কলকাতার কসবায় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ কলকাতার মেয়র ফির😼হাদ হাকিম। আর এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক দাবি করলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিতর্কিত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তিনি পুলিশ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রী করার দাবি জানালেন।
আরও পড়ুন: ‘🌃১০ হাজার মাঠে নামলে কী হবে, তখন বুঝবে’, জুনিয়র ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপ মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই। তꦚাহলে রাজ্যের পুলিশের সমস্যা মিটে যাবে।’ সাংবাদিকদের হুমায়ুন বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগাতে হবে। কোনও ঘটনা ঘটার আগে পদক্ষেপ ও পরে পদক্ষেপ নেওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আগে পদক্ষেপ করলে তাতে মানুষ অনেক নিরাপত্তা বোধ করেন। তাই কে কোথায় কী ধরনের দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা করছে তা জেনে তাদের পাকড়াও করলে কোনও অপরাধ স💖ংঘটিত হবে না।’
এরপরে হুমায়ুন কবিরকে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে কাকে দেখতে চাইছেন? তার উত্তরে কোনও ইতস্তত বোধ না করেই বিধায়ক জানান, তিনি দলের কাছে অনুরোধ করবেন যে উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রী করা হোক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রী করা প্রয়োজন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। হুমায়ুন কবিরের মতে, তিনবারের✱ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেই তাঁকে রাজ্যের প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাতে হয়। তিনি অনেক পরিশ্রম করেন। যার ফ♈লে সাধারণ মানুষ তো বটেই দলের অনেক নেতা কর্মীরাও ব্যস্ততার কারণে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না।
হুমায়ুন বলেন, ‘ আমার মনে হয় এখনই অভিষেকের অভিষেক হওয়া প্রয়োজন। এরকম হলে মুখ্যমন্ত্রীর উপরও ꧟চাপ কমবে আর সেই সঙ্গে বাংলার মানুষ অনেক উপকৃত হবেন। এমনকী তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরাও উপকৃত হবেন।এপ্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যের অবস্থা কতটা খারাপ তা বোঝায় যাচ্ছে। এদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, কারও কিছু জানানোর থাকলে তা প্রকাশ্যে না বলে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত।