একেই বলে মধুর প্রতিশোধ! রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় তিরুবন্তপুরমে সোনালি ইতিহাস ল🔯িখলেন যিশু সেনগুপ্ত ও তাঁর ছেলেরা। প্রথমবারের মতো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ বা সিসিএল-এর ট্রফি উঠল বেঙ্গল টাইগার্সের হাতে। কিচ্চা সুদীপের কর্নাটক বুলডোজা꧅রকে হারিয়ে এদিন রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল বাংলার ছেলেরা।
শুক্রবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে কর༺্নাটকের কাছেই হারের মুখ দেখেছিল বাংলা। শুধু সেদিনের ম্যাচেই নয়, গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচেও এই দলের কাছে হেরেছে তাঁরা। সিসিএলের ইতিহাসে শক্তিশালী কর্নাটকের ব෴িরুদ্ধে একটাও জয় পায়নি বেঙ্গল টাইগার্স। তাই আন্ডারডগ হিসাবে ফাইনালে পা দিয়েছিল যিশু অ্যান্ড কোম্পানি। তবে এদিন সব ইতিহাস ওলোট-পালোট করে ট্রফি কলকাতার ঝুলিতে। করব,লড়ব, জিতব মন্ত্রতেই বাজিমাত করল যিশু-ব্রিগেড। মেগা ফাইনালে কর্নাটক বুলডোজারকে ১৩ রানে পরাজিত করল বেঙ্গল টাইগার্স।
ম্য়াচ শেষে আবেগ বাধ মানল না গোটা টিমের। মাঠে দাঁড়িয়েই অঝোরে কাঁদল🍨েন অধিনায়ক যিশু সেনগুপ্ত। ক্যাপ্টেনকে কাঁধে তুলে সেলিব্রেশনে মাতল গোটা টিম। এদিন বাংলার হয়ে ফের ব্য়াট হাতে ম্যাজিক দেখালেন জ্যামি বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম ইনিংসে জ্যামির অর্ধশতরানে ভর করেই ফাইনালে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলা। প্রথম ইনিংসে আজ এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি বোলাররাও।
১০-১০ ওভারে দুই ইনিংসে ভাগ করে খেলা হয় সিসিএলে। পꦯ্রথম ইনিংসে অর্থাৎ প্রথম ১০ ওভারে বাংলার ১১৮ রানের জবাবে মাত্র ৮৬-৭ রানেই আটকে যায় কিচ্চা সুদীপের দল। প্রথম ইনিংসে ৩২ রানের জরুরি লিড নেয় বেঙ্গল টাইগার্স। দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ জিততে ১৩৮ রান করতে হত কর্নাটককে। শেষের দিকে জ্বলে উঠলেও এই রানের পাহাড় অতিক্রম করতে পারেনি কর্নাটক।
এদিন ব্যাট হাতে যেমন বেঙ্গল টাইগার্সদের নায়ক জ্যামি, তেমনই বল হাতে জ্বলে উঠেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি, ব্যাট হাতেও তৃত🦩ীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার রাহুল। গোটা টুর্নামেন্টে রানের নিরিখে এক নম্বরে বাংলার জ্যামি।