের নিমেষে এঁরা সবাই আসলে এক নিমেষে একটু পিছিয়ে পড়েছেন, ওঁদের চোখের সামনে তখন যে দৃশ্যগুলো ভেসে আসছে এটা তিন-চার দশক আগের, তাঁদের যৌবন, তাঁদের উদ্দম, তাঁদের এম্বিশন, রাজনীতি তখন ওঁদের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। আজ রাজনীতিতে ওঁদের অংশগ্রহণ নেই, ভোটবাক্স, টিভি আর খবরের কাগজের বাইরে নিজেকে ছড়িয়ে দেওয়ার মানসিক ও শারিরীক শক্তিও নেই। বুদ্ধদেবের মৃত্যুর সাথে এঁরা নিজেদের জীবনের অন্যান্য স্মৃতি ও অভিজ্ঞতাগুলোকে গুছিয়ে আরেকবার দেখার চেষ্টা করছেন। তাই এখনকার ঘড়ির কাটার থেকে ওঁদের একটু গতি কমেছে। স্মৃতি আর গতির মাঝে আটকে গিয়ে আবার বুঝতে পারলাম প্রজন্ম আর প্রজন্মের মাঝের ফারাক কি? উত্তর পেলাম ফারাক একটাই সবার ঘড়িতেই এগারোটা বাজে শুধু সবার অভিজ্ঞতা আর স্মৃতির ওজনটা কম বেশি।'