বাংলা টেলিভিশনের সুন্দরী ‘স্ত্রী’ তিনি। এই পঞ্জাবি কন্যার সৌন্দর্যে চোখ আটকে যেত সিরিয়াল প্রেমীদের। কিন্তু টেলিভিশনের পর্দা থেকে গত ৩ বছর ধরে গায়েব। মাঝে দু-বছর তো সোশ্যাল মিডিয়াতেও ধরা দেননি। কথা হচ্ছে নেহা সোনকারের, দর্শক যাঁকে চেনে নেহা আমানদীপ হিসাবে। জি বাংলা-র ‘স্ত্রী’ ধারাবাহিক দিয়েই বাংলা টেলিভিশনে পা রাখেছিলেন নেহা। সান বাংলার কনে বউ (Kone Bou) ধারাবাহিকে শেষ দেখা গিয়েছিল নেহাকে। টেলিপাড়া সূত্রে খবর, অ📖বশেষে কামব্যাক করতে চলেছেন এই সুন্দরী নায়িকা।
গত কয়েক মাস ধরেই নেহার টেলিপর্দায় ফেরা নিয়ে নানান গুঞ্জন শোনা গি𒐪য়েছে। মাস দুয়েক আগেই হাওয়া উঠেছিল জি বাংলায় ব্লুজ প্রোডাকশনের আসন্ন সিরিয়ালে থাকছেন মেগা, কিন্তু মাঝপথেই♊ আটকে যায় সেই প্রোজেক্ট। এখন টেলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন স্টার জলসার আসন্ন মেগায় নায়িকা চরিত্রে থাকছেন নেহা আমানদীপ ( Neha Amandeep)। শোরগোল শুরু হতেই দারুণ খুশি নেহার ভক্তরা। অভিনেত্রীকে টেলিপর্দায় দেখতে মুখিয়ে রয়েছে তাঁরা। এই ব্যাপারে জানতে নেহার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। স্টার জলসার নতুন মেগায় কামব্য়াকের প্রসঙ্গ উঠতেই নায়িক বললেন, ‘হুমমম…. (লম্বা পজ) এই ব্যাপারে এখনই আমার পক্ষে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। যতক্ষণ না কিছু কনফার্ম হচ্ছে কিছু বলতে পারছি না’।
লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগত থেকে লম্বা ব্রেক, ফ্যানেদের কতটা মিস করছেন নেহা🔴? অকপটে জবাব, 'ফ্যানেদের ভীষণ মিস করি। অনেকদিন হল টিভির পর্দায় আসেনি। ওদেরকে খুবই মিস করি, আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ফির🃏ব টেলিভিশনের পর্দায়, সবার ভালোবাসা চাই'।
সূত্রের খবর, স্টার জলসায় স্নেহাশিস চক্রবর্তীর ব্লুজের আসন্ন মেগাতেই দেখা যাবে নেহাকে। এই স⛎িরিয়ালে নেহার বিপরীতে থাকবেন রোহন ভট্টাচার্য এমনটাই খবর। তবে সবকিছু এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু পরিকল্পনা মাফিক সবটা এগোলে শীঘ্রই স্টার জলসায় রোহন-নেহা জুটিকে দেখবে দর্শকরা।
শুধু সিরিয়ালের পর্💮দা থেকে নেহা গায়েব থেকেছেন না নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও মাঝে দু-বছর (২০২০-২২) তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়েনি। উদ্বিগ্ন ছিল ভক্তরা। ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের ফোন ধরতেন না অভিনেত্রী। তিনি কেমন আছেন? কোথায় আছেন? এই প্রশ্নের উত্তর ছিল না কারুর কাছেই।
গত বছরের শেষে দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এসে ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে দাঁড়ানো ডিপ্রেশন নিয়ে মুখ খোলেন নেহা। মানসিক অবসাদে ভোগার কথা জানিয়ে বলেছিলেন- ‘ছোটছিলাম আমি। কিছু কথা শুনে আমি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিলাম। কেন ছাড়লাম সেটা নিজেও ঠিকভাবে ব্যাখা করতে পা🅠রব না। আমার মনে হত আমার মাথার মধ্যে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি কথা বলছে। সে বলত, তুমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ। তোমাকে বিচ্ছিরি দেখতে, তোমাকে কেউ আপন করে নেবে না। তোমার মরে যাওয়া উচিত… আমার এই সব মনে হত’।
নেহা আরও বলেন- ‘আমি ভয়𝐆 পেতাম লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে। আমি রুমের বাইরে বার হতে পারতাম না। কাজের ব্যাপারে কেউ ফোন করলে ফোন ধরতাম না… ডিপ্রেশন শব্দটা সেই বুঝতে পারে যে সেটার মধ্যে দিয়ে যায়। মানে তুমি নিঃশ্বাস নিচ্ছো, কিন্তু তুমি বেঁচে নেই’।
তবে জী🦩বনের এই কালো-অধ্য়ায় এখন অতীত। মন খুলে বাঁচার ফর্মুলা শিখে নিয়েছেন নেহা, তাঁকে টেলিভিশনের পর্দায় আবার দেখতে ⛄উদগ্রীব সকলেই।