ঘোষণার দিন থেকেই চর্চা শুরু হয়েছে 'চং চং'-কে ঘিরে। একে ট🏅লিউডের সাই-ফাই ছবি তার ওপর টাইম ট্র্যাভেল থেকে শুরু করে সৌরভ শুক্ল। জানা গেছে, নব্বইয়ের দশকের শেষ সময়টুকু থেকে শুরু করে ২০২১ পর্যন্ত সময়কাল রাখা হয়েছে এই ছবির। এদিন ছবির শুটিংয়ের জন্য 'রিয়েল লোকেশন' খুঁজতে বেরিয়েছিল টিম 'চং চং'। টাইম ট্র্যাভেল বলে কথা সুতরাং এ ছবির ক্ষেত্রে ঠিকঠাক লোকেশন বাছাই করাটা যে মস্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণে এই সময়ে নীল-সাদা রং, হাইরাইজ ও শপিং কমপ্লেক্সে ভরা তিলোত্তমা নগরীর বুকে দাঁড়িয়ে নব্বইয়ের পুরোনো কলকাতা খোঁজা যে চ্যালেঞ্জিং তা নিয়ে সন্দেহ নেই কোনও।
কীভাবে তাঁর ছবিতে সেই পুরোনো কলকাতার গলি, স্মৃতি দর্শকদের সামনে পেশ 💙করবেন এই ভাবনা থেকেই পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় ও তাঁর টিম এদিন পৌঁছে গেছিল চুঁচুড়া, শ্রীরামপুরে। সেখানকার গঙ্গার ঘাট থেকে পুরোনো গলি ধরে হন্য হয়ে শুরু হলো খোঁজ। রাহুল মুখোপাধ্যায়ের দাবি 'সাই ফাই ছবির মজাটাই হলো টাইম ট্র্যাভেল। ওটি ঠিক না হলে বাকি সবকিছুই কেমন পানসে হয়ে যায়।' ১৯৯৭ সালের কলকাতার সঙ্গে এখনকার কলকাতার যে বিস্তর ফারাক তাও নিজের মুখে স্বীকার করে নিলেন পরিচালক। ফোনের ওপর থেকে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানালেন ' নয় দশকের কলকাতা তখনও সাবালক হয়ে ওঠেনি। আমার নিজের যেহেতু বেড়ে ওঠা ওই সময়ে তাই দেখেছি যে মানুষের জীবন এখনকার তুলনায় সহজ ছিল অনেকটাই। মোবাইলের যুগ ছিল না সেটা। সম্পর্ক হতো স্পর্শে, মুখোমুখি কথায় আর হাসিতে। আমার ছবিতে সেসবও ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব। সেই ভালোবাসাগুলোকেই চং চং-এ দেখাতে চাই। এটুকু বলতে পারি যাঁদের বড় হয়ে ওঠা ওই সময়টায় তাঁর💫া এই ছবি দেখলে যে নস্ট্যালজিয়ায় ভুগবেন, সে ব্যাপারে আমার কোনও সন্দেহ নেই!'
তা ' চং 🐠চং'-এ ঠিক কেমন কলকাতা দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের? সামান্য ভেবে পরিচালকের জবাব,' তখনকার কলকাতায় আরও পুরোনো আমলের লাল দেওয়াল দ𝔉েখা যেত বেশ।সেটা রাখব। শ্রীরামপুরের গঙ্গার ধারটা এখনও মন কেমন করা, ফেরিঘাটটাও মন্দ নয়। বইপাড়ার প্যারামাউন্ট রয়েছে তালিকায়। তবে আমার যেটা সবথেকে ইন্টারেস্টিং লাগে সেটা হলো কলকাতার পুরোনো সব গলি। উত্তর কলকাতাটা তাই আরও একবার ঢুঁ মারব। ওটা তো আর 'নতুন' হয় না। আসলে কী জানেন তো, পুরোনো কলকাতাতে ফিরে যাব বলে চিত্রনাট্যে নতুন কলকাতার কথা রাখা।'