একরত্তি মেয়েটা এখন বাবার কাঁধ ছুঁয়ে ফেলেছে! ৬ বছর পর বেবোকে (মেয়েকে এই নামেই ডাকেন শামি) কাছে 🧜পেয়ে আবেগপ্রবণ মহম্🌳মদ শামি। ২২ গজে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানের ত্রাস তিনি, কিন্তু বাস্তবে খুব সাধারণ একজন বাবা। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ মামলা কোর্টে ঝুলে, মায়ের সঙ্গেই থাকে মেয়ে। তাই দীর্ঘ ৬ বছর মেয়েকে চাক্ষুস দেখেননি মহম্মদ শামি। বৃহস্পতিবারই হাসিন জাহান সোশ্যাল মিডিয়ায় জনিয়েছিলেন বাবা-মেয়ের সাক্ষাৎ-এর কথা।
অবশেষে সামনে এল সেই ইমোশন্যাল ছবি। মেয়েকে কাছে পেয়ে বুকে জড়ালেন শামি, চোখের কোণ চিকচিক করল তাঁর। বাবাকে কাছে পেয়ে যারপরনাই খুশি আয়রা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হয়েছিলেন শামি। সেই ফাঁকেই আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মেয়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান পেসার। বাবা-মেয়ের ইমোশন্যাল রিইউনিয়ꦬনের ছবিতে ক্যাজুয়াল পোশাকে দেখা মিলল দুজনের।
ঝটিতি সফরে কলকাতা এসে মেয়ের সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় কাটান শামি। ইস্টবেঙ্গল দিবসে 'প্রাইড অফ বেঙ্গ💧ল' স্বীকৃতি পেয়েছেন শামি। তবে এই সম্মানকে ছাপিয়ে গেল মেয়ে আয়রার সঙ্গে দেখা করার সুযোগᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ। ৯ বছরের আয়রা জ্ঞানত সেভাবে বাবাকে কাছে পায়নি।
বৃহস্পতিবার মেয়ের সঙ্গে তাঁর পছন্দের রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া করেছেন শামি। অর্ডার করেছিলেন আয়রার পছন্দের ডিশ। এরপর মেয়েকে উপহারও দেন তিনি। মেয়েকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা শামি। সপ্তাহ খানেক আগেই🍬 ছিল আয়রার জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই সওময় মেয়েকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন শামি।
ওদিকে মেয়ের সঙ্গে শামির সাক্ষাৎ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক হাসিন। বাবা হিসাবে ব্যর্থ শামি জানান হাসিন। তাঁর অভিযো𒅌গ, কখনই মেয়ে আয়রাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা পর্যন্ত জানাননি শামি, উপহার পাঠানো তো দূর অস্ত! শুধু মাত্র মিড🔯িয়ার সামনে লোক দেখানো নাটক করতেই ব্যস্ত থাকে সে। হাসিনের অভিযোগ মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কখনও মেয়েকে আন্তর্জাতিক স্কুলে পড়ানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেনি শামি। হাসিনের এখন একটাই কামনা, ‘আল্লাহ যদি শামিকে শুধরে দেয় তো….’।
তিনি আরও লেখেন, ‘আজ তো শামা (শামির বৌদি) আর হাসিব (শামির দাদা) নিশ্চয় ঘুমোতে পারেনি। শামির থেকে আমাকে আর আমার মেয়েকে দূরে রাখতে কম নোংরামি করেনি ওরা দুজনে। শামির মাথাতেও আমাকে নিয়ে নোংরামি আর লোভ ঢুকিয়েছে। কিন্তু কথায় আছে সবুরে মোয়া ফলে। আমি ধৈর্য্য ধরে এতদিন চুপচাপ অপেক্ষা করেছি, আর খুদার উপর ভরসা রেখেছি। অবশেষে দেখুন, বাবা-মেয়ের মিলন হল। আল্💝লাহ চাইলে, শামিও শুধরে যাবে ইনশাআল্লাহ! আল্লাহ আমার শত্রুদের মুখে জুতো মারবে, আমি ধৈর্য্য ধরে বসে রয়েছি।’
আপতত হাসিন-শামির বিচ্ছেদ মামলা আলিপুর আদালতে বিচারাধীন। মেয়েকে নিয়ে শামির কলকাতার বাড়িতে থাকেন হাসিন। শামি থাকেন উত্তর প্রদেশের ফার্ম হ♎াউজে।