চলতি বছর অগস্ট মাসে ২৫ বছর পূর্ণ করেছে পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের ছবি ‘পারদেশ’। ছবিতে দুই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান এবং মহিমা চৌধুরী। সুভাষ ঘা🐓ইয়ের হাত ধরেই এই ছবি দিয়ে অভিনয় জগতে ডেবিউ হয় মহিমার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক সুভাষ ঘাই জানিয়েছেন, ‘পারদেশ’ বানানোর সময় বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেনܫ তিনি।
পরিচালক ফাঁস করেছেন, প্রথমে অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতকে ছবির স্ক্রিপ্ট পড়ে শুনিয়েছিলেন তিনি। এমনকি অভিনেত্রী স্ক্রিপ্ট শুনে বেশ পছন্দও করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত এই চরিত্রের জন্য নবাগতা মহিমাকে নির্বাচন করা হয়। নতুন সাক্ষাত্কারে, সুভাষ বলেছিলেন পারদেশের ডিসট্রিবিউটররা মহিমা এবং অপূর্ব অগ্নিহোত্রীর পরিবর্তে 'বড় নাম' কাস্ট করতে চেয়েছিলেন। আরও পড়ুন: ফটোগ্রাফারকে নিয়ে ভয়ানক অভিজ্ঞতা জি বাংলার অভিনেত্রীর, কী হয়েছে জুঁইয়ের সঙ্গে
১৯৯৭📖 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে মহিমা এবং অপূর্ব অগ্নিহোত্রী, গঙ্গা এবং রাজীবের ভূমিকায় অভিনয় ক𝔍রেছিলেন। অর্জুনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক সুভাষ ঘাই বলেন, ‘ছবি তৈরির ক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধা ছিল কাস্টিংয়ে। বড় কোনও নাম কিংবা যাঁর তারকা তকমা রয়েছে, এমন কোনও নাম নিয়ে কাজ করা উচিত বলে অনেক আলোচনা হয়েছিল আমাদের মধ্যে। অর্জুনের চরিত্রের জন্য শাহরুখ খানকে আমার মনে হয়েছিল। ওকে মাথায় রেখেই এটা তৈরি করেছিলাম। এমনকি ওকে কাস্ট করার জন্য অনেক জোর দিয়েছিলাম। তখন সবেমাত্র ও ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছে। সঠিক জায়গায় ওকে পেয়েছিলাম। ও এই চরিত্রের জন্য পারফেক্ট ছিল।’ আরও পড়ুন: কার ডাকে সাড়া দিলেন সারা তেন্ডুলকর? ২৫-এর জন্মদিনে কী কী করলেন তিনি
ছবিতে মহিমাকে কাস্ট করার প্রসঙ্গে ডিসট্রিবিউটরদের সঙ্গে নাকি অনেক বুঝিয়ে রাজি করেছিলেন পরিচালক। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার স্ক্রিপ্ট আমাকে কুসুম গঙ্গা এবং রাজীবের চরিত্রে (মহিমা এবং অপূর্ব অভিনীত) স্টার কাস্ট করতে দেয়নি। আমি শুধুমাত্র এমন অভিনেতাদের কাস্ট করতে চেয়েছিলাম যারা স্ক্রিপ্টের সঙ্গে মানানসই হতে পারে। ডিস্ট্রিবিউটররা চেয়েছিলেন আমি আরও বড় নাম কাস্ট করি, একটি বড় প্রোজেক্ট তৈরি করি। কারণ আমাদের আগের ছবি ত্রিমূর্তি বক্স অফিসে কাজ করেনি।’ আরও পড়ুন: ‘মির্জা’র পর ফের নতুন ছবির ঘোষণা প্রযোজক অঙ্কুশের, আসছে ‘বেঙ্গল পুলিশ’
পরিচালক আরও বলেন, ‘আমি রাজি হইনি। আমি বললাম, ‘আমি সিনেমা বানাচ্ছি, প্রজেক্ট নয়। আমি যা বলতে চাই তাতে আন্তরিকতা দরকার।’ অবশেষে পারদেশকে দেখে তারা আশ্বস্ত হন। বাকিটা ইতিহাস! ছবিটি সারা ভারতে সুবর্ণ🦋 জয়ন্তী উদযাপন করেছে। মহিমা পুরস্কার জিতেছে। চিত্রনাট্যের জন্য আমিও কিছু পুরস্কার পেয়েছি।’