গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক শেখর রাভজিয়ানি-কে কে না চেনেন! একসময় জুটি বেঁধে বহু জনপ্রিয় সঙ্গীতের সুর দিয়েছেন বিশাল দাদলানি ও শেখর সুমন। বিশাল-শেখর জুটি ছিল বেশ জনপ্রিয়। পরে যদিও তাঁরা আলাদা হয়ে যান। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছ꧙েন গায়ক-সঙ্গীত পরিচালক শেখর রাভজিয়ানি।
শেখর যা বলেছেন, তা শুনে হতবাক অনুরাগীরা। সঙ্গীতশিল্পী জানাচ্ছেন, দু'বছর আগে কণ্ঠস্বর-ই হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। হ্য়াঁ, একজন গায়কের জন্য যেটা কিনা মূল রসদ, সেটাই যদি তিনি হারিয়𝔉ে ফেলেন, তাহলে এর থেকে বেশি হতাশাজনক একজন শিল্পীর কাছে কীই বা হতে পারে! শেখর লেখেন, ‘এই পোস্টে এমন কিছু রয়েছে যা আমি আগে কখনও বলিনি ... আজ শেয়ার করার ইচ্ছে হল।’
ঠিক কী লিখেছেন শেখর রাভজিয়ানি?
নিজের রোগটির নাম জಞানিয়ে শেখর লেখেন, ‘লেফট ভোকাল কর্ড পেরেসিস- এই রোগটি নির্ণয় করেন বিশেষজ্ঞ ডঃ নূপুর নেরুকার। আর এটা জানার পরই আমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে, আমি হতাশ ছিলাম... ভেবেছিলাম আর কখনো গান গাইতে পারব না।’
গায়কের পরিবারের ঠিক কী প্রতিক্রিয়া ছিল এবং বাস্তবের মুখোমুখি হওয়া 💜তাঁর পক্ষে কতটা কঠিন ছিল সেকথাও জানিয়েছেন শেখর। তাঁর কথায়, ‘আমার পরিবার উদ্বিগ্ন ছিল। আর আমি সকলকে এভাবে চাপে থাকতে দেখে মোটেও খুশি ছিলাম না। আমি শুধু প্রার্থনা করে গিয়েছি। তবে কাজ বন্ধ করিনি। শুধুই চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। এর মাঝখানে আমাকে কয়েক সপ্তাহের জন্য সান দিয়েগো গিয়েছিলাম। সেখানে জেরেমির সঙ্গে আমার দেখা হয়। তিনিই যেন আমাকে একজন দেবদূতের সঙ্গে সংযুক্ত করলেন। আমি আমার পরবর্তী স্লাইডে তার সম্পর্কে কথা বলব …’
আরও পড়ুন-‘এটাই সম্ভবত আমার শেষ…’, হঠাৎ কেন 🍌বলছেন রাকেশ রোশন! কী ঘট🔯তে চলেছে?
এরপর শেখর বলেন, ‘ডঃ এরিন ওয়ালশ৷ কোভিডের কারণে যাঁর 🌱সঙ্গে দেখা করতে পারিনি৷’তাই আমরা বরং জুম কল কথা। আমার মনে আছে যখন আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি আবার গান গাইতে সক্ষম হতে চাই তখন আমার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়েছিল। আমি তাঁকে অনুরোধ করলাম দয়া করে কিছু করুন।
এরপর তিনি আমাকে বলেন আমার কণ্ঠস্বরের যা হয়েছে তার জন্য আমার কখনওই নিজেকে দোষ দেওয়া উচিত নয়। আমরা দীর্ঘ কথা বলেছিলাম ܫআর আমি বেশ স্বচ্ছন্দ্য বোধ করছিলেন এবং অবশেষে, অলৌকিকভাবে 🐻তিনি আমাকে বিশ্বাস করিয়েছিলেন যে আমি গান গাইতে পারি, আর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম পদক্ষেপ।'
গায়ক আরও লেখেন, ‘তবে আমি যতবার কেঁদেছি, কুঁকড়ে গিয়েছি এবং নিজের কণ্ঠস্বরকেই ঘৃণ❀া করতে শুরু করেছি ... তবে তিনি অবিচল ছিলেন এবং আমার কণ্ঠস্বর এবং আত্মার উপর কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর দৃঢ় সংকল্প, নিষ্ঠা এবং তার ইতিবাচকতা আমার পক্ষাঘাতগ্রস্ত বাম ভোকাল কর্ডকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে।’
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গায়ক বলেন, ‘আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। এবং আমি আগের চেয়ে আরও ভাল গাইতে পারি। ধন্যবাদ, ডঃ এরিন ওয়ালশ, পৃথিবীতে আমার দেবদূত হওয়ার জন্য। তারপর থেকে আমি ☂এমন অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা করেছি যাঁরা কোভিডের পরে তাঁদের কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন। একটা উপায় আছে। সমাধান আছে। ইতিবাচক থাকুন এবং বিশ্বাস করুন।হৃদয়ে সবসময় আশা রাখবেন। তাহলে জীবনে সর্বদা দেবদূতের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনাকে সুস্থ করে তুলবে। জয় হনুমান।’
'তুঝে ভুলা দিয়া', 'বিন তেরে', 'মেহেরবান'-এর মতো বহু হিট গান গেয়েছেন রাভজিয়ানি৷ ২০১৬ সালে সোনম কাপুর অভিনীত 'নীরজা' ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি এবং বেশ কয়েকটি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বানিয়েছেনꦇ।