বাড়ি দমদমে, স্কুল, কলেজ শেষ করে চাকরি করবেন এমনটাই ঠিক করেছিলেন দেবের নতুন নায়িকা সৃজা দত্ত। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রী তিন💧ি। তবে হ্যাঁ অভিনয় করার একটা স্বপ্ন𒁏 মনে মনে অবশ্যই পুষে রেখেছিলেন সৃজা। তাই হয়ত সুযোগটাও এসে গিয়েছিল। সৃজা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন পর্দার 'ইন্দুবালা দেবী' ওরফে সৃজা।
সৃজা দত্ত আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, দেবের পরবর্তী ছ🌺বির জন্য নতুন মুখ চাই, এই বিজ্ঞাপনটা দেখেই তিনি ছবি পাঠিয়ে দেন। সৃজার কথায়ꦗ, ‘ভেবেছিলাম, আমায় কেউ ডাকবে না। আসলে পড়াশোনা শেষ করেই অভিনয়ের কথা ভেবেছিলাম। প্রথম চেষ্টাতেই মনোনীত হব, তাও দেবদার বিপরীতে, বিষয়টা অবিশ্বাস্য ছিল। প্রথম যেদিন দেবদার সঙ্গে দেখা হল, সেদিন কথা বলতেই পারিনি। দেব দা বলছিলেন আমি শুধু শুনছিলাম আর মাথা নাড়ছিলাম।’
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্য়াচে শোনা 𒉰যাবে 'টাইগার' সলমনের গর্🃏জন! কিন্তু কীভাবে?
সৃজার কথায়, শ্যুটিং শুরু হতেই সব ঠিক হয়ে যায়, অস্বস্তি হয়নি। পরিচালক অরুণ রায়ও তাঁকে মেয়ের মতোই স্নেহ করেছেন বলে জানান সৃজা। তাঁর কথায়, ‘অরুণ স্যার আমাকে মেয়ের মতোই দেখেন, যেহেতু আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন, তাই উনি বুজিয়ে দিয়েছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করেছেন, ওয়ার্কশপ করিয়েছেন, পুরো বিষয়টাই সহজ হয়ে গিয়েছে।’ সৃজার কথায়, পরিচালক অরুণ রায় সৃজাকে বলেন, ‘তোমার এই চোখটা শিক্ষিত মহিলার চোখ, তবে ইন্দুবালা পড়ꦦাশোনা করেননি, সেই চাহনিটা চাই।’
সৃজা 🦂জানান, তাঁর কাছে ইন্দুবালা দেবী হয়ে ওঠা চ্যালঞ্জিং ছিল, কারণ নেট ঘেঁটে বা বই ঘেঁটে বাঘাযতীনের স্ত্রীকে নিয়ে বিশেষ কোনও তথ্য পাননি তিনি। তাই পরিচালকের উপরই তিনি ভরসা রেখেছিলেন। সৃজা জানান, এক্ষেত্রে তিনি তাঁর দিদার মায়ের কাছেও কিছুটা সাহায্য পেয়েছেন। কারণ সৃজা তাঁর 'বম্মা' মানে দিদার মায়ের কাছ তখনকার দিনের মহিলারা কীভাবে কথা বলতেন, উঠতেন, বসতেন, শাড়ি পরতেন, সবটাই তিনি জেনেছেন। তাঁর এই ‘বম্মা’র বয়স ৯০-এর উপর, তবে স্মৃতিশক্তি নাকি দারুণ।
সৃজা জানান, বাঘাযতীনের স্ত্রী ইন্দুবালা দেবী 🌳হয়ে ওঠার প্রস্তুতি নি൲তে তিনি সারাদিন বাড়িতে আটপৌরে শাড়ি পরে থেকেছেন, আনাজ কেটেছেন। তবে কি এবার পড়াশোনা ছেড়ে পুরোপুরি অভিনয়ে আসছেন? এমন প্রশ্নে সৃজা দত্ত জানান, তিনি পড়শোনা ডিগ্রির জন্য নয়, ভালোবেসেই করেন। আগে তিনি প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত হতে চান, তারপর অভিনয়।