‘আমার মেয়েকে কে ফেরাবে?’ এমনই লেখা দিয়ে রাস্তায় লাগানো বড় হোর্ডিং। আর সেখানে রয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মুখ। যেটা কিনা আসলে দেব-রুক্মিণী-স্বস্তিকাদের পুজোর ছবি 'টেক্কার' পোস্টার। আর এই পোস্টার ঘিরেই বিতর্ক দানা বাঁধে আরজি কর আবেগকে কাজে লাগিয়েই ছবির প্রচার চলছে এমনই অভিযোগ এনে♛ছিল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর তাঁর নিশানায় ছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তবে স্বস্তিকা বরাবরই ঠোঁটকাটা। সোজা কথা সোজা ভাবে বলতে কোনওদিনই তিনি ভয় পান না। আর তাই 'টেক্কা' নিয়ে Hindustan Times বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উঠে এল সেই পোস্টার বিতর্কের কথা।
তাঁকে আক্রমণ করে কুণাল ঘোষের মন্তব্য নিয়ে কথা উঠতেই তাই স্বস্তিকা বলেন, ‘ ওনার অনেক সময় জীবনে। উনি যা ইচ্ছে বলুন। উনি হয়ত ছোট থেকেই এ💙ই শিক্ষাই পেয়েছেন যে মহিলাদের কীভাবে আক্রমণ করতে হয়। ওনার বাবা-মা হয়ত ওঁকে ওটাই শিখিয়েছেন। আর আমার বাবা-মা শিখিয়েছেন এগুলোতে গা না করতে। আর আমি অত বড় কেউ নই, যে ডিরেক্টার, প্রডিউসারদের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাব। জিগ্গেস করব যে এই পোস্টার কেন দিলে? এটা আমার কাজও নয়। যদি ঘোষ মহাশয়, ওনার পদবীটাও আবার সন্দীপ ঘোষেরই মতোই আর কি। বড়ই অদ্ভুত বিষয় না…।’
(আরও পড়ুন: 'কোনও হল মালিক পাকিস্তানি ছবি দেখালে, তার মূল্য চোকাতে হবে',𓂃 ফাওয়াদের ছবি নিয়ে হুঁশিয়ারি র♛াজ ঠাকরের)
তবে স্বস্তিকার সাফ কথা, ‘উনি চাইলে টেক্কার প্রযোজক, প♛রিচালকের সঙ্গে এটা (পোস্টার) নিয়ে কথা বলতে পারেন। আর দেব তো ওনার দলেরই সাংসদ। তাই নিজেরা কথা বলে নিননা। আমাকে কেন মাঝখান থেকে কচুকাটা করছেন সেটাই বুঝতে পারছি না।’ এরপরই স্বস্তিকা বলে ওঠেন, 'হয়ত যে মেয়েরা সুন্দ♊র, তাঁদের হয়ত কুণাল ঘোষ বেশি করে আক্রমণ করতে ভালোবাসেন। I'm very Beautiful, So It's oK।'
তবে শুধু স্বস্তিকা নন, সম্প্রতি কুণাল ঘোষের নিশানায় ছিল꧋েন অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্য। মৌসুমীকে আক্রমণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্যের সাম্প্রতিক কথোপকথনের কথা এখন কমবেশি সকলেরই জানা। কথায় কথায় সেপ্রসঙ্গ উঠতেই, স্বস্তিকা বলে ওঠেন, ‘বললাম না, ওনার বাবা-মা ওঁকে হয়ত এটাই শিখিয়ে গিয়েছেন যে মেয়েদের দেখলেই কুরুচিকর মন্তব্য করবে। তাই উনি সেটাই করছেন। এবার উনি যদি ওনার ছেলেপুলেকেও এটাই শেখান, তাহলে ওঁরাও এটাই করবেন। তবে আমার বাবা-মা এটা শিক্ষা দেননি।ও আমিও এটা আমার সন্তানকে শেখাব না।’
স্বস্তিকার সাফ কথা, ‘য🦩াঁদের (কুণাল-দেবাংশু) নাম নিলেন, ওনাদেরও যদি আমাদের সমালোচনা করতে হয়, তাহলে আমাদের শিক্ষা, কথাবলার ভঙ্গী, আমদের বুদ্ধ, ঠিক করে ইংরাজি বা বাংলা না বলতে পারা এসব নিয়ে উনি সমালোচনা করতেই পারেন। কিন্তু সমালোচনা শরীর কেন্দ্রীক কেন হবে? মেয়েদের বুক-পেট-পাছার বাইরে কি আর কিছু নেই! আমার অসুবিধা সেখানেই। ওনাদের সমালোচনা শুধুই শরীর সর্বস্ব কেন? উনি তো মৌসুমী একটা গাধা, মৌসুমী বোকা, বা উনি ঠিক বলেননি, এসব 𒆙বলে সমালোচনা করতেই পারতেন। তা নাহলে শরীর টেনে কেন সমালোচনা! শরীর নিয়ে কূটকাচালি, যেটা আগে পাড়ার কিছু মহিলারা করতেন। পাড়ার সেই কূটকাচালি এখন শিফট হয়ে ফেসবুকে চলে গেছে। ফেসবুক তো এখন একটা পাড়া।’