লক্ষ্মী পুজো শেষ। আপতত আলোর উৎসবের দিন গুণছে বাঙালি। দুর্গাপুজোয় মুক্তি পাওয়া চার বাংলা ছবির লক্ষ্মী লাভের অঙ্ক ন🅷েহাত মন্দ নয়। এই লড়াইয়ে শুরু থেকেই এক পা এগিয়ে থেকেছে ‘দশম অবতার’। পুজো রিলিজ ছবি গুলোর মধ্যে আয়ের নিরিখে এখনও এক নম্ব𓄧রে এই ছবি। মাত্র ১২ দিনেই এই ছবির আয় ছিল ৫.৫ কোটি টাকা। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, দু-সপ্তাহে সেই অঙ্কটা কমবেশি ৬ কোটি টাকা।
তবে খুব বেশি পিছিয়ে নেই অপর দুই ছবিও। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়ের ছবি মানেই বক্স অফিসে ধামাকা। ব্যতিক্রম নয় ‘রক্তবীজ’ও। উইন্ডোজ প্রোডাকশনের সব ছবিই ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পেয়েছে বক্স অফি🍸সে। দর্শকদের কাছে সমাদৃত মিমি-আবিরের ছবি। মুক্তির প্রথম দু-সপ্তাহে 🤪(১৪ দিনে) রক্তবীজের আয়ের পরিমাণ ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা, এমনটাই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানাল প্রযোজনা সংস্থা।
অন্যদিকে ২ লক্ষ ২৬ হাজার দর্শক হলে এসে উপভোগ করেছে এই ছবি। উৎসবের মরসুমে বিরাট সংখ্যক দর্শক হলে টানতে সফল হয়েছেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটি। সপ্তাহান্তে ‘রক্তবীজ’-এর আয়ের পরিমাণ আরও খানিকটা বাড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রক্তবীজের আয় ছিল ৩ কোটির আশেপাশে। শেষ ৮ দিনে ১ কোটি ৩৮ লক্ষের ব্যাবসা হাঁকিয়েছে এই ছবি। যা প্রশংসার দাবি রাখে। প্♏রায় এক সপ্তাহ পর জাতীয় স্তরে মুক্তি পেয়েছে ‘রক্তবীজ’। তাই শেষ কয়েকদি﷽নে বাংলার বাইরের কালেকশনও যুক্ত হয়েছে রক্তবীজের মোট আয়ের পরিমাণে। তার জেরেই এক লাফে বেড়েছে রক্তবীজের আয়।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মতো বাস্তব ঘটনা এই ছবিতে উঠে এসেছে। প্রথমবার নিজেদের পরিচিত জঁর থেকে অন্যরকম কিছু কর🌌ে দেখানোর প্রচেষ্টা করেছেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটি। ছবির বাজেট আর হল সংখ্যা বিচার করলে বাকি দুই ছবির সঙ্গে বিশেষ ফারাক নেই রক্তবীজের। এই ছবি নিয়ে দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়ে খুশি পরিচালক। শুধু বাংলায় নয়, দেশের অন্য প্রান্তেও প্রশংসা কুড়োচ্ছে এই ছবি। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির কেরিয়ারের সবচে🅘য়ে বড় বাণিজ্যিক হিট 'বেলাশুরু'। সেই ছবিকে টেক্কা দিতে না পারলেও দর্শক মনে নিজের স্থান করে নিয়েছে ‘রক্তবীজ’। এই ছবিতে আবির-মিমিকে দেখা গিয়েছে খাকি উর্দিতে। এছাড়াও ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে দর্শক দেখেছে রাষ্ট্রপতির চরিত্রে।
sacnilk.com-এর রিপোর্টানুসারে দেবের বাঘা যতীন মুক্তির প্রথম ১২ দিনে আয় করেছে ৩.১ কোটি টাকা। দেবের প্রযোজনা সংস্থার তরফে এই ছবির বক্স অফিস রিপোর্ট নিয়ে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি। পাঁচ কোটির বাজেটে তৈরি বাঘা যতীন-এর গায়ে হিটের তকমা লাগতে, এখনও খানিক অপেক্ষা করতে হবে তা স্পষ্ট। এই বক্স অফিস ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে 🌃১২ দিনের লড়াইয়েও দেবের﷽ চেয়ে এগিয়ে মিমি-আবির। এক নম্বর স্থান অটুট সৃজিত-প্রসেনজিৎ জুটির।
দিওয়ালিতে টাইগার ৩ ౠসুনামি আসার আগে ‘রক্তবীজ’-সহ অন্য বাংলা ছবিগুলো কেমন ব্যবসা করে সেই দিকেই নজর সকলের।