সালটা ছিল ২০১৬, সেবছর ২৩ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল ‘সহজ পাঠের গপ্পো’। পরিচালকের মানস মুকু𝄹ল পালের সেটাই ছিল প্রথম ছবি। যে ছবি নিয়ে সেসময় ভীষণই চর্চা হয়েছিল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। বাঙালি দর্শকদের মধ্যেও সাড়া ফেলে দিয়েছিল ছবিটি। তারপর প্রায় ৭ বছর পার হয়েছে, আর কোনও ছবি বানাননি পরিচালক। কিন্তু কেন? কোথায় গেলেন পরিচালক?
মাঝে শোনা গিয়েছিল পꦡরিচাল🤪ক দীনেশ গুপ্তের বায়োপিক বানাচ্ছেন মানস মুকুল পাল। সেটাও শোনা গিয়েছিল প্রায় ৪ বছর আগে ২০২০তে। সেই বায়োপিকে অভিনয় করার কথা খোদ মিঠুন চক্রবর্তীর, অভিনয়ের কথা ছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতারও। তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আজ আর নেই। মাঝে কোভিড এসে অনেকগুলো বছর, অনেককিছুই তছনছ করে দিয়েছে। তবে টলিপাড়ায় কান পাতলে এখন শোনা যাচ্ছে, দীনেশ গুপ্তের বায়োপিকের কাজ শেষ না হলেই মানস নাকি মিঠুনকে নিয়ে আরেকটা ছবি বানাচ্ছেন। বাবা-ছেলের গল্প নিয়ে তৈরি হতে চলা এই ছবির নাম নাকি 'অযান্ত্রিক', ছবির প্রযোজনা নাকি করছে ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন।
সত্যিই কি তাই? ত🔴াহলে দীনেশ গুপ্তের বায়োপিকের কাজ কতদূর? এবিষয়ে Hindustan Times Bangla-র কাছে খোলসা করলেন মানস মুকুল পাল।
'অযান্ত্রিক' নিয়ে প্রশ্ন করলেও পরিচালক মানস অবশ্য বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে 🐭নারাজ। মানস মুকুল পালের কথায়, ‘এধরনের কোনও ছবি করছি বলে আমি অন্তত জানি না। লোকজন বলছে, আমিও শুনছি। তবে কোথা থেকে এমন খ♔বর রটছে আমার সত্যিই জানা নেই।’
মানস মুকুুল পাল বলেন, ‘দীনেশ গুপ্তের বায়োপিক নিয়ে লড়াই আমার চলছিল, সেই লড়াই-ই এখনও চলছে। এটার জন্যই এর মধ্যে ১২-১৪টা ছবির প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছি। কারণ এই ছবিটা বানানোই আমার লক্ষ্য। আসলে কোভিডের পর থেকে ছবির ফ🌃ান্ডিং নিয়েই সমস্য চলছে। অনেক বড় বাজেটের ছবি এটা। পুরো টাকা এখনও অ্যারেঞ্জ হয়নি। আশা করছি হয়ে যাবে। এই ছবির কিছুটা কাজ হয়েছিল সেটা ২০২০, ২০২১-এ। তারপর সেটা ওভাবেই পড়ে আছে, তাই সেটের অনেক জিনিস পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হচ্ছে।’
আরও পড়ুন-আম্বানিদের রূপকথার বিয়ে! অননಌ্ত-রাধিকার সঙ্গে মধ্যমণি, কী কথা হল? খোলসা করলেন রুক্মিণী
দীনেশ গুপ্তের বায়োপিকের প্রযোজনা কারা করছেন? মানস মুকুল পাল জানান, ‘এই ছবির জন্য বাংলার কোনও বড় প্রোযজনা সংস্থার কাছে আমি আবেদন করিনি। অনেক মানুষ আছেন▨, যাদের কাছে অর্থ আছে, চাইলে লগ্নি করতে পারেন। এমন কিছু মানুষের কাছেই অনুরোধ করেছ🐓ি। ইনডিপেনডেন্ট ভাবেই আমি ছবিটি করছি আসলে। এক্ষেত্রে মিঠুনদাও অনেক সাহায্য করেছেন এবং করছেন, যাতে ছবিটা হয়।’
এত বড় বাজেটের ছবি, শুধু কি বাংলাতেই হবে, নাকি প্যান ইন্ডিয়া? ‘আমার তো শুধু বাংলাতেই এই ছবিটা বানানোর ইচ্ছা আছে। তবে এবার দেখা যাক কী হয়…! ছবির কাজ কিছুটা এগিয়েছে।’
এর আগেই মানস মুকুল পালের জানিয়েছিলেন, 'সহজ পাঠের গপ্পো'র মতোই দীনেশ গুপ্তের বায়োপিকেও অনেক নতুন মুখ নিয়ে তিনি কাজ করছেন।💦 ছবিতে উঠে আসবে প্রাক-স্বাধীনতার সময়কালীন ইতিহাস। যে ছবির শ্যুটিং বাংলাদেশেরও বিভিন্ন প্রান্তেও ছবির শ্যুটিং হওয়ার কথা। প্রসঙ্গত ‘প্রজাপতি’তে কাজ করার আগে মানস মুকুল পালের এই ছবি দীনেশ গুপ্তের বায়োপিক দিয়েই বাংলা ছবিতে ফেরার কথা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। তবে মাঝে কিছু বছর কোভিড অনেক সমীকরণই বদলে দিয়েছে।