সসপ্যান-এ টগবগ করে ফুটছে দুধ। 🍬তৈরি হচ্ছে চা। শহর কলকাতার রাস্তার ধারে এই চিত্রটা নিত্যদিনের। রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই ভাঁড়ে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। সম্প্রতি ফুটপাতে দাঁড়িয়ে এ✱ভাবেই কোনও এক বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করতে করতে চায়ে চুমুক দিতে দেখা গেল দেবলীনা কুমারকে।
পরনে পিওর সিল্ক শাড়ি, সঙ্গে দড়ি বাঁধা হল্টার নেক ব্লাউজ, পায়ে স্নিকার্স, চোখে রোদচশমা। একপ্রকার খোলা পিঠে শাড়ির আঁচল ফেলে ট্রাম ডিপো সংলগ্ন এলাকা ধরে হাঁটতে 🐼দেখা গেল দেবলীনা কুমারকে। তারপর টুক করে উঠে পড়লেন ট্রামে। গালে হাত দিয়ে ট্রামের জানালার বাইরে দিয়ে তাকাতে তাকাতে উদাস হয়ে পথ চলা। ভিডিয়োটির ব্য়াকগ্রাউন্ডে রবীন্দ্রনাথের 'আমার মন মানে না' গান জুড়েছেন দেবলীনা কুমার।
কলকাতা বেড়ানোর এই ভিডিয়োটি পোস্ট করে দেবলীনা লিখেছেন🐈, ‘আমার শহর কলকাতা My city Kolkata জানে আমার প্রথম প্রেম, প্রথম মনভাঙা, আমার সুখ-দুঃখ সবকিছুর সাক্ষী আমার এই ♌শহর।’
দেবলীনার এই ভিডিয়োর নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। দেবলীনার রূপে মুগ্ধ বহু নেটনাগরিক। অনেকেই আবার অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পীর শাড়িটির প্রশংসা করেছেন। তবে তারই মধ্যে কিছু ট্রোলার তো সর্বত্র বিরাজমান। একজন লিখেছেন, ‘এমা ব্লাউজ প♉রেননি।’ কেউ আবার শুধুই হেসেছেন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেত🎃া দেবাশিস কুমারের মেয়ে হলেন দেবলীনা কুমার। তবে রাজনীতির দিকে পা বাড়ননি তিনি। বরং বিনোদনের দুনিয়ায় অভিনেত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত তিনি। তবে দেবলীনার আরেক পরিচয় হল তিনি নৃত্যশিল্পী। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র নৃত্যেরই অধ্যাপক তিনি। বেশকিছুদিন আগে PhD-ও কমপ্লিটও করেছেন দেবলীনা। ব্যক্তিগত জীবনে গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী তিনি, অর্থাৎ উত্তমকুমারের বাড়ির বউমা।
তবে দেবলীনাও কি কখনও বাবার মতো রাজনীতিতে আসতে চান? বেশকিছুদিন আগে এবিষয়ে মুখ খুলেছি♚লেন দেবলীনা কুমার। দেবলীনার কথায়, ‘আমি এত বড় হয়ে, লকডাউনে প্রথম জানতে পেরেছিলাম, বাবা বাড়িতে থাকলে কেমন হয়। আমি কোনওদিন ঘুম থেকে উঠে বাবাকে বাড়িতে দেখিনি। রবিবারও বাবা কাজে যেত। আমার 🐼কাছে রাজনীতি ২৪ ঘণ্টার পেশা। আমি এখন সিরিয়াল করছি না। তাই রোজ শ্যুট হয়তো আমার থাকে না। তবে নাচ আছে, কলেজে পড়ানো আছে। আমি চাই আমি যখন রাজনীতি করব সেটার পিছনে সময় দিতে পারলেই করব। তাই রাজনীতির কথা আমি এখনও ভাবছি না। বাবাও হয়তো সেকারণে এখনও আমাকে উৎসাহ দেননি।’