‘মিডিয়া, বডিগার্ড ও ড্রাইভারদের প্রবেশ নিষেধ’, কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টোরাজের রিসেপশনে এমনই একটা বোর্ড দেখা গিয়েছিল বুধবারে। যা নিয়ে রাত থেকেই তোলপাড় মিডিয়া, নেট-দুনিয়া। কাঞ্চন মল্লিকের পরিচিতি কখনোই শুধু অভিনেতা হিসেবে নয়, তিনি বর্তমানে একজন জনপ্রতিনিধি। তৃণমূলের টিকিটে জেতা বিধায়ক। সেখানে তাঁকে বা তাঁদেরকে অনবরত সেবা দেয় যে ‘নিরাপত্তারক্ষী’ ও ‘গাড়ির চালকরা’, তাঁদের এভাবে বাদ রাখার সিদ্ধান্ত প্রশ্ন তুলেছে অনেকের মনে! এমনকী কেউ কেউ💛 তো মিল পাচ্ছেন ইংরেজ আমলে রেস্তোরাঁ বা ক্লাবেপ বাইরের লিখে রাখা সেই কথার সঙ্গে, ‘INDIANS AND DOGS ARE NOT ALLOWED’।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে। কেন এমন বোর্ড ছিল তাঁদের বিয়েবাড়িতে জানতে চাওয়া হয় সরাসরি। যাতে অভিনেত্রী স্পষ্ট করলেন, ‘আমরা সরাসরি এমন নির্দেশ দেইনি। আমাদের কোনও কার্ডেও এমনটা লেখা ছিল না। ওই বোর্ড হোটেলের তরফে টাঙানো হয়েছিল। আমরা শুধু বলেছিলাম, কোনও মিডিয়ার কাউকে যেন ঢুকতে দেওয়া না হয়। অথবা কারও গাড়ির চালক বা নিরাপত্তারক্ষীর পরিচয়ে কেউ এলেও যেন আটকানো হয়। কারণ এই ভুয়ো পরিচয়েই মানুষ ঢোকে। পরিচয়পত্র দেখে তো ওভাবে সবাইকে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। যেই লেখাটা আছে ওটা হোটেল কতৃপক্ষই দিয়েছিলেন। তবে ওঁরাও কাউকে আঘাত করতে বা নীচু করতে চান💎নি।’
তবে ব্যাপারটাতে যেভাবে বারবার কুকুরের প্রসঙ্গ টেনে আনা হচ্ছে তা অদ্ভুত আর হাস্যকর বলেই মনে করেন শ্রীময়ী। বলেন, ‘মানুষটা কুকুর হয়ে গেল… কোনও জন্তু আর প্রাণী এক। এই তুলনা টানাটাই তো অর্থহীন। অযৌক্তিক। সকাল থেকে আꦍমও দেখেছি কিছু মানুষ এমনটা লিখেছেন। এরকম কোনও উদ্দেশ্যই তো কারও ছিল না।’
শ্রীময়ী আরও স্পষ্ট করে দেন, ‘কাঞ্চন তো ড্রাইভারকে পাইলট বলে ডাকে। কাওকে ছোট করা হয়নি। সব ড্রাইভারদের ডেকে ডেকে খাওয়ানো হয়েছে। সব সেলেব্রিটিদের সঙ্গে তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীরা এসেছে। কাঞ্চনের নিজের বডিগার্ডরা𝔉ও তো এসেছে। কখনোই তো তাঁদের আটকানো হয়নি। আমাদের মনে হয়েছে, আমাদের জীবন বিক্রি হওয়ার থকে, সౠুরক্ষাটা বেশি প্রয়োজন। সব কিছু তো বিক্রি হয় না’।
শ্রীময়ীর কথায়, ‘আমাদের তো ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিক্রি করছ অলরাইট। আমাদের বিয়ের ভেন্যু ছাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের তো নিজেদের নিরাপত্তার কথাও ভাবতে হবে। যে কেউ তো প্রেস বা𝐆 ড্রাইভার বা নিরাপত্তারক্ষীর ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ঢুকতে পারে। কিছু হলে তখন কোথায় অশান্তি করতাম। কীবাবে যাচাই করতাম। আমরা অভিনেতা, আমরা সেলেবেল হতে পারি। কিন্তু ওখানে তো আরও মানুষ ছিল।’
‘আমরা তো ফোটোগ্রাফার তথাগতদা , সায়ন্তনদা সবাইকে বলেছিলাম ছবি শেয়ার করে দেওয়ার কথা। আমি নিজে ভাত কাপড়, ঘরোয়া বউভাতের ছবি শেয়ার করেছি। আমাদের কাউকে ছোট করার ইচ্ছে থা🌜কলে তো ছবিই দিতাম না। আমি দেখেছি অনেকেই খবর করেছে, বয়কট করা হচ্ছে! তোমরা বয়কট করলেও আমদের কিছু করার নেই। আমাদের তরফে হোটেলকে জানানো হয়েছিল। তাঁরা একটা টাঙিয়ে দিয়েছে।’, নিজের বক্তব্য আরও যোগ করেন কাঞ্চন-পত্নী।
তিনি আরও জানান, নিরাপত্তার কথায় মাথায় ⛎রেখে রীতিমতো তালিকা করা হয়েছিল অতিথিদের🤡 নামের। আর সেই তালিকা মিলিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে সকলকে। আর যেই অতিথিরা নিমন্ত্রণ পেয়েছেন, কিন্তু তালিকায় নাম ছিল না, তাঁদের ঢুকতেও দেওয়া হয়েছে ওয়াকিটকিতে যোগাযোগ করে।
কথা শেষে, সবার কাছে নিঃস্বার্থ ক্ষমা চেয়ে নেন শ্রীময়ী। বারবার জানান, কোনও দুরভিসন্ধি ছিল না এর পিছনে। তাঁদের কোনও কার্ডে এটা ছিল না। হোটেলকে জানা🍎নো হয়েছিল, হোটে🦩ল থেকেও লিখে দেওয়া হয়েছে। তবে তা কখনোই কাউকে আঘাত করতে নয়। তবুও খারাপ লাগলে, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী তিনি।