বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Exclusive: প্রতিবাদের আবহেও এরাজ্য থেকেই হিন্দি ছবি কিন্তু দারুণ ব্যবসা করেছে, তাই 'টেক্কা' নিয়েও আশাবাদী: রুক্মিণী

Exclusive: প্রতিবাদের আবহেও এরাজ্য থেকেই হিন্দি ছবি কিন্তু দারুণ ব্যবসা করেছে, তাই 'টেক্কা' নিয়েও আশাবাদী: রুক্মিণী

রুক্মিণী মৈত্র

‘মা শুনে বলেছিল আগেরটাতে ন্যাড়া হয়েছো, এই ছবিতে অন্তত মাথার চুলটা যেন থাকে’, ‘মায়া’র মায়ায় রুক্মিণী

টলিপাড়ার প্রথমসারির অভিনেত্রী তিনি। গার্লস গ্যাংকে নিয়ে গিয়েছিলেন ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে ফিরেই Hindustan Times Bangla-র মুখোমুখি রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। সবসময়ের মতো বেশ হাসিখুশি মেজাজেই ধরা দিলেন অভিনেত্রী। অবশ্♛যই আলোচনায় মূল বিষয় ছিল 'টেক্কা'। তবে কথায় কথায় উঠে এল আরও নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিজের মতামত জানালেন রুক্মিণী।

আপাতত আপনি আর রুক্মিণী নন, 'টেক্কা'র দৌলতে এখন ‘মায়া’, ইনি আসলে ঠিক কেমন?

রুক্মিণী: আমার এই ৭ বছরের কেরিয়ারে অন্য়তম কঠিন একটা চরিত্র এটা। যখন প্রথম চিত্রনাট্য শুনি, 'মায়া'কে দারুণ লেগেছিল। আর সে🥀জন্যই 'হ্য়াঁ' বলেছিলাম। তবে যখন মায়া হয়ে ওঠার পদ্ধতিতে ঢুকে পড়๊ল, তখন পুরো বিষয়টাই যেন বদলে গেল। গল্পের 'মায়া', আর সিনেমায় উঠে আসা ‘মায়া’ দুটো যেন একদমই আলাদা। যতক্ষণ না এই চরিত্রটা নিয়ে আমি সৃজিতের সঙ্গে বসেছিলাম, এটা কিন্তু বুঝতে পারিনি।

প্রথম বিষয় ছিল লুক, যেটা সবাই দেখে জাস্ট চমকে গিয়েছিল। যদিও বা আমি বিশেষ অবাক হইনি, কারণ আমার মা আমায় বললেন😼, ‘আগের ছবিতে ন্যাড়া হয়েছো, এই ছবিতে অন্তত মাথার চুলটা যেন থাকে।’ (হাসি) তাই এটা আমাকে খুব বেশি অবাক করেনি। তবে চ্যালেঞ্জ ছিল যে সৃজিত বলেছিল, ‘আমি পুরো বিউটি-র ডেভিনেশনটা ভেঙে দিতে চাই। ওই খোঁপা করা কিংবা পনিটেল করা পুলিশ লুক চাই না। আমি একদম র-একটা চরিত্র চাই।' তোর মুখটাকেই আমি distorted (বিকৃত) দেখতে চাই। কোনও পরিচিত এক্সপ্রেশন (মুখভঙ্গী) বডিল্যাঙ্গুয়েজ (চালচলন) কিচ্ছু চলবে না।’ বলা যেতে পারে 'মায়া' এখানে একটা মহিলা-পুরুষের মিশ্রণে তৈরি একটা চরিত্র। শিব-পার্বতীর মিলন বলা যেতে পারে। এমন চরিত্র আমি সত্যিই করিনি।

টিজারে আমাকে 'মাল' কথাটা বলতে শুনেছেন। অনেকেই হয়ত ভেবছেন, মেয়ের মুখে 'মাল'! সবমিলিয়ে এই চর𝄹িত্র, এখানে একটা চমকে꧒ দেওয়া বিষয় আছে।

তবে প্রকৃতিগতভাবেই ‘মায়া’ unapologetic (ক্ষমাহীন) একটা চরিত্র। আমরা যখন কোনও জটিল চরিত্র করি, তাঁরা সাধারণত জানে না যে তার মধ্যে ঠিক কী ✃কী জটিলতা আছে। বিভিন্ন মূহুর্তে, পরিস্থিতিতে সেটা বের হয়ে আসে। তবে মায়ার মধ্যে ৫টা মানুষ ইতিমধ্যেই আছে। তাস খেলার মতোই কার সামনে কোন কার্ডটা ব্যবহার করতে হবে, সেটা সে ভালোভাবেই জানে। আর সেটা ও সচেতনভাবেই করে। তাই ‘মায়া’ চরিত্র🦋টা অনেক কিছু নিয়ে। ও বাইরে থেকে যতটাই কঠোর, ভিতরে কিন্তু ওর মধ্যে সত্যিই একটা ‘মায়া’ আছে।

'মায়া' হতে সত্যিই কি চুল কেটেছেন?

রুক্মিণী: দর্শকদের সামনে এটা এক্কেবারেই ফাঁস করব না, দর্শকের যেটা ম🧔নে হবে, এক্ষেত্রে ♛সেটাই ঠিক। এটা দর্শকদের ভাবতে দিন (হাসি) আমি আদপে কী করেছি। ঠিক কী ভুল, সেটা পড়ে চুপি চুপি বলছি। (হাসি)

সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালক হিসাবে ভীষণই কড়া, এটাই তো শোনা যায়। প্রথমবার কাজ করতে গিয়ে কী মনে হল?

রুক্মিণী: সৃজিতকে ঠিক আমার কড়া মনে হয়নি। আসলে ও ভীষণ খুঁতখুঁতে। মানে ও যেট♒া চায়, তো সেটাই চাই। এটা শুধু পরিচালনা, কিংবা চিত্রনাট্যের ক্ষেত্রে নয়, কাস্টিং-এর ক্ষেত্রে🦋ও। যে চরিত্রটার জন্য যাকে ওঁর মানাচ্ছে বলে মনে হয়, তাঁকেই চাই।

সৃজিত যখন 'মায়া' চরিত্রটা আমায় করতে বলেছিল, আমি শোনার আগেই ‘না’ বলে দিয়েছিলাম। কারণ, এর আগেও একটা ছবি সৃজিত অফার করেছিল, সেটাতে বুমেরাং-সঙ্গে ডেট ক্ল্যাশ করায় আমি করতে পারিনি। তারপর এটা যখন ও করতে বলল, আমার মনে হয়েছিল, আগের ছবিটা করতে পারিনি, তাই ওর হয়ত 👍খারাপ লেগেছে বলে দিচ্ছে। তবে এভাবে আমি কাজ করতে চাই না। বলেছিলাম, যদি চরিত্রটা আমি ডিজার্ভ করি, তাহলেই দিও। তখন সৃজিত বলল, আরে তুই গল্পটা শোন, এটা কিন্তু সত্য়িই তুই। এরপর ও চিত্রনাট্য, চরিত্র নিয়ে কথা বলার পুরো বিষয়টাই দু'সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছিল, যতক্ষণ না আমি হ্যাঁ বলছি। শেষপর্যন্ত আমি চিত্রনাট্য়ের শেষপাতা পর্যন্ত পড়ার পরই হ্যাঁ বলেছিলাম। এটাও সৃজিতেরই ক্রেডিট। ও যাকে ভাবে, তাকে রাজি করিয়েই ছাড়ে।

এরপর সেটে গিয়ে কী মনে হল?

রুক্মিণী: সেটে গিয়ে দেখলাম, ওর যেটা চাই, সেটা সৃজিত অভিনেতাদের থেকে বের করে আনে। এমনকি ওর যদি মনে হয় মাঝপথে চরিত্রটা পুরোপুরি বদলে দেবে, সেটাতেও রাজি করিয়ে নেয়। একটা ব💫িষয় শেখার আছে, যেটা আমরা শুনে এসেছি যে জাহাজের ক্যাপ্টেনের কাছেই নিজেকে সমর্পন করে দিতে হয়। আর সেটা যখন করলাম, আর শেষ রেজাল্ট দেখলাম আমি সত্য়িই অসাধারণ কিছুই দেখেছি।

সৃজিতকে বলেছিল, যদি ‘মায়া’ কারোর খারাপ লাগে, সেটা আমার ডিসক্রেডিট। আর যদি একটা মানুষেরও এটা ভালো লাগে, এর কৃতিত্ব পুরোটাই সৃজিতের। আসলে ও জানে ও কী চায়, আর সেটা অভিনেতাকে༒ করে দিতেই হবে। আর সেটা করতে গিয়ে কারোর যদি কষ্ট হয় বা মজা লাগে, সেটা যে যার নিজের বিষয়। আমি বলব, সৃজিত মুখোপাধ্যায় আমার কাছে শুধু পরিচালক নন, একটা অভিজ্ঞতা। (হাসি)

'মায়া' রূপে রুক্মিণী
'মায়া' রূপে রুক্মিণী

'মায়া' আর রুক্মিণী কতটা এক?

রুক্মিণী: এক্কেবারেই আমি এমন নই। এমনকি আমার পরিচিত এমন কেউ নেই, যে মায়ার মতো। আসলে ২০২৪ বছরটা একেবারেই উল্টো দিক থেকে যাচ্ছে। ‘বুমেরাং’ ভবিষ্যৎ নিয়ে করা একটা ছবি। 'মায়া' একেবারেই বর্তমান একটা চরিত্র। আর যখন বিনোদিনী আসবে, সেটা ♔আবার অতীত। আমার মাথার চুলই দেখো, একটায় ন্যাড়া, পরেরটায় ছোট, তারপর হাঁটু পর্যন্ত লম্বা চুল। (হাসতে হাসতে, আরে মজা করলাম কিন্তু)

মায়াকে আমি ওম্যান🎉 এমপাওয়ারমেন্ট-এর প্রতীক বলব। এতগুলো পুরুষকে কীভাবে একজন মহিলা পরিচালনা করছেন, সেটা সত্যিই মনে রাখার মতো। ওর চোখের চাহনিত﷽েই সকলে উঠছে আর বসছে, সেটা কখনও ভুলব না।

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম কাজ, কতটা বন্ধুত্ব হল?

রুক্মিণী: ওঁর মতো দক্ষ একজন অভিন💜েত্রীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা, সেটা সত্যিই মনে রাখার মতো। ওকে অবশ্য অনেক আগে থেকেই চিনি। ও ভীষণই বন্ধুত্বপূর্ণ। তবে এই ছবিতে কাজ করার সময় মনে একটা বিষয়টা কাজ করছিল, যে একজন এতটা দক্ষ অভিনেত্রীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছি। তবে গিয়ে দেখলাম ও সবকিছুই খুব সহজ করে দিল। সবসময় উৎসাহ দিয়েছে। হয়ত কোনও দৃশ্য করলাম, তখন বলেছে, ‘কী ভালো করলি তো, এত ভালো কাজ করিস, তাহলে নার্ভাস কেন?’ আমি হয়ত তখন বললাম, ‘জানি না, তুমি আছো বলে নার্ভাস।’ এইরকম একটা বিষয় ছিল।

আর দেবের পারফরম্যান্স? কী বলবেন?

রুক্মিণী: দেবের পারফরম্য়ান্স দেখে আমি নিজেই অবাক। ও এত্ত ভালো করেছে, কিছু বলার নেই। এই ছবিতে কে কাকে টেক্কা দিচ্ছেন, সেটা বলা মুশিকিল। ꦇসেটা দর্শক হলে গিয়েই বিচার করবেন ৮ তারিখ (সেপ্টেম্বর)। আবার হয়ত, সকলে বললেন, সকলকে 'টেক্কা' আসলে সৃজিত মুখোপাধ্যায়-ই দিলেন।

স্বস্তিকা বলেছেন, আপনার কাছ থেকে ডায়েট টিপস পেয়েছেন…

রুক্মিণী: আরে আমি নিজেই কোনওদিন ডায়েটে থাকি না। (হাসি) তবে এবার বিনোদিনীর জন্য যে ওজন বেড়েছিল, সেই ওজনটাই বারবার ফিরে আসছিল। তাই কিছু শারীরিক কিছু সমস্যা🌱 হচ্ছিল। তাই একটা হেলদি লাইফস্টাইলে ফিরে যাওয়ার জন্য ডায়েটে ছিলাম। যেটা জীবনে প্রথমবার। তাও সেটে এত বেশি, চাট, পাপড়িচাট, ধোকলা, কেক এসেছে যে কী বলব…। ওস🍨ব সামনে দেখে ডায়েট কী আর কাজ করে! তবে মাঝে মাঝে স্বস্তিকা যখন জিগ্গেস করত, তখন বলতাম এটা আমি করছি, তুমিও করতে পারো। আমি ডায়েট কিন্তু ভাত খেয়েই করি। স্বস্তিকা শুনে বলল, ‘ভাত! আমি তো হাওয়া খেলেও ওজন বেড়ে যাচ্ছে। আর তুই ভাত খাচ্ছিস।’

ছোট্ট আমেয়ার নাকি দেবকে ভীষণ পছন্দ! বিয়ে করলে ও নাকি দেবকেই করবে?

রুক্মিণী: (হ𒁏াসি)। হ্যাঁ, এই কথাটা সেটেও বলত, যে বিয়ে করলে ও দেবকেই করবে। খুবই মিষ্টি মেয়ে ও। খুব সুন্দর পারফর্ম করেছে। তাই ওর প্রশংসা না করলে অন্যায় হবে।♕ আমার মনে হয় আমাদের মতো আমেয়ারও ভালোবাসা প্রাপ্য।

আরজি করের ঘটনার পর রাজ্য যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাতে টেক্কা নিয়ে কতটা আশাবাদী?

রুক্মিণী: আশাবাদী নাহলে তো বাঁচতেই ভুলে যাব। জানি, একটা খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তবে সবাই মিলে যেমন প্রতিবাদ করেছি, তেমন অন্যান্য সব পেশার লোকজন কিন্তু নিজের কাজটা করেছেন,🥀 করতে হবেও। তাই আমাদে🃏রও ছবির প্রচারে থাকতেই হচ্ছে। কারণ, এটা তো আমাদের কাজ। আমার কাজটাই মানুষকে বিনোদন দেওয়া। সকলে যেমন নিজেদের কাজের শেষে বেতন নিয়ে আশাবাদী। তেমনই এই ছবিটা যখন আমি করেছি, সেটা যদি দর্শক দেখেন, ছবিটা পূর্ণতা পাবে। তাই আমি আশাবাদী।

আমি কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে লোকজন কেনাকাটা করতে দেখতে পাচ্ছি। শপিং মলও ভরে আছে। রেস্তোরাঁতেও লাইন পড়ছে। সবকিছুই চলছে। এমনকি বাংলায় যখন প্রতিবাদ চলছে, তখন কিছু হিন্দি ছবি বাংলা থেকে অনেক ব্যবসা করেছে। এই তথ্যগুলো পেয়েই একথা বলছি। তাই আমি আশাবাদী। ছবিটা দেখলে আমাদের সেটা ভালো লাগবে, আবার কেউ না দেখলেও এক্ষেত্রে জাজমেন্টাল হওয়ার কিছুই নেই। এটা খুবই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, সেটাকে রেসপ𝄹েক্ট করা উচিত।

আর সিনেমা কিন্তু সমাজেরই প্রতীক। এই ছবিতেও কিন্তু সমাজেরই প্রতিফলন দেখা যাবে। তাই দর্শক যদি ২ ঘণ্টা সময় বে💃র করেন, তাহলে ভালো লাগ📖বে।

'মায়া' রূপে রুক্মিণী
'মায়া' রূপে রুক্মিণী

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন, RG কর নিয়ে সাধারণ মানুষের এই প্রতিবাদ, কী বলবেন?

রুক্মিণী: সত্যি কথা বলতে গেলে কলকাতা কিন্তু দেশের মধ্যে সেফ সিটি। আর এই কলকাতাতেই যখন এমন একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে,꧂ তখন সেটা সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যেখানে দুর্গাপুজো নয়, নারীর পুজো হয়, সেখানে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে! তাই প্রতিবাদ হয়েছে যাতে যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তাঁরা যাতে বিষয়টা গুরুত্বসহকারে নেন। আমাদের মত একটা সেফ সিটিতে যদি এটা ঘটতে পারে, তাহলে দেশজুড়ে আরোও কত কী হচ্ছে! হয়ত আমরা সবকিছু জানতেও পারি না।

সবকিছুরই একটা শুরু থাকে। যেমন স্বাধীনতা আন্দোলনেও বাংলা থেকেই বেশি মানুষ এগিয়ে এসেছিলেন। তবে আমরা কিন্তু শুধু বাংলার মানুষের জন্য স্বাধীনতা চাইনি দেশের জন্য চেয়েছিলাম🔯। তবে আমার মনে হয় যে প্রতিবাদ হয়েছে, তা গোটা দেশজুড়ে হওয়া উচিত। শুধু স্বার্থপরের মতো বাংলার মেয়েদের জন্য করলে হবে না। কারণ, ৯ তারিখ এই ঘটনা ঘটার পর দেশজুড়ে বহু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। উজ্জয়িনীতে জনসমক্ষে ধর্ষণ হয়েছে, যেটা রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে। তাই আমার মনে হয় এই প্রতিবাদটার প্রভাব যেন দেশজুড়ে থাকে। সমাজে সামগ্রিকভাবে যেন একটা পরিবর্তন আসে। এমন আইন আনা উচিত, যেন ছেলেরা ভয়ে ইভটিজিংও না করতে পারে।

আমার মনে হয়, দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও সেক্স এডুকেশন (যৌন শিক্ষা) মাস্ট করা উচিত। সমস্ত বয়সের লোকজনের মধ্যে এই শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। শুধু অল্পবয়সীরা, নয়, প্রবীণ ব্যক্তিরাও নানান নোংরা কাজ করেন। তাই আমি সামাজিক পরিবর্তন চাই। আইনের পরিবর্তন চাই। যেমন ভোটের সময় বাড়িতে বাড়িতে যাওয়া হয়। তেমন একটা গ্রুপ বানিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ‘যৌন শিক্ষা’ দেওয়া উচিত। ৪-৪০-৮০ সব বয়সের লোকজনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলা উচিত। প্রতিবাদের মাধ্যমে যদি সমাজের এই পরিবর্তন আনা যায়, তবেই সেটা স𒆙ফল।

বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও যৌন হেনস্থার নানান অভিযোগ সামনে আসছে? কখনও নিজেকে এখানে আনসেফ মনে হয়েছে?

রুক্মিণী: আসলে এক্ষেত্রে সকলের অভিজ্ঞতাই আলাদা, ভীষণ ব্যক্তিগত। আমি অনেক ছোট থেকে কাজ করছি। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে, যদি সত্য়িই বলতে হয় আমি কখনওই খারাপ কিছুর মুখোমুখি হইনি। ছোটতে যখন মা, দিদার সঙ্গে কাজে যেতাম, তখনও নয়, আবার ১৮র পর যখন একা যেতে শুরু করলাম তখনও না। মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা, বিদেশ, বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছি। আমি ꦓঅনেক ছোট থেকেই অভিনয় করার প্রস্তাবও পেয়েছে। তবে এমন কোনও অভিজ্ঞতা আমার তো হয়নি। আমার অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে ভালো। তবে বহু মহিলা আছেন, তাঁদের অভিজ্ঞাতা আলাদা। অনেকেরই অনেক কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। হয়ত একই লোকের সঙ্গে আমার ভালো অভিজ্ঞতা, অন্যজনের খারাপ অভিজ্ঞতা। তাই এটা যাঁর সঙ্গে হয় সেই বোঝে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমি তেমন কোনও রাক্ষসদের সম্মুখীন হইনি। তবে আমি এটা বলতে পারিনা যে এটা ঘটে না। তবে যাদের সঙ্গে ঘটেছে, সেটা সত্যিই খারাপ।&🐭nbsp;

তবে এই একটা সূত্র ধরে এখন অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে। তবে এই বিষয়টা শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নয়, সর্বত্রই আছে। আলোচনা হয়ত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে হচ্ছে, তবে অন্য সেক্টরে আছে, হয়ত আরও ভয়ঙ্করভাবে আছে। এখানে আমরা হয়ত কিছু ঘটলে ফেসবুকে লিখতে পারি,✅ কথা বলতে পারি। লোকের ভয় থাকে যে কিছু করলে খবরে আসবে। অন্𝓰য সেক্টরে হয়ত কেউ লিখলে তাঁর চাকরিই চলে যাবে। তাই প্রতিবাদ করলে সবক্ষেত্রে করা উচিত।

 

 

 

 

 

 

 

বায়োস্কোপ খবর

Latest News

'মটর কলাই গোল গোল', শূন্য সিপিএমের জন্য ‘অনুর🌠োধের আসর’ কুণালের, 'কমরেড গালি দিন' বিদেশের মাটিতে শতরানের রেকর্ডে সচিনকে টপকালেন বিরাট! বসল🎶েন সানির পাশে… প্রাথমিক শুনানিই হল না… নিজ্জরকাণ্ডে ৪ ভারতীয়র ব𝓡িরুদ্ধে মামলার বড় আপডেট সামনে বুধের বিপরীতমুখী চলনে প্রেম জীবনে ꦡবাড়বে রোমান্স, দেখুন সাপ্তাহিক প্রেম রাশিফল ‘প্রায় ১ কোটি রোহিঙ্গা মুসলমান পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে জনবি🐟ন্যাস বদলে দিয়েছে’ দেশজুড়ে ভোটবাক্সে সুপারহিট মমতার ফর্মুলা, 'মালিকানা' নিয়ে টানাটানি B🔯JP-র নিজ্জর কাণ্ডে ম𓃲োদীর নাম জড়াতেই নিজের দেশের অফিসারদের 'ক্রিমি🧜নাল' আখ্যা ট্রুডোর IPL 2025 Auction Major Buys: আইপিএল ২০২৫-এর মেগ🐎া নিলামে ‘ব্যাঙ্ক লুটলেন’ কারা? সিরিয়ার ঐতিহাসিক 🐈সমাধিস্থলে উদ্ধার বিশ্বের ‘প্রাচীনতম বর্ণমালা’, বয়স ৪,৪০০ বছর! Video-বিরা﷽ট কোহ𝐆লির ছয়! সপাটে আঘাত নিরাপত্তারক্ষীর মাথায়! দেখে যা করলেন কোহলি

Women World Cup 2024 News in Bangla

AI দিয়ে মহিলা ক্রিকেটারদের♐ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং অনেকটাই কমাতে পারল ICC গ্রুপ স্টেজ থেকে বিদায় নিলেও ICCর সেরা মহিলা একাদশে ভারতের 🍒হরমনপ্রীত! বাকি কারা? বিশ্বকাপ জিতে নিউজিল্যান্ডের আয় সব থেকে বেশি, ভারত-সহ ১০টি দল কত টাকা হ𝐆♐াতে পেল? অলিম্পিক্সে෴ বাস্কেটবল খেলেছেন, এবার নিউজিল্যান্ডকে T20 বিশ্বকাপ জেতালেন এই তারকা রবিবারে খেলতে চান না বলে টেস্ট ছাডꦿ়েন দাদু, নাতনি অ্যামেলিয়া বিশꦆ্বকাপের সেরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে কত টাকা পে🦩ল নিউজিল্যান্ড? টুর্নামেন্টের সেরা কে?- পু💃রস্কার মুখোমুখি লড়াইয়ে পাল্লা ভারি নিউজিল্যান্ডের, বিশ্বকাপ ফাইনালে ✤ইতিহাস গড়বে কারা? ICC T20 WC ইতিহাসে প্রথমඣবার অস্ট্রেলিয়াকে হারা𒆙ল দক্ষিণ আফ্রিকা জেমিমাকে দেখতে পারে! নেতৃত্বে ♒হরমন-স্মৃতি নয়, তারুণ্যের জয়গান মিতালির ভিলেন নেট রান-রেট, ভালো খেলেও বিশ্বꦬকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নাইট

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.