নাম ঋতু পাইন, টেলিপর্দার দর্শক অবশ্য তাঁকে চিনেছিল 'অনুরাগের ছোঁয়া'র 'ইরা' নামে। আর এবার সেই 'ইরা' এখন ছোটপর্দার 'ঘটকদিদি' হয়ে ফিরেছেন। নাম বদলে হয়েছে ‘দিতিপ্রিয়া’। সৌজন্যে নতুন ধারাবাহিক 'মালাবাদল'। নিজের ন🐻তুন ধারাবাহিক সহ ব্যক্তিগত জীবনের নানান টুকিটা🅠কি কথা শেয়ার করলেন ছোটপর্দার 'ঘটকদিদি' 'দিতিপ্রিয়া' অর্থাৎ অভিনেত্রী ঋতু পাইন।
'মালাবদল' তো সেই অর্থে, নায়িকা হিসাবে আপনার প্রথম কাজ?
ঋতু: হ্য়াঁ, লিড কাস্ট বা নায়িকা হিসাবেই এটাই আমার প্রথম ধারাবাহিক। এর আগে 'অনুরাগের ছোঁয়া🅺'তে কাজ করেছিলাম, যদিও সেটা নায়িকার চরিত্র ছিল না। তবে 'ইরা' চরিত্রটাও ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
'মালাবদল', এই নতুন ধারাবাহিকে কাজ শুরু করে কেমন লাগছে?
ঋতু: এখনে আমি এমন অনেকের সঙ্গেই কাজ করছি, যাঁদেরকে আমি ছোট থেকে পর্দায় অভিনয় করতে দেখে এসেছি। আর এখন তাঁদের সঙ্গেই আমি কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, সেই অনুভূতিটা সত্যিই অসাধারণ। এই অনুভূতিটা আসলে কী তা হয়ত আমি ঠিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তবে ওনাদের কাছ থেকে আমি এখন প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখছি। সেটা শুধু অভিনয় শিখছি এমন নয়, ওঁদের দেখে নিজের গ্রুমিংও করছি। স্বর্ণদা (পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার) আমায় প্রথম দিন থেকেই গাইড করছেন। ওনার এই গাইডেন্সটা আমার কাছে আশীর্বাদের 𝄹মতো।
অভিনয়-কে কেরিয়ার হিসাবে বেছে নেবেন এটা ঠিক কবে ভেবেছিলেন?
ঋতু: সত্য়ি বলতে আমি অভিনয়ে আসব কোনওদিনই ভাবিনি। প্রথমদিকেই আমি অ্যাকাড🧸েমিক বিষয়েই সিরিয়াস ছিলাম। আমি ভালো ছাত্রী, কলেজেও ভালো রেজাল্ট করেছি, গোল্ড মেডেলিস্ট ছিলাম। সেখানে দাঁড়িয়ে মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে যেমন বলা হয়, তেমনই আমাকে বলা হয়েছিল যে ‘পড়াশোনা করো, তবেই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’।
তবে হ্য়াঁ, ছোট থেকে যেমন অনেকেরই ইচ্ছে থাকে আমিও অভিনয় করব, তেমনই একটা বিষয় আমার মধ্যেও ছিল। পড়াশোনার সময় সেই সুযোগꦚ আসেনি। তবে কলকাতায় আসার পর সেই সুযোগ আসতে শুরু করে।
কীভাবে শুরুটা হয়েছিল?
ঋতু: আমি একটা বিউটি পেজেন্টে যোগ দিয়েছিলাম। সেখান থেকেই আমার এই যাত্রাপথ শুরু হয়। তবে আমার তো কলকাতায় বাড়ি নয়, তখন নিজের মেদিনীপুরের বাড়ি থেকেই যাতায়াত করতাম, অডিশন দিতাম, আবার ফিরে যেতাম। গত ১ বছর হল আমি কলকাতায় থাকা শুরু করেছি। সেই শুরুটাও অবশ্য পড়াশোনার সূত্র ধরেই হয়েছিল। তারপর অ𝓀ডিশন দিতে শুরু করি।
আপনি তাহলে কলকাতার মেয়ে নন?
ঋতু: নাহ, আমি আসলে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর টাউনের মেয়ে। এখন অবশ্য রানিকুঠিতে ভাড়া থাকি। তবে মেদিনীপুরেই আমার স্কুল। ওখানেই কলেজ। আমি রাজা নরেন্দ্রলাল খান ওম্যানস কলেজে পড়তাম, যেটাকে গোপ কলেজ বলা হয়। আমি ফুড সা🐲য়েন্স এন্ড নিউট্রিশিয়ান-এ এমএসসি করেছি।
আপনি নাকি চাকরিও পেয়েছিলেন?
ঋতু: হ্য়াঁ, আমার হাতে যখন এই প্রোজেক্টটা আসে, তখনই একটা অন্য জায়গায় চাকরি পেয়েছিলাম। যেদিন চাকরিতে জয়েনিং, সেদিনই আবার শ্যুটিং শুরু ছিল। তাই আমাকে যেকোনও একটা বেছে নিতেই হত🐟। এক্ষেত্রে অবশ্য বাড়ির লোকজনকে আমি পাশে পেয়েছি। আমাকে ওঁরা সাপোর্ট করেছেন, বলেছেন, '💯এই সুযোগটা যখন পেয়েছিস, তুই অভিনয়টাই কর। ঈশ্বরই এই রাস্তাটা তোকে দেখিয়েছেন।'
বাড়ির কথা যখন উঠল, আপনার পরিবারে আর কে কে আছেন?
ঋতু: আমাদের খুব ছোট পরিবার। বাবা-মা, আমার দিদ𝐆𝔉ি, জামাইবাবু, আর দিদির মেয়ে। (হাসি)
আজকাল তো TRP-কম থাকলে ১ মাসেও সিরিয়াল শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে, আপনারনতুন শুরু, কোথাও কি কোনও ভয় কাজ করেছিল?
ঋতু: নাহ এই ভয়টা আমার প্রথমদিন থেকেই কখনও হয়নি। কারণ প্রমো শ্য়ুট থেকেই আমরা অডিয়েন্সের ক🍃াছ থেকে খুব ভাল🐼ো সাড়া পেয়েছি। আমাদের ধারাবাহিকের গল্প খুব ভালো, তাই সবাই আমরা খুব আশাবাদী। এরপর আমরা সকলেই নিজেদের সেরাটা দেব। আশারাখি, আমাদের এই পথ অনেক দূর পর্যন্ত চলবে।
পর্দার ‘দিতিপ্রিয়া’ আর বাস্তবে ঋতুর মধ্যে কিছু মিল বা অমিল খুঁজে পান?
ঋতু: মিল, অমিল অনেকগুলোই আছে। দিতি খুবই একস্ট্রোভাট (বহির্মুখী স্বভাবের), তবে আমি অতটাও নই। আমি ইনট্রোভার্ট (অন্তর্মুখী), আমার মিশতে একটু সময় লাগে। তবে দিতি বাচ্চাদের খুব ভালোবাসে, ঋ♐তুও ভালোবাসে। দিতি সকলকে সাহায্য করতে চায়, ঋতুও সেটা চায়, তবে নিজের ক্ষতি না করে। এখানে দিতি যেমন বোকামি করে, নিজের ক্ষতি করেও লোককে সাহায্য করতে চলে যায়, আমি হয়ত সেটা করব না। আর দিতি ওর মাকে খুব ভালোবাসে, ঋতুও ওর মাকে খুব ভালোবাসে।
অভিনেত্রী হিসাবে এরপরের টার্গেট কি? নিশ্চয় বড়পর্দা?
ঋতু: সেটা পড়ে ভাবা যাবে। আপা💎তত আমার টার্গেট শুধুই 'মালাবদল'। যেন এই সিরিয়াল বছরের পর বছর চল🐼ে।
অভিনয়, পড়াশোনা ছাড়া আর কি গোপন প্রতিভা রয়েছে?
ঋতু: আমি ক্ল্যাসিক্যাল ডান্স করতাম, ভারত নাট্যম, রবীন্দ্রনৃত্য। এছাড়🤪া আমি খুব ভাল🌠ো কেক বানাতে পাড়ি। একদম ব্র্যান্ডেট কেকের মতো। (হাসি)