তিনি বাংলার ছেলে। যদিও এখন কাজের সূত্রে বেশিরভাগটা কাটে মুম্বইতে। তবুও বাঙালির বিশেষ গর্ব তাঁকে নিয়ে। চলতি বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে। তবে কি এবার তিনি তৃণমূলে নাম লেখাবেন। আসলে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে অরিজিতের সঙ্গেই ♌সময় কাটাচ্ছেন মনোজ তিওয়ারি। আর তার থেকেই শুরু সব চর্চা।
আসলে মনোজের পরিচয় বর্তমানে শুধু ক্রিকেটার হিসেবে নয়, তিনি এখন রাজ্যের শাসক দলের প্রতিনিধিও। বাংলার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ। তাই অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগছে কি ছিল এই মোলাকাতের হেতু। ছবিতে দেখা গেল জিয়াগঞ্জে গঙ্গার পাড়ে বসে দুজনে আড্ডা দিচ্ছেন। সুন্দর পোজ দিয়ে তুলেছেন ছবিও। আরও পড়ুন: মিলই হচ্ছে না সূর্🧔য-দীপার, নম্বর কমল তাই অনুরাগের ছোঁয়ার! টিআরপি টপার কি জগদ্ধাত্রী?
মনোজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিখানা শেয়ার করে নেট-নাগরিকদের জানালেন, এই জায়গাটি অরিজিতের বড়ই প্রিয়! সঙ্গে জানালেন গায়কের সারল্য় তাঁর মন কেড়ে নিয়েছে। মনোজের ভাষায়, ‘ওর চরিত্র, ওর ব্যবহার, ওর আদব-কায়দা, সবেতেই সারল্য। এটাই অরিজিৎ। ছবিটা এমন জায়গায় তোলা যা ওঁর খুব পছন্দের।’ আরও পড়ুন: আংশিক অন্ধত্বে ভুগছেন বাহুবলীর ‘ভল্ল♏ালদেব’ রানা ডাগ্গুবতী, দেখতে পান না ডান চোখে
জিয়াগঞ্জের রাস্তায় এখনও স্কুটার নিয়ে ঘুরে বেড়ান অরিজিৎ। ছেলেদের স্কুলে নিয়ে যান। বাজার করেন। একটি হোটেলও খুলেছেন। যেখানে খুব সামান্য দামে খাবার খেতে পারেন সাধারণ মানুষ। আশেপাশের মানুষের কাছে এখনও তিনি ঘরের ছেলে। না কোনও নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে ঘিরে থাকে, না থাকে কোনও বড় গাড়ির আতিশয্য। কিছুদিন আগে দোলের সময় তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। স্কুটির পিছনে এক বন্ধুকে বসিয়ে রং মেখে তিনি জিয়াগঞ্জের অলিগলি ঘুরে বেড়িয়ꦺেছেন।
প্রসঙ্গত, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ গাওয়ায় কম বিতর্ক হয়নি অরিজিৎকে ঘিরে। অনেকেই দাবি তুলেছিলেন এর ফলে তিনি শাসকদলের বিরাগভাজন হয়েছেন। এরপর হঠাৎই পর✃িবর্তন হয়ে গায়কের কলকাতা কনসার্টের ভেন্যু। জানিয়ে দেওয়া হয় ইকো পার্কে শো হবে না। গুজব আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরবর্তীতে নিকো পার্কে বসে আসর। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সুরের জাদুতে ভাসে তিলোত্তমা।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক)