💮 বৃহস্পতিবার সকালে নক্ষত্রপতন। বাংলার হাজার হাজার মানুষের মাথার উপরের ছাতাটা সরে যায়। পিতৃহারা বামনেতা, সমর্থরা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের শোকে কাতর তাঁর অনুরাগী, বন্ধু, পরিবার,সহ-নেতারা।
ꦯবৃহস্পতিবার সকালে ৮:২০ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বাম জামানার শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। উত্তর কলাকাতেতে জীবনের অনেকগুলো বছর কাটিয়েছেন বুদ্ধবাবু। সেই সময় জগত মুখার্জি পার্কের পাশে চায়ের দোকানে তাঁর সহপাঠী এবং পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে আড্ডা জমত। কেমন ছিল সেই দিনগুলো?
ꦜবামনেতার পুরনো পাড়ার এক প্রতিবেশী বুদ্ধদেব বক্সি এক সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ‘আমার মামার সঙ্গে কথা হত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তবে সেই সময় আমরা ভয়ে সামনে আসতে পারতাম না। বুদ্ধদেববাবুর কাকা রাখাল ভট্টাচার্য্য আমাকে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে। আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী নিয়ে পড়াশনা তরছি, ভবিষ্যত নিয়ে কী পরিকল্পনা। উনি সবসময় সকলকে সৎ পথে থেকে কাজ করার পরামর্শ দিতেন।’ ছোটবেলায় খুব ভালো ক্রিকেট খেলতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলে জানালেন, জগত মুখার্জী পার্কে থাকা তাঁর সহপাঠী তাপস দত্ত।
আরও পড়ুন: ඣস্যাঁতস্যাঁতে ঘরে বুদ্ধদেবের সঙ্গী সারি সারি বই,রবি ঠাকুর! কেন ছাড়েননি এই বাড়ি
🅰 তিনি বলেন, ‘ওঁর আড্ডা দেওয়ার জায়গার মধ্যে অন্যতম ছিল জগত মুখার্জী পার্কের পাশের এই চায়ের দোকান। রাজনীতিতে পা রাখা থেকে শুরু করে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়া, সবটা নিজের চোখে দেখেছি। এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু সবাইকেই তো একদিন না একদিন যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: ♛‘এত কষ্ট প্রাপ্য ছিল না..',শতরূপের কাঁধে চেপে শেষবার বাড়ি থেকে বেরোলেন বুদ্ধদেব
♔বৃহস্পতিবার পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সম্মান জানাতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পিস হেভেনে। শুক্রবার সেখান থেকে নিয়ে দেহ আসা হবে আলিমুদ্দিনে। যাতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরা শেষ দেখা করতে আসতে পারে। বুদ্ধবাবুর শরীর দান করা আছে, সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। সেই অনুযায়ীই হবে সমস্ত কিছু।
ജবৃহস্পতিবার পূর্ণ দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানোর কথা বলা হয়েছে।