১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার খুশির ইদ (Eid), ইদ-উল-ফিতরের আনন্দে মেতে উঠেছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষরা। আমজনতা থেকে সেলেব্রিটি, বাদ নেই কেউই। এপার বাংলার পাশাপাশি ইদ সেলিব্রেট করছেন ওপার বাংলার সেলেবরাও। এরই মাঝে Hindustan Times Bangla-র সঙ্গে নিজের ইদের পরিকল্পনা ভাগ করে নিলেন অভিনেতা গাজী আব্দুন নূর। এই বাংলায় টেলিভিশনের দর্শক অবশ্য তাঁকে ‘করুণাময়ী রাণি রাসমণি’র স্বামী বাবু রাজচন্দ্র দাস হিসাবেই চেনেন।
ইদ কী কাটানোর পরিকল্পনা?
গাজী আব্দুন নূর জানালেন, ‘ছোটবেলায় যে আনন্দগুলো ভীষণ মধু🦹র ছিল, বড় হয়ে সেগুলিই এখন অনেকটা ফিকে। ইদের ক্ষেত্রেও তাই। এবার ইদে আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা নেই, বাড়িতেই থাকব। খাওয়া-দাওয়া করব, আর মা-কে নিয়ে একটু বাইরে কোথাও হয়ত যাব। এখন বাড়িতে সদস্য বলতে আমি আর মা।’
আর ইদ স্পেশাল খাওয়া-দাওয়া?
গাজী আব্দুন নূর বলেন, ‘খাওಌয়া-দাওয়া তো স্পেশাল👍 হবেই। আমি ৩০টা রোজা রেখেছি। রোজা শেষে ইদের খাওয়া-দাওয়া সত্যিই স্পেশাল হয়। তবে রান্নাবান্না বাড়িতই হবে। আর সেটা আমিই করব। মাকে খাওয়াব।’
আপনি রান্না করবেন?
নূর- ‘হ্যাঁ,🎀 রান্নাটা এখন আমিই করি। শুধু ইদের জন্য নয়। মাঝে মধ্যেই রান্না করি। আসলে মায়ের বয়স হয়েছে। ৭০-এর উপর বয়স। তাই এই বয়সে মাকে আর রান্নাঘরে যেতে দেওয়া যায় না। সারা বছর রান্নার জন্য একজন লোক আছেন। উনিই রান্না করেন। তবে মাঝেমধ্যে ওই একই রান্না খেতে মায়ের ভালো লাগে না। তখন আমিই করি। এমনও হয়েছে হয়ত ঢাকায় শ্যুটিং করছি। মাঝে ফিরে এসে মায়ের জন্য রান্না করে তারপর আবারও শ্যুটে গেছি। আর ইদেও আমিই রান্না করব।’
মেনুতে কী?
টেলিপর্দার 'রাꦬসমণি'র স্বামী 'রাজচন্দ্র দাস' ওরফেগাজী আব্দুন নূর বলেন, ‘ইদে পোলাও, কিংবা হয়ত ইলিশ পোলাও করতে পারি। চিকেনও করব। কারণ, মা রেড মিট খান না। এই বয়সে খাওয়াও ঠিক নয়। তাই চিকেন আর ইলিশ পোলাও বানাব।’
ইদের কেনাকাটা করেছেন?
নূর- হ্যাঁ, সেটা করেছি। আমি নিজের জন্য ঢাকারই বুটিক থেকে আমার আর মায়ের ম্যাচিং করে পোশাক কিনেছি। আমার জন্য কাল♚ো পাঞ্জাবি, আর মায়ের জন্য কালো থ্রি পিস পোশাক কিনেছি। বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে, মা বয়সের কারণে এখন শাড়িটা ঠিক পরে উঠতে পারেন না।
এখন বাংলাদেশে কী কাজ করছেন?
নূর- বাংলাদেশে আমার তিনটে ছবি রিলিজ করেছে। এছাড়াও টেলিভিশনে কাজ করছি। আর খুব শীঘ্র🐻ই হয়ত কলকাতার টেলিভিশনেও ফিরব। কথাবার্তা চলছে, তবে এখনও ফাইনাল কিছু হয়নি। তবে আমি কলকাতায় ফিরতে চাইছি। মাকে নিয়েও যাব।