রবিবার মাতৃদিবসটা দুই সন্তানকে নিয়েই কাটালেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। সঙ্গী ছিলেন দিয়ার মা'ও। তিন প্রজন্ম মিলে মা দিবসের উদযাপন করল হইচই করে। এদিন সৎ মেয়ে সামাইরাকে নিয়ে অকপটে মনের ঝাঁপি খুললেন দিয়া। মুক্ত চিন্তাধারার এমন এক কন্যা সন্তানের মা হতে পেরে তাঁ🌜র জীবন সার্থক জানান দিয়া।
মাদার্স ডে স্পেশ্যাল পোস্টে মা ও ছেলে আভ্যান,🔜 সামাইরার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে দিয়া লেখেন, ‘সন্তানের হাত ধরেই মায়ের জন্ম হয়। আমার সন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞ, আর অবশ্যই আমার মায়ের প্রতি’।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আচমকাই দিয়া মির্জা বিয়ের পর্ব সারেন। সাহিল সঙ্ঘার প্রাক্তন স্ত্রী, দিয়া মির্জা নতুন জীবন শুরু করেন বৈভব রেখির হাত ধরে। মাস খানেকের মধ্যে মাতৃত্বের স্বাদও পান ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিলমে’ খ্যাত এই অভিꦺনেত্রী। দিয়ার ম্যারেড লাইফের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সামাইরা। তাঁর স্বামী বৈভব রেখির প্রথম পক্ষের সন্তান। পরম আদর-যত্নে সামাইরাকে আগলে রাখেন দিয়া। এমনকি হানিমুনেও মেয়েকে একলা ফেলে যাননি তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামাইরার সঙ্গে নিজের সম্প🅰র্কের সাতকাহন ব্যক্ত করেছেন দিয়া। তিꦡনি জানান, ছেলেমেয়েকে রূপকথার গল্প পড়ে শোনান না তিনি। কেন? কারণ রূপকথার গল্পে যে দুষ্টু সৎ বাবা বা মায়ের ব্যাখা থাকে তা না-পসন্দ অভিনেত্রীর। দিয়া বলেন, ‘সৎ মা মানেই খারাপ সেটা অনেকটা শিশুদের মনে গেঁথে দেয় ওইসব গল্প। তাই না আমি আমার বাচ্চাদের ওই গল্প পড়ে শোনাই, না ওরা পড়ে। মজার ব্যাপার হল সামাইরা ওর ফোনে আমার নম্বরটা সেভ করেছে এখনও দুষ্টু সৎ মা নয়, এই বলে’।
দিয়ার কথায় সামাইরার সঙ্গে সম্পর্কটা এখনও মেয়ের কথা মতোই পরিচালিত হয়। সামাইরা যখন যেমনট✨া চায়, দিয়া এক কথায় রাজি। অভিনেত্রী জানান, ‘আমি ওকে বলি আমরা কিন্তু আগে বন্ধু, য🥀খনই মা হিসাবে আমাকে তোমার দরকার আমি তখনও পাশে আছি’। খোলা মনে বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে আপন করে নিয়েছে সামাইরা, সেটার জন্য কৃতজ্ঞ দিয়া। কোনওদিনই অন্য কারুর জায়গা নেওয়ার চেষ্টা না করে সামাইরার সঙ্গে একটা বন্ডিং গড়ে তোলবার চেষ্টা করেছেন তিনি, জানান অভিনেত্রী।
পেশায় ফিটনেস কোচ সুনয়না༒ ও﷽ বৈভবের মেয়ে সামাইরা। বাবার সঙ্গেই থাকে সে, তবে মায়ের সঙ্গেও সময় কাটায় নিয়ম করে।