মেয়ের জন্ম দেওয়ার চার মাꦜসের মধ্যে ফের প্রেগন্যান্সির খবর দিয়েছেন টিভি অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা। বিষয়টা হজম করা তাঁর পক্ষেও খুব একটা সহজ ছিল না। নিজের নতুন ভ্লগে সেই নিয়েই কথা বললেন তিনি। এই খুশির খবর পাওয়ার পর তাঁর আর বর গুরমিত চৌধুরীর মনের ভাব কেমন ছিল, সেটাও শেয়ার করলেন নিজের ভ্লগে।
দেবিনা জানিয়েছেন ভ্লগে দোকানে গিয়ে প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে রীতিমতো অস্বস্তি হচ্ছিল তাঁর। কারণ সকলেই জানে তিনি কদিন আগেই মা হয়েছেন। ভ্লগে দেবিনাকে বলতে শোনা গেল, ‘লিয়ানা হওয়ার ১ মাস পরেই আমার একটু অসুস্থ লাগতে শুরু করল। এমন না বমি বমি ভাব, তবে কেমন যেন একটা অস্বস্তি। আমি তখন নিজেকে বলি হতে পারে আমার বাচ্চা খুব ছোট তাই এমনটা হচ্ছে। যেহেতু সেভাবে বিশ্রাম নেওয়ার সময় পাই না। কিন্তু শরীর খারাপ লাগাটা বাড়তেই থাকে। আর আমি নিজের শরীর নিয়ে অবগত, কিছু একটা সমস্যা হলেই ধরতে পারি। এরপর আমি গুরমিতকে সবটা বললাম। ও বলল আমা বিশ্রাম নিতে। কিন্তু তাও ক্লান্তি যেন আর কাটতে চাইছিল না। তখনই আমি ঠিক করি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাব।’ আরও পড়ুন: ‘এত অপছন্দ তাও দেখে’, কফি উইথ করণ নিয়ে ট্রোল করা মানুষদের 𝔉নিয়ে ঠাট্টা করলেন করণ!
এরপর দেবিনা বলেন, ‘আমার প্রথমে কেমন এক🗹টা লাগছিল দোকানে গিয়ে প্রেগন্যান্সি কিট কিনে আনতে। সবাই তো জানে আমি ক'মাস আগেই মেয়ের জন্ম দিয়েছি। তাই আমি অনলাইনে অর্ডার করি।’
এরপর যখন রেজাল্ট পজিটিভ বের হল তখন প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? দেবিনা জানালেন, ‘আমি চমকে গিয়েছিলাম। খুব খুশি হয়েছিলাম, কিন্তু জানতাম না আমার কী করা উচিত। তিনটে আবেগ মনের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করছিল। মনের মধ্যে একটা দারুণ আনন্দ কাজ করছিল এটা ভেবে যে আমি তো গত ৫-৭ বছরে এটাই ভেবে নিয়েছিলাম আমার শরীর মা হওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে।’ আরও পড়ুন: ‘বনবনিয়ে ঘোরে, আওয়াজ করে’, মহি🤡লা প্রতিযোগীর কোন কথায় এত ভয় পেলജেন অমিতাভ?
অভি🅰নেত্রী আরও জানান এই খবর বিশ্বাস করা গুরমিতের পক্ষে বেশি কঠিন হচ্ছিল। এমনকী ডাক্তার ইউএসজি করে বাচ🌊্চার হার্টবিট শোনালেও তিনি নাকি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই একটি মিষ্টি ছবি পোস্ট করে ফের মা হওয়ার খবর দেন মুম্বইয়ের বাঙালিনী। দেবিনাকে পরম যত্নে জড়িয়ে গুরমিত, তাঁর কোলে লিয়ানা। হবু মায়ের হাতে নিজের সোনোগ্রাফির রিপোর্ট। বিবরণীতে তিনি লেখেন, 'কিছু কিছু সিদ্ধান্ত স্বয়ং ঈশ্বর নেন। যা বদলে ফেলাꦺ যায় না। এট🌜ি তেমনই একটি আশীর্বাদ। আমাদের পূর্ণতা দিতে আসছে দ্বিতীয় সন্তান।'