ছপাকে প্রমোশ্যানে এর আগে দীপিকা পাড়ুকোনকে এর আগে সোশ্যাল এক্সপেরিমেন্ট করতে দেখেছে দর্শক। বুধবার আরও একটি সামনে꧙ প্রমোশ্যনাল ভিডিও সামনে আনলেন দীপিকা। যা দেখে রীতিমতো শিউরে উঠবেন আপনি। যে ভিডিওতে একটি স্টিং অপারেশন করতে দেখা গেল দী♉পিকা ও ছপাক টিমের অনান্য সদস্যদের। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কত সহজেই পাড়ার অলিতে গলিতে বিক্রি হচ্ছে অ্যাসিড। কোনওরকম পরিচয়পত্র না দেখিয়ে খুব সহজে আপনি কিনে ফেলতে পারছেন এমন একটা জিনিস, যা নিমিষেই বদলে দিতে পারে কোনও মেয়ের জীবন।
ভিডিওর♉ শুরুতেই দীপিকাকে বলতে শোনা গেল, কেউ আপনাকে প্রেম নিবেদনের পর যদি আপনি তা প্রত্যাখ্যানের পরেও সে আপনার সম্মানহানি করে এবং আপনি গর্জে🀅 উঠেন, লড়াই করেন নিজের অধিকারের জন্য..তারপর কেউ আপনার মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয়’।
দীপিকা আরও বলেন মেয়েরা অ্যাসিড আক্রমণের শিকার হয় কারণ অ্যাসিড বিক্রি হয়। যদি বিক্রি না হত ত🧔াহলে এমনটা হত না।
দীপিকা এই স্টিং অপরারেশনটি করেন বেশকিছু অভিনেতাদের সহায়তায়। একটি গাড়িতে বসে দীপিকা ও দুই ক্যামেরাম্যান নজরদারি চালালেন। অভিনেতাদের পাঠানো হয় বিভিন্ন দোকানে, তাদের সঙ্গে দেওয়া হয় লুকানো 💎ক্যামেরা। পাশাপাশি আশপাশের জায়গাতেও ছপাক টিমের ক্যামেরাটিম লুকিয়ে ছিল। অভিনেতাদের মধ্যে কেউ গৃহবধূ, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ছাত্র, কেউ আবার মাতাল সেজে দোকানে হাজির। সব অ্যাকশনের নজরদারি গাড়ির ভিতর থেকে করছিলেন দীপিকা।
সকলেই জানান তাঁদের শক্তিশালী অ্যাসিড দরকার। কেউ তো বলেই দেন এমন অ্যাসিড যা ত্বক জ্বলিয়ে দিতে পারে। কোনও দোকানদারই ক্রেতার কাছে পরিচয়পত্র চাননি,অ্যাসিড কেনার আগে, ব্যতিক্রম শুধু একজন। পরিচয়পত্র ছাড়াই অ্যাসিডের বোতল কিনতে চাইলে 🥂স𝔉েই দোকানদার মুখের উপরই সাফ মানা করে দেন।
কোনও কোনও দোকানদার তো প্রকাশ্যে জিজ্ঞেগ করেই ফেলꦕলেন, অ্যাসিড কি কারুর মুখে ছুঁড়বে? তাই বলে সেই প্রশ্ন তাদের অ্যাসিড বিক্রির কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
ভিডিওর শেষে দীপিকা জানꦚান, তাঁদের টিম মাত্র একদিনের ২৪টি অ্যাসিডের বোতল কিনতে সফল হয়েছে কোনওরকম আইডি প্রুফ ছাড়া। ভিডিওতে রিয়েল লাইফ অ্যাসিড আক্রান্তরা দর্শকদের জানাল দেশে অ্যাসিড বিক্রির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বেশ কিছু ন🐠ির্দেশিকার রয়েছে-ক্রেতাকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী হতে হবে, কেনার সময় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে,ঠিকানার প্রমাণ দিতে হবে, বিক্রেতার অ্যাসিড বিক্রির লাইলেন্স থাকতে হবে এবং অ্যাসিড বিক্রির সমস্ত তথ্য পুলিশকে জানাতে হবে।
দীপিকা বলেন, ‘এটা শুধু বিক্রেতার দায়িত্ব নয়, আমাদেরও দায়িত্ব যদি কোথাউ কখনও আমরা কাউকে বেআইনীভাবে অ্যা🎀সিড কিনতে বা বিক্রি করতে দেখি, আমাদের পুলিশ🥀কে খবর দিতে হবে’।
পরিচালক মেঘনা গুলজারের ছপাকে অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগারওয়ালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপিকা। মুক্তির প্রথম পাঁচ দিনে বক্স অফিস⛎ে ২৩ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ছপাক।