প্রথমবারের জন্য কোনও ছবিতে গান গাইলেন অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী। না, তাঁর কোনও প্রথাগত সঙ্গীত শিক্ষা নেই। তবে তিনি গান গাইতে ভালোবাসেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত বড় কাছের তাঁর। যে কোনও অনুভূতি হোক, সে মন খারাপ, ভালো লাগা, খারাপ লাগা, আনন্দ দুঃখ সব কিছুর জন্য তিনি গানকে বেছে নেন। গান আর অভিনয়ের মাধ্যমেই যেন তিনি তꦐাঁর সমস্ত অনুভূতি প্রকাশ করেন। কিন্তু প্লেব্যাক করার সুযোগ এর আগে তাঁর কাছে আসেনি। এবার এল।
অতনু রায়চৌধুরীর ছবি শেষ পাতার জন্য ‘আমার জ্বলেনি আলো’ গানটি গাইলেন গার্গী। দর্শকদের মন ছুঁয়ে 🉐গিয়েছে গার্গীর এই গান। গান গাওয়ার বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন 'আমি বরাবর পড়তে ভালবাসি। সে কবিতার বই হোক বা গীতবিতান। আমি আমার সব অনুভূতিতেই মানসিক আশ্রয় খুঁজে পেয়েছি রবীন্দ্র সঙ্গীতে।' গার্গী এই বিষয়ে আরও বলেন, 'অতনুদা (রায়চৌধুরী) আমায় চিত্রনাট্যটা দিয়েই জানিয়েছিলেন, এই ছবির দুটো গান আমায় গাইতে হবে। দুইই রবীন্দ্রসঙ্গীত। তার মধ্যে একটা গান মুক্তি পেয়েছে। আমি রবীন্দ্রসঙ্গীতকে যেভাবে অনুভব করি, সেভাবেই গেয়েছি। হয়তো কম বয়সে গাইলে এই গানটাই অন্যরকমভাবে গাইতাম। অভিজ্ঞতা যেন আরও পরিণত করেছে গানটাকে।'
তবে প্লেব্যাক নয়, একটি গান তিনি আদতেই পর্দায় গাꦅইবেন সেই বিষয়ে অভিনেত্রী জানান 'এই গানটা যখন পর্দায় আমি করছি, তখন একটা ভীষণ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার আর প্রসেনজিৎদার মন ভীষণ অস্থির তখন ছবিতে। সেসময়ে হঠাৎ ওঁর অনুরোধে একটা গান গাইব আমি। অথচ, গানটার মধ্যে একটা কী অদ্ভুত শান্তি আছে। আর ছবির ক্ষেত্রেও💧 ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই গানটা।'
এখন বহু অভিনেতাই বছরে একাধিক ছবিতে কাজ করেন। কিন্তু গার্গী যেন ব্যতিক্রমী। তিনি বহুদিন ধরেই অভিনয় করছেন। কিন্তু খুব সীমিত কাজ করেন। সেই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, 'আমি বছরে ৪টে ছবি করি না। কিন্তু চেষ্টা করি আমার একটা 🤡চরিত্রের থেকে অপর চরিত্র যেন একদম আলাদা হয়। প্রত্যেক মুহূর্তে নিজেকে ভাঙার চেষ্টা করি। ওটিটিতে মনের মতো কোনও অফার পেলে অবশ্যই সেখানেও কাজ করব।'