লোকমাতা রাণী রাসমণির নাম শুনলেই এই প্রজন্মের চোখের সামনে যাঁর মুখ ভেসে ওঠে তিনি দিতিপ্রিয়া রায়। জি বাংলায় ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকে সত্তো༺র ছুঁইছুঁই রানিমার ভূমিকায় অভিনয় করে তাক লাগিয়েছিলেন এই তরুণী। এখন নিজের 💝পুরোনো ইমেজ ভেঙে নতুন পথে হাঁটছেন অভিনেত্রী। রুপোলি পর্দায় এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দিতিপ্রিয়া। ‘আয় খুকু আয়’ বা ‘কলকাতা চলন্তিকা’র মতো ছবিতে তাঁকে দেখেছি আমরা। পুজোয় ‘বোধন’ নিয়ে হাজির হবেন দিতিপ্রিয়া। এর পাশাপাশি আর কী কী করবেন তিনি?
নিজের আসন্ন ওয়েব সিরিজের প্রমোশনের ব্যস্ততা, সঙ্গে শ্যুটিং- সℱব সামলে পুজোর ক'টা দিন কেমনভাবে কাটবে তাঁর? দিতিপ্রিয়ার কাছে পুজো মানেই ‘প্রাণের শহর’ কলকাতা, আরও ভালোভাবে বললে- ‘পাড়ার পুজো’। সাবেকিয়ানাই পছন্দ অভিনেত্রীর, একসঙ্গে মিলেমিশে পুজোর সেলিব্রেশনে মেতে ওঠবার আনন্দꦓটাই আলাদা। থিম পুজোর প্রতি খুব বেশি টান নেই তাঁর।
এক সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া জানিয়েছেন, তাঁর কাছে পাড়ার পুজো আর বাড়ির পুজোর মধ্যে বিশেষ ফারাক নেই। পুজোর চারদিন নতুন জামা পরে প্যান্ডেলেই কাটান। আর পুজো মানেই বা🌺ড়ির রান্নাঘার তালাবন্ধ, প্যান্ডেলেই জমিয়ে ভোগ খাওয়ার পর্ব চলে। রানিমার কাঁধ▨ে পাড়ার পুজোর একাধিক গুরুদায়িত্ব রয়েছে।
পুজোর চারটে দিনের মধ্যে অষ্টমꦉীটা একটু বেশি স্পেশ্যাল। পরিবারের সবার সঙ্গে একসঙ্গে অঞ্জলি দেওয়াটা মাস্ট, আর এদিনের সাজও খুব স্পেশ্যাল। সেখানেও থাকে রং মিলান্তি।
পুজোর সময় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও জমিয়ে আড্ডা দেন দিতিপ্রিয়া, বসে গান-বাজনার আসর। দুর্গাপুজোর কথা হবে, আর প্র♏েমের কথা হবে না তাও কী হয়? যদিও অভিনেত্রীর স্পষ্ট কথা, ‘আমার কাছে𒉰 পুজোর প্রেম মানে আমার পরিবারের প্রতি এবং আমার বন্ধুবান্ধবদের প্রতি ভালবাসা।’
আরও পড়ুন-‘আমার ভয় করে…꧃’, প্রেম নিয়ে কেন এত ভয় দিতিপ্রিয়ার ܫমনে?
হ্যাঁ, দিতিপ্রিয়া কিন্তু পুরোদস্তুর সিঙ্গল। আসলে প𝔍্রেম নিয়ে বেশ ‘ভয়ে’ আছেন অভিনেত্রী। এই প্রসঙ্গে দিন-কয়েক আগেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দিতিপ্রিয়া জানান, ‘আমি অনেক ভেবেছি, বেশ কয়েকবার চেষ্টাও করেছি। আমার খুব ভয় লাগে। আমার দায়িত্ব নিতে খুব ভয় করে। আমার মনে হয় একটা সম্পর্কের দায়িত্ব নেওয়ার মতো ম্যাচিওর আমি নই এখনও। একটা গাছকেও বড় করতে অনেক যত্ন লাগে, প্রেমের ক্ষেত্রেও সেটা লাগে। একটু সময় দিতে হবে। সবটা খেলার ছলে🉐 হয় না। সেটা খুব সহজাত। সঠিক সময়ের অপেক্ষায় আছি।’ তবে প্রেমে পড়লে সেই বিশেষ মানুষটিকেও দুর্গাপুজোর চারটে দিন দিতিপ্রিয়ার পাড়ার পুজো প্যান্ডেলেই কাটাতে হবে, সেই সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন তিনি।